শিরোনাম
বাণিজ্য সম্ভাবনায় ‘সেভেন সিস্টার্স’ দুবাইয়ে বিপু-কাজলের ২০০ কোটির দুই ভিলা পাচারের ১৭ লাখ কোটি ফেরাবে কে,প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের দিকে তাকিয়ে সবাই শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা

বান্দরবানের থানচিতে যৌথ অভিযানের মধ্যেই থানা লক্ষ্য করে কেএনএফের গুলি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৫ এপ্রিল, ২০২৪
  • ৯২ দেখা হয়েছে

বান্দরবান:- বান্দরবানে ১৬ ঘণ্টার ব্যবধানে তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় সেখানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর যৌথ অভিযান চলছে। এর মধ্যেই আজ বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে থানচি থানা লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে কেএনএফ সন্ত্রাসীরা। পরিস্থিতি সামাল দিতে পুলিশ ও বিজিবি পাল্টা গুলি চালায়। প্রায় ৩০ মিনিট এই গোলাগুলি চলে।

এ ব্যাপারে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নূরে আলম মিনা বৃহস্পতিবার রাতে বলেন, ‘থানার পাশের পাহাড় থেকে সন্ত্রাসীরা থানাকে লক্ষ্য করে গুলি চালিয়েছে। এ সময় থানা থেকেও তাদের লক্ষ্য করে পাল্টা গুলি চালানো হয়েছে। এসব গুলিতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। বেশির ভাগ গুলি ছিল ফাঁকা। ওই এলাকায় যৌথ অভিযান চলছে।’ পরবর্তী পদক্ষেপ কী জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ ঘটনায় একাধিক মামলা হবে।

স্থানীয় সূত্র বলেছে, থানচি বাজার এলাকায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে হঠাৎ গুলি শুরু হয়। এরপর যে যেভাবে পেরেছে, নিরাপদ আশ্রয়ে সরে গেছে। মুহূর্তে খালি হয়ে যায় থানচি বাজার। থেমে থেমে এক ঘণ্টার মতো গুলির শব্দ শোনা যায়।

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) একটি সূত্র বলেছে, থানার চারপাশে আগে থেকেই টহলে ছিলেন বিজিবি সদস্যরা। সন্ত্রাসীদের গুলির পরেই পুলিশের সঙ্গে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি চালান।

এদিকে গত মঙ্গলবার রুমায় অপহৃত সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক নেজাম উদ্দিন সন্ধ্যায় উদ্ধার হয়েছেন। তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিত করেছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

কঠোর ব্যবস্থার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর
সচিবালয়ে নিজ কক্ষে সংবাদ ব্রিফিংয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, ‘ব্যাংক লুটের ঘটনাটি সরকার হালকাভাবে নিচ্ছে না। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা রয়েছে, এই ঘটনায় জড়িতদের কঠোরভাবে আইনের আওতায় আনার। কেন হঠাৎ করে তারা এমন ঘটনা ঘটিয়েছে, তা জানা নেই। তবে যে উদ্দেশ্যেই এসব করুক না কেন, কাউকে ছাড় দেব না। হামলার কারণ বের করা হবে।’

হামলার পেছনে ভূরাজনৈতিক কিছু আছে কি না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই। অনেক কিছু হতে পারে। হঠাৎ করে আক্রমণ ও ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা আমাদের কাছে নতুন কিছু মনে হচ্ছে। তবে তথ্য না জেনে কিছু বলতে চাচ্ছি না।’

শান্তি আলোচনা স্থগিত
পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটির আহ্বায়ক ক্য শৈ হ্লা বৃহস্পতিবার সকালে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সভাকক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কেএনএফ সদস্যদের স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে ২০২৩ সালের ২৯ মে বিভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর নেতাদের উপস্থিতিতে অরুণ সারকী টাউন হলে মতবিনিময় সভা হয়। ওই বছরের ৯ জুন স্থানীয় নেতাদের সমন্বয়ে ১৮ সদস্যের শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি গঠিত হয়। এই কমিটি কেএনএফের সঙ্গে ২০২৩ সালের ৫ নভেম্বর এবং চলতি বছরের ৫ মার্চ দুই দফায় সরাসরি সংলাপ করেছে। সব ধরনের সশস্ত্র কার্যক্রম থেকে বিরত থাকা ও অন্যান্য বিষয়সংক্রান্ত দুটি সমঝোতা স্মারকও হয় কেএনএফের সঙ্গে। তবে তারা চুক্তির শর্ত ভঙ্গ করে সশস্ত্র কার্যক্রম অব্যাহত রাখে। সর্বশেষ তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে কেএনএফের সঙ্গে শান্তি আলোচনা স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে শান্তি প্রতিষ্ঠা কমিটি।

তিন উপজেলায় সোনালী ব্যাংক বন্ধ
ব্যাংক ডাকাতির পর নিরাপত্তাজনিত কারণে গতকাল বুধবার বিকেলে বান্দরবান সদর উপজেলা বাদে জেলার বাকি ছয় উপজেলায় সব ব্যাংকের কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। তবে গতকাল আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি ও লামা উপজেলায় সোনালী ব্যাংক সচল হয়। এ ছাড়া জেলার অন্য সব ব্যাংকের কার্যক্রমও চালু হয়। অবশ্য বন্ধ ছিল রুমা, রোয়াংছড়ি ও থানচিতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম।

বান্দরবান সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওসমান গণি গতকাল বলেন, প্রথম অবস্থায় থানচি শাখা থেকে ১৫ লাখ টাকা নিয়ে যাওয়ার কথা শোনা গেলেও পরে গণনা করে দেখা যায়, ৭ লাখ ৯৪ হাজার ৮৯২ টাকা নিয়ে গেছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত রোয়াংছড়ি, রুমা ও থানচিতে সোনালী ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

পার্বত্যে নিরাপত্তা জোরদার
তিন ব্যাংকে ডাকাতির ঘটনায় পার্বত্য তিন জেলায়ই নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি নুরে আলম মিনা আজ দুপুরে থানচিতে গিয়ে বলেন, তিন পার্বত্য অঞ্চলের কয়েকটি উপজেলা বর্তমানে খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। রুমা ও থানচিতে ব্যাংক ডাকাতির ঘটনা একই ধরনের এবং একই চক্রের মনে হচ্ছে। ব্যাংকে ডাকাতির এ ঘটনা পূর্বপরিকল্পিত। তিনি বলেন, অন্তত তিনটি মামলার মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতা আনা হবে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, চিরুনি অভিযান চালিয়ে অপরাধীদের ধরতে যৌথ বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions