ডেস্ক রির্পোট:- গাজায় আবারও ত্রাণ সংগ্রাহকদের ওপর হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি বাহিনী। রাফাহ ও গাজা সিটিতে তাদের নৃশংস হামলায় প্রাণ গেছে ১১ জন নিরীহ ফিলিস্তিনির।
সংবাদ সংস্থা ওয়াফা জানিয়েছে, বুধবার গাজা সিটিতে জাতিসংঘের ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে ভিড় করেন ফিলিস্তিনিরা। সেখানে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ইসরাইলি সেনারা। মুহূর্তেই প্রাণ যায় ৬ জনের। আহত কমপক্ষে ৮৩ জন। যাদের বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। আল-শিফা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তারা। এর আগে, রাফাহ শহরে ‘ইউএনআরডবিøউএ’র কার্যালয়েও বোমা ফেলে তেল আবিব। মৃত্যু হয় কমপক্ষে ৫ জনের। তালিকায় রয়েছেন জাতিসংঘের এক কর্মীও। ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রে হামলায় নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলিতে সাহায্যের জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে থাকা ক্ষুধার্ত বেসামরিক লোকদের ভিড়ের উপর ইসরাইলি সেনাদের মারাত্মক হামলার ঘটনা বেড়েছে। সোমবার রাতে ইসরাইলি বাহিনী একই গোলচত্বরে খাদ্য সহায়তার অপেক্ষায় থাকা ১১ জনকে হত্যা করে। রাফাহ থেকে রিপোর্ট করে, আল জাজিরার হানি মাহমুদ বলেছেন যে, সাহায্য চাওয়া ছিটমহলে ‘সত্যিই বিপজ্জনক’ হয়ে উঠেছে, যোগ করেছেন যে ‘কুয়েতি গোলচত্বরটি এখন মৃত্যু ফাঁদ হিসাবে পরিচিত’। তিনি বলেন, ‘গাজা উপত্যকায় আটকে থাকা একটিক্ষুধার্ত এবং বৃহৎভাবে আঘাতপ্রাপ্ত জনগোষ্ঠীর কাছ থেকে আমরা শুনেছি যে গাজা এবং এর উত্তরাঞ্চলে গুলি চালানো হলে এই ত্রাণবাহী ট্রাকগুলিকে নিয়ে আসার উদ্দেশ্য কী।’ ‘(ইসরাইলি আগ্রাসন) সেখানে সাহায্য কর্মীদের কাজকেও বিপন্ন করে,’ তিনি যোগ করেন। কুয়েত গোলচত্বরটি গাজা স্ট্রিপের কেন্দ্রীয় এলাকা এবং গাজা শহরের মধ্যে অবস্থিত, যা উত্তর গাজাকে দক্ষিণে সংযুক্ত করেছে।
এখন অবধি ত্রাণ বিতরণের সময় ইসরাইলি হামলায় অন্তত ৪০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরাইলি হামলায় কমপক্ষে ৩১,৩৪১ জন ফিলিস্তিনি নিহত এবং ৭৩,১৩৪ জন আহত হয়েছে। হামাসের হামলায় ইসরাইলে সংশোধিত মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১,১৩৯। গাজায় স্থল অভিযান শুরুর পর রাফাহতে প্রায় ১৫ লাখ ফিলিস্তিনি আশ্রয় নিয়েছেন। সূত্র : আল-জাজিরা।