ডেস্ক রির্পোট:- মঙ্গলবার সকাল থেকে ছত্তিশগড়ের জঙ্গল ঘিরে ফেলে মাও ডেরায় অভিযান চালাচ্ছিল ভারতের যৌথবাহিনী। গুলির লড়াইয়ে রাত পর্যন্ত ১০ মাওবাদীর মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছিল। বুধবার সকালে উদ্ধার হল আরও ৩ মাওবাদীর লাশ। সব মিলিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়াল ১৩ তে। মাওবাদের বিরুদ্ধে চলতি বছরে এটাই সবচেয়ে বড় অভিযান বলে মনে করছে নিরাপত্তাবাহিনী।
জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার স্থানীয় সময় সকাল ৬ টা নাগাদ ছত্তিশগড়ের বিজাপুরের লেন্ড্রা গ্রামে মাওবাদীদের খোঁজে তল্লাশিতে নামে ভারতের যৌথবাহিনী। এই দলে ছিল ডিসট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড, স্পেসাল টাস্ক ফোর্স, সিআরপিএফ এবং কোবরা ব্যাটেলিয়ন। নিরাপত্তাবাহিনীর কাছে খবর ছিল দুর্ধর্ষ মাও নেতা পাপা রাও ঘাঁটি গেড়েছে বিজাপুরের এই জঙ্গলে। মাওবাদীদের ডেরার সন্ধান মিলতেই শুরু হয় গুলির লড়াই।
টানা ৮ ঘণ্টা ধরে অভিযান চলার পর মঙ্গলবারই খবর পাওয়া যায় ১০ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে এই অভিযানে। পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। এরপর বুধবার সকালে সেখানে আরও ৩ মাওবাদীর দেহ উদ্ধার হয়। যৌথ বাহিনীর গুলিতেই এই ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। তবে মৃতের তালিকায় পাপা রাও রয়েছেন কিনা তা স্পষ্ট করেনি পুলিশ।
ভারতের একাধিক জায়গার পাশাপাশি আগামী ১৯ এপ্রিল প্রথম দফার লোকসভা নির্বাচন রয়েছে বিজাপুর জেলা বস্তার লোকসভা কেন্দ্রে। ভোট গ্রহণের সময়ে যাতে কোনও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি না হয় তার জন্য লাগাতার মাওবাদীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালাচ্ছে নিরাপত্তাবাহিনী। বিজাপুরের বাসাগুদা এলাকায় গত ২৭ মার্চ এক অভিযানে মৃত্যু হয়েছিল ৬ মাওবাদীর। মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যে মাও অধ্যুষিত এই এলাকায় ফের বড় সাফল্য। পুলিশের দাবিও চলতি বছরে শুধু বস্তারে এখনও পর্যন্ত ৪৩ জন মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে।