শিরোনাম
রাঙ্গামাটিতে এমএন লারমা’র মৃত্যুবার্ষিকীতে নানান আয়োজন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য প্রায় ৯১৫ মে. টন কাগজ সরবরাহ করবে কর্ণফুলী পেপার মিলস পাকিস্তানে সংবিধান সংশোধন: সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়ছে, কমছে উচ্চ আদালতের ওজন কমাতে ওজেম্পিক গুঞ্জন: ক্ষুব্ধ তামান্না ভাটিয়া চট্টগ্রামে অস্থিরতার নেপথ্যে এক ডজন সন্ত্রাসী, আছে রাজনৈতিক মদত আচরণবিধি ভাঙলে প্রার্থিতা বাতিল, গেজেট প্রকাশ দিল্লিতে লালকেল্লার সামনে বিস্ফোরণে ২২ গাড়ি ভষ্ম, নিহত ১৩ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার বাড়ছে সংসদ নির্বাচনে পোস্টার, ড্রোন ব্যবহার নিষিদ্ধ,আচরণ বিধিমালা জারি স্বাস্থ্যের তিনটিসহ একনেকে ১২ প্রকল্প অনুমোদন

দেশে স্বাস্থ্যসেবায় ব্যয় বেড়েছে ৩ গুণ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২৭ মার্চ, ২০২৪
  • ২৫১ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- দেশের স্বাস্থ্যসেবায় ২০১৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে মাথাপিছু ব্যয় ৩ গুণ বেড়েছে। ২০২৩ সালে মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় তিন গুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ১ হাজার ৭০৪ টাকায়।

সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম) এবং যুক্তরাজ্যের ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট যৌথভাবে পরিচালিত এক গবেষণায় এসব তথ্য উঠে এসেছে। গতকাল মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) সানেমের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

গবেষণায় বলা হচ্ছে, ২০১৮ সালের তুলনায় গড় মাথাপিছু স্বাস্থ্য ব্যয় ২০২৩ সালে তিন গুণ বেশি বেড়ে দাঁড়িয়েছে মাসিক ১ হাজার ৭০৪ টাকা। তবে এ বর্ধিত স্বাস্থ্যসেবা ব্যয় সব আয়ের মানুষের মধ্যে সমান নয়। দরিদ্রতম ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য এই বৃদ্ধি মাত্র দ্বিগুণ ছিল, যেখানে সবচেয়ে ধনী ২০ শতাংশ পরিবারের জন্য বৃদ্ধি ছয়গুণ।

সানেম মনে করছে, করোনা মহামারির একটি গুরুতর প্রভাব হতে পারে।

গবেষণায় বলা হচ্ছে, করোনা মহামারি মোকাবিলায় বাংলাদেশে একটি প্রধান সাফল্য ছিল যথাসময়ে ভ্যাকসিন সরবরাহ করা। বাংলাদেশে ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি থেকে কোভিড-১৯ টিকা দেওয়া শুরু হয়েছে। এ সময় ৭৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪০ শতাংশ মহিলা (পাঁচ বছর বা তার বেশি বয়সী) ভ্যাকসিনের দুটির বেশি ডোজ পেয়েছেন।

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধের পর থেকে বিভিন্ন কোম্পানিগুলো তাদের উৎপাদিত ওষুধের দাম ১৫০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করেছে, যা স্বাস্থ্যসেবা ব্যয়ের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখেছে। করোনা ও করোনা-পরবর্তী সময়ে দেশের উৎপাদনমুখী বিভিন্ন খাত মুনাফা সংকটে ভুগলেও ওষুধ কোম্পানিগুলো তাদের ভালো প্রবৃদ্ধি বজায় রেখেছে।

ওষুধ খাতের কোম্পানিগুলোর মুনাফার প্রবৃদ্ধি গড়ে ১৫ শতাংশের বেশি, যা বাংলাদেশের অন্য যে কোনো খাতের তুলনায় আকর্ষণীয়। ওষুধের দাম বাড়ায় অনেক কোম্পানির মুনাফা বাড়লেও সামর্থ্যহীন মানুষজন ওষুধ খাওয়া কমিয়ে দিয়েছেন।

জরিপের তথ্যানুযায়ী, গত পাঁচ বছরে গ্রামাঞ্চলে দারিদ্র্যের হার কমেছে। একই সময়ে দারিদ্র্যের হার বেড়েছে শহরাঞ্চলে। ২০১৮ সালে গ্রামীণ দারিদ্র্যের হার ২৪ দশমিক ৫ থেকে ২০২৩ সালে ২১ দশমিক ৬ শতাংশে নামলেও শহুরে দারিদ্র্যের হার ১৬ দশমিক ৩ থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়ায়।

জরিপের ফলে দেখা যায়, উচ্চ দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে দারিদ্র্যের হার ২০ দশমিক ৭ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় ২১ দশমিক ৬ শতাংশ এবং শহরাঞ্চলে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশ। নিম্ন দারিদ্র্যসীমা অনুযায়ী, জাতীয় পর্যায়ে চরম দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে ৭ দশমিক ৯ শতাংশ, গ্রামীণ এলাকায় ৮ দশমিক ৯ শতাংশ ও শহরাঞ্চলে ৫ দশমিক ৪ শতাংশ। এর মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়ে সর্বোচ্চ দারিদ্র্যের হার পরিমাপ করা হয়েছে রংপুর ও বরিশালে। রংপুরে এ হার ৪২ দশমিক ৯ শতাংশ এবং বরিশালে ৩২ দশমিক ৫ শতাংশ।

বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের সূচকেও একই ধরনের প্রবণতা দেখা যায়। গ্রামীণ বহুমাত্রিক দারিদ্র্যের হার ৩০ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে নেমে এসেছে ২৭ দশমিক ৬ শতাংশে। অন্যদিকে শহরাঞ্চলে তা ২০১৮ সালে ১৬ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৩ সালে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৮ শতাংশে।

প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, সরকার প্রদত্ত সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রমের আওতায় এসেছে ৩৭ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী। এর মধ্যে টিসিবি ফ্যামিলি কার্ড সেবা সর্বোচ্চ সংখ্যক তথা ১৫ দশমিক ৬৩ শতাংশ পরিবারের কাছে পৌঁছেছে। এছাড়া বার্ধক্য ভাতা ৮ দশমিক ৯ শতাংশ, বিধবা, স্বামী নিগৃহীত, দুস্থ মহিলা ভাতা ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ, আর্থিকভাবে অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ৩ দশমিক ৩৪ শতাংশ এবং খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ভাতা ৩ দশমিক ১৭ শতাংশ জনগোষ্ঠীর কাছে পৌঁছেছে। কর্মক্ষম জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই অর্থাৎ ৪৭ শতাংশ সেবা খাতে নিযুক্ত, ৩৬ কৃষি ও ১৮ শতাংশ শিল্প খাতে কর্মরত। জাতীয় পর্যায়ে বেকারত্বের হার ৩ দশমিক ৯ শতাংশ। গ্রামীণ এলাকায় এ হার ৩ দশমিক ৬ ও শহরাঞ্চলে ৪ দশমিক ৬ শতাংশে রয়েছে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions