শিরোনাম
গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ বাদ দিয়ে দুদক অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন, টিআইবির উদ্বেগ নিজ জেলা বা শ্বশুরবাড়ি এলাকায় ডিসি এসপি ইউএনওদের পদায়ন নয় খাগড়াছড়িতে বুক পকেটে চিরকুট রেখে যুবকের আত্মহত্যা ইউপিডিএফের গুলিতে নিহত তিনজন পাহাড়ি হত্যার বিচারের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে পিসিসিপির বিক্ষোভ বড় শক্তি নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করবে, সতর্ক থাকার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার রাঙ্গামাটির লংগদু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগের প্রেক্ষিতে দুদকের অভিযান খাগড়াছড়ির বর্মাছড়িতে ইউপিডিএফ এর নাশকতামূলক কর্মকান্ডের পরিকল্পনা এবং রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকান্ড প্রসঙ্গে যুদ্ধবিরতির পরও থামছে না ইসরায়েল, বাড়ছে মানবিক বিপর্যয় ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিদ্রোহী ঠেকাতে কঠোর বিএনপি সালমান শাহ হত্যা মামলা: আসামিরা কে কোথায়?

‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন আমাদের সাহস, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা’

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১৮০ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর স্মৃতিচারণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেছেন ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন জনগণের অকৃত্রিম বন্ধু। তিনি ছিলেন আমাদের প্রেরণার উৎস। তিনি বলেছিলেন, তোমাদের মতো তরুণদের মাধ্যমেই দেশ ও জাতির ইতিবাচক পরিবর্তন ঘটবে। তোমরা নিজেদের মতো করে দেশ ও জাতির পরিবর্তনে কাজ করে যাও, পরিবর্তন আসবেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকালে বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের আয়োজনে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ‘স্মৃতিচারণ ও দোয়া অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

ভিপি নুরুল হক নুর আরো বলেন, বাংলাদেশের প্রয়োজনীয় ওষুধের প্রায় ৯০ শতাংশ ওষুধ ইতিপূর্বে আমদানি করে চলতে হতো। ডাক্তার জাফরুল্লাহ চৌধুরী ওষুধ নীতির ফলে এদেশের মোট চাহিদার প্রায় ৯৭ ভাগ ওষুধ দেশেই উৎপাদিত হচ্ছে। তাঁর মতো মহান মানুষের জীবদ্দশায় তেমন কেউ কৃতজ্ঞতা বা সৌজন্যতা দেখায়নি, কিন্তু তার মৃত্যুর পরে সবাই তাকে নিয়ে আলোচনা করছে, তার অভাব বোধ করছে।
তিনি ছিলেন আমাদের সাহস, এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা।

গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জনাব রাশেদ খাঁন বলেন, তিনি ছিলেন আমাদের জন্য বটবৃক্ষের মতো। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় আমাদের মুক্তির জন্য তিনি কোর্টে পর্যন্ত ছুটে গেছেন। মোদির আগমন বিরোধী আন্দোলনের সময় হুইল চেয়ারে করে কোর্টে গেছেন, মুক্তির জন্য রাজপথে ছিলেন।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার একজন নির্লোভী মানুষ। এমপি বা মন্ত্রী হওয়ার অফার পেয়েও সেগুলো গ্রহণ করেননি। গণ অধিকার পরিষদের রাজনৈতিক উত্থানের পেছনে তিনি অভিভাবকের ভূমিকা রেখেছেন। তার মতো দেশপ্রেমিক ও দায়িত্বশীল মানুষ বর্তমানে কেউ নাই।

জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী ছিলেন, মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং এদেশের মুক্তিকামী মানুষের পরম বন্ধু।
তিনি ভাসানীর ভক্ত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কাছের লোক এবং প্রসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভালোবাসার পাত্র। তার ছিল দেশপ্রেম, দূরদর্শিতা ও তরুণদের প্রতি ভালোবাসা। তরুণদের মধ্যে নিজেকে খুঁজে নিতেন, খুঁজে পেতেন।

ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, মুক্তিযুদ্ধের সময় থেকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীকে আমি চিনি। তিনি একাধারে একজন মুক্তিযোদ্ধা, রাষ্ট্র সংস্কারক, স্বাধীন চিন্তা-চেতনার মানুষ এবং অত্যন্ত দেশপ্রেমিক, নীতিতে অটল একজন মানুষ। তার মতো গুণীজন আর কোনোদিন বাংলাদেশ পাবে কিনা সন্দেহ। তিনি বেঁচে থাকলে এই ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে লড়াই অন্যরকম হতে পারতো।

স্মৃতিচারণ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন পেশাজীবি অধিকার পরিষদের সভাপতি ডা. জাফর মাহমুদ এবং পরিচালনা করেন সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন। সভায় আরো স্মৃতিচারণ করেন, গণ অধিকার পরিষদের উচ্চতর পরিষদের সদস্য শাকিলউজ্জামান, শহিদুল ইসলাম ফাহিম, মহানগর দক্ষিণের সভাপতি নাজিম উদ্দিন, বাংলাদেশ পেশাজীবী অধিকার পরিষদের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট খালিদ হোসেন, সাংবাদিক জিএম রোকনুজ্জামান, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, সহসভাপতি মো. তারিকুল ইসলাম, যুব অধিকার পরিষদের সভাপতি মঞ্জুর মোর্শেদ মামুন ও সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মুনতাজুল ইসলাম প্রমুখ।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions