দূর দেশে এক হলেন তিন বন্ধু

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল, ২০২৪
  • ১১৫ দেখা হয়েছে

বিনোদন ডেস্ক:- যুক্তরাস্ট্রে সদ্য শেষ হয়েছে দু’দিনব্যাপী মহানায়িকা ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব ২০২৪’। এই উৎসবে দুই বাংলার অনেক তারকাই উপস্থিত ছিলেন। যেমন বাংলাদেশ থেকে হাজির হয়েছিলেন অভিনেতা ও সংসদ সদস্য ফেরদৌস, চঞ্চল চৌধুরীসহ অনেকেই। এদিকে সেখানে গিয়ে ফেরদৌস দেখা করেছেন মৌসুমীর সঙ্গে।
তাদের পুরনো বন্ধুত্ব যেন নতুন করে সামনে এসেছে। তবে এখানেই শেষ নয়, ফেরদৌস আরেকও বন্ধুও কলকাতার অভিনেত্রী ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তও আছেন সেখানে। এবার তিনজন মিলে দারুণ সময় কাটালেন। বাংলাদেশের মৌসুমী, ফেরদৌস ও কলকাতার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর বন্ধুত্বের খবর সবারই জানা।
মৌসুমী-ফেরদৌস একসঙ্গে জুটি হয়ে বেশ কটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পারিবারিকভাবেও তাঁদের সম্পর্কটা চমৎকার। এই বন্ধুর সঙ্গে বেশ কয়েক মাস ধরে দেখাসাক্ষাৎ নেই। আর বিদেশি বন্ধু ঋতুপর্ণা সঙ্গে কালেভদ্রে দেখা হয়ে।
বাংলাদেশের আসলেই ফেরদৌসের সঙ্গে দেখা না করার উপায়ই নেই তার। তবে এই তিনজনকে এক ফ্রেমে পাওয়া গেলো বহুদিন পর।

যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে শেষ হলো দু’দিনব্যাপী মহানায়িকা ‘সুচিত্রা সেন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব’। উৎসবে সম্মানীত অতিথি হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য ও বহুবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত নায়ক ফেরদৌস আহমেদ ও দুই বাংলার জনপ্রিয় নায়িকা ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত (উৎসবের শুভেচ্ছাদূত)। একই উৎসবে বিশেষ অতিথি হিসেবে নিমন্ত্রণ পেয়েছিলেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের প্রিয়দর্শিনীখ্যাত নায়িকা মৌসুমী।

বলে রাখা ভালো, ২০১৭ সালে সর্বশেষ তিন বন্ধু ফেরদৌস, মৌসুমী ও ঋতুপর্ণার একসঙ্গে দেখা হয়েছিলো জীবন্ত কিংবদন্তি নায়ক, প্রযোজক, পরিচালক আলমগীর পরিচালিত ‘একটি সিনেমার গল্প’র শুটিং চলাকালে। এরপর আর একসঙ্গে দেখা হয়ে উঠেনি তাদের তিনজনের। ‘সুচিত্রা সেন উৎসব’র শেষ দিনে তাদের তিনজনের দেখা হলো।

উৎসবের শেষ দিনে ঋতুপর্ণা (আজীবন সম্মাননা) ও ফেরদৌসের হাতে ‘গেস্ট অব অনার’ সম্মাননা তুলে দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে দুই বাংলার ত্রিশেরও অধিক সিনেমা টানা তিনটি হলে সত্যজিৎ রায় হল, জহির রায়হান হল ও তারেক মাসুদ হলে প্রদর্শিত হয়।

উৎসব নিয়ে ফেরদৌস আহমেদ বলেন, দু’দিন ব্যাপী এই উৎসবে অনেক বাংলা ভাষাভাষী দর্শক সিনেমা দেখতে এসেছিলেন। অনেকেই সিনেমা দেখার সুযোগ না পেয়ে বাইরেও অপেক্ষা করেছেন। সবারই আসলে আন্তরিক অংশগ্রহণ ছিলো চোখে পড়ার মতো। এটা একটা শুভ লক্ষণ। প্রথমবার উৎসবেই আয়োজকরা যেভাবে সফল হয়েছে তাতে মনে হচ্ছে যে আগামীতে তারা আরো বড় পরিসরে এই উৎসব করতে পারবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions