কক্সবাজার:- মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী ও সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সংঘাত চলমান রয়েছে। প্রতিদিনই সেখানে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এর প্রভাব পড়ছে বাংলাদেশ সীমান্তের অভ্যন্তরেও। এমন পরিস্থিতিতে কোণঠাসা হয়ে একের পর এক বাংলাদেশে পালিয়ে আসছিল মিয়ানমারের সৈন্যরা।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ রবিবার (১৪ এপ্রিল ) সকালের দিকে টেকনাফের হোয়াইক্যংয়ের বিভিন্ন সীমান্ত দিয়ে ফের ৯ জন বিজিপি সদস্য বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা বাংলাদেশ বর্ডারগার্ড এর (২ বিজিবি) হেফাজতে রয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে টেকনাফ ২ বিজিবি’র অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মহিউদ্দিন আহমেদ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মিয়ানমারের ৯ জন বিজিপি সদস্য সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। তারা একেকজন একেক সময়ে প্রবেশ করেছে বলেও জানান তিনি।
এর আগে, গত ১১ মার্চ নাইক্ষ্যংছড়ির জামছড়ি সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে এসেছিলেন ১৭৯ জন মিয়ানমার বর্ডার পুলিশ (বিজিপি) সদস্য। তারাও নাইক্ষ্যংছড়ি বিজিবি ব্যাটালিয়নে রয়েছেন। তাদের মিয়ানমারের ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে। এ ছাড়া গত ২ ফেব্রুয়ারি রাত থেকে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সীমান্তের ওপারে আরাকান আর্মির সঙ্গে মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপির সংঘর্ষ শুরু হয়।
এর জের ধরে ৪ থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বাংলাদেশে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসেন ৩৩০ জন। তাদের মধ্যে ৩০২ জন বিজিপি সদস্য, ৪ জন বিজিপি পরিবারের সদস্য, ২ জন সেনা সদস্য, ১৮ জন ইমিগ্রেশন সদস্য এবং ৪ জন বেসামরিক নাগরিক ছিলেন। গত ১৫ ফেব্রুয়ারি তাদের আনুষ্ঠানিকভাবে ফেরত পাঠানো হয়।