বান্দরবান:- বান্দরবানে উৎপাদিত টমেটো থেকে বারি হাইব্রিড বীজ উৎপাদন করা হচ্ছে। সংগ্রহ করা বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ এবং সংরক্ষণ করে দেশের বিভিন্ন জেলায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) বীজ বিভাগের মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকের মাঝে সরবরাহ করা হচ্ছে। যা সারাদেশে টমেটো উৎপাদনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
বিএডিসি বিভাগের তথ্যমতে, বান্দরবানের বালাঘাটা এগ্রো সার্ভিস সেন্টার প্রদর্শনী খামারের মাধ্যমে উন্নত জাতের টমেটো বীজ সংগ্রহ করা হয়। বীজগুলোর মধ্যে রয়েছে বারি হাইব্রিড টমেটো–১১ এবং বারি হাইব্রিড টমেটো–৮ অন্যতম। গতবছর বীজ উৎপাদন করা হয়েছিল ২৪ কেজি ২শ গ্রাম। বিক্রি করে সরকারিভাবে আয় হয়েছিল চার লাখ ৮৪ হাজার টাকা। ২০২২ সালে উৎপাদন করা হয়েছিল ২২ কেজি ৩শ গ্রাম। যা সরবরাহ করে আয় হয়েছিল চার লাখ ২৩ হাজার সাতশ টাকা। এর আগের বছর ২০২১ সালে বীজ উৎপাদন হয়েছিল ২৬ কেজি বীজ। যা সর্বোচ্চ ২৫শ টাকায় কেজি বিক্রি করে আয় হয়েছিল ৫ লাখ ২০ হাজার টাকা। ২০২০ সালে বীজ উৎপাদন করা হয়েছিল ১৮ কেজি ৬শ গ্রাম। যা বিক্রি করে সরকারিভাবে আয় হয়েছিল ৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। টমেটো চাষ এবং বীজ উৎপাদনের সাথে জড়িত রয়েছেন ৩০ জন নারী এবং ৭ জন পুরুষ শ্রমিক।
বীজ উৎপাদনের জড়িত কৃষক সুলতান আহমেদ, রোজিনা ও দিলারা বলেন, হাইব্রিড টমেটো চাষের মাধ্যমে উন্নত জাতের বীজ সংগ্রহ করি। পরিচর্যার পর বীজের জন্য টমেটোগুলো চিহ্নিত করে পরিপক্ব পাকা টমেটো কেটে বীজ সংগ্রহ করতে হয়। বীজ সংগ্রহের কাজটা খুবই সুক্ষ্মভাবে করতে হয়। বীজ সংগ্রহের পর রোদে শুকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করতে হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের বালাঘাটা বিএডিসি এগ্রো সার্ভিস সেন্টারের উপ সহকারী পরিচালক নাজিব কুমার তঞ্চঙ্গ্যা জানান, বীজ বিভাগের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে হাইব্রিড সবজি বীজ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ ও বিতরণ কার্যক্রমে জড়িত রয়েছে বিএডিসির অর্ধশতাধিক কৃষক। উৎপাদিত টমেটোর বীজ সংগ্রহ করে ঢাকাস্থ বীজ সংরক্ষণ সেন্টারে পাঠানো হয়। সেখান থেকে সারাদেশে বিএডিসির সরবরাহ সেন্টারগুলোর মাধ্যমে ভর্তুকি দিয়ে কৃষকদের সরবরাহ করা হয়।