ডেস্ক রির্পোট:- রুশ হামলায় ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের ওডেসার এই পোশাক কারখানাটি। সেটির বিধ্বস্ত ভবনের সামনে গতকাল দাঁড়িয়ে এক নারী।রুশ হামলায় ধ্বংস হয়েছে ইউক্রেনের ওডেসার এই পোশাক কারখানাটি। সেটির বিধ্বস্ত ভবনের সামনে গতকাল দাঁড়িয়ে এক নারী। ছবি: এএফপি
রাশিয়ার ৫০-এর বেশি নাগরিক ও প্রতিষ্ঠানের ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাজ্য। ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের দ্বিতীয় বর্ষ পূর্তির দুই দিন আগে গত বৃহস্পতিবার রাশিয়ার বিরুদ্ধে নতুন এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করল দেশটি। গতকাল শুক্রবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এদিকে রাশিয়ার পাঁচ শতাধিক লক্ষ্যে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার কথা জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ নিষেধাজ্ঞায় অন্য দেশে রাশিয়ার সামরিকশিল্প ও কোম্পানিগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া এ নিষেধাজ্ঞায় যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র দেশগুলোও শামিল হচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অর্থমন্ত্রী ওয়ালি আডিয়েমো।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাজ্য বলছে যে নিষেধাজ্ঞার মাধ্যমে তারা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের অস্ত্রভান্ডার ও যুদ্ধ তহবিল শেষ করতে চাইছে। রুশ অর্থনীতিতে আঘাত হানার লক্ষ্যে সমন্বিত পশ্চিমা প্রচেষ্টার অংশ এই নিষেধাজ্ঞা।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন একটি বিবৃতি দিয়েছেন। বিবৃতিতে ক্যামেরন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক চাপের (নিষেধাজ্ঞা) অর্থ হলো রাশিয়া এই অবৈধ আগ্রাসন চালিয়ে নিতে সক্ষম হবে না।’
যুক্তরাজ্য-ঘোষিত নিষেধাজ্ঞায় রাশিয়ার গোলাবারুদশিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোম্পানিগুলোকে নিশানা করা হয়েছে। এ ছাড়া ধাতু, হিরা এবং জ্বালানিশিল্পে রাজস্বের উৎসগুলোকে যুক্তরাজ্যের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছে।
এর আগে রাশিয়ায় পুতিনবিরোধী নেতা নাভালনির মৃত্যু ইস্যুতে ছয় রুশ কারা কর্মকর্তার ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল যুক্তরাজ্য। আর নাভালনির স্ত্রী-কন্যার সঙ্গে বৈঠকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, শুক্রবার (গতকাল) রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা দেবে দেশটি।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের সহকারী অর্থমন্ত্রী ওয়ালি আডিয়েমো বলেন, ‘আগামীকাল (শুক্রবার) আমরা রাশিয়ার ওপর শত শত নিষেধাজ্ঞা জারি করব। তবে মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে শুধু যুক্তরাষ্ট্র একাই পদক্ষেপগুলো নিচ্ছে না।’
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে পূর্ণমাত্রার আক্রমণ শুরু করে রাশিয়া। এরপর থেকে পরবর্তী দুই বছর ধরে চলা ইউক্রেনের যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত ও দেশটির বহু শহর ধ্বংস হয়েছে। এ যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মস্কোর বিরুদ্ধে কয়েক হাজার নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
এতে যে চাপ সৃষ্টি হয়েছে তা ধরে রাখতেই যুক্তরাষ্ট্র ও দেশটির মিত্ররা নতুন এসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে যাচ্ছে।
আডিয়েমো বলেছেন, নিষেধাজ্ঞা ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণের পদক্ষেপ রাশিয়াকে চাপে ফেলবে। এর ফলে প্রয়োজনীয় পণ্যের অভাবে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ চালানো কঠিন হয়ে পড়বে।