শিরোনাম
রাঙ্গামাটির চম্পকনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতিদের পাশে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে,এসব আসনের পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে, নির্বাচনের আগেই সমাধান চেয়ে অর্ধশত আবেদন পটিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত রাঙ্গামাটির সাজেকে পর্যটকদের ঢল, খালি নেই কোনও রিসোর্ট খাগড়াছড়িতে জিপ উল্টে নিহত ১ সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম হদিস নেই ১৬৩টি অস্ত্র ও ১৮ হাজারের বেশি গুলির,লুণ্ঠিত অস্ত্রের বেশীর ভাগ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে জেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা ছয় দিন ও উপজেলা পর্যায়ে এক দিন : ডিসি র‌্যাব বিলুপ্তিসহ পুলিশ সংস্কারে বিএনপির ৫ সুপারিশ মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, আবেদন শুরু মঙ্গলবার

সীমান্তবর্তী সাব্রুমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও একটি আধুনিক স্থলবন্দর চালু হচ্ছে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ২২৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সব ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে ত্রিপুরার সাব্রুমে অত্যাধুনিক একটি আইসিপি বা ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্টের উদ্বোধন হতে চলেছে। দিল্লিতে শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তারা আভাস দিয়েছেন, ভারত ও বাংলাদেশের দুই প্রধানমন্ত্রী, নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা সে দিন সকালে ভার্চুয়ালি এই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন।

আইসিপি হলো আন্তর্জাতিক সীমান্তে অবস্থিত একটি আধুনিক টার্মিনাল ও লজিস্টিক হাব, যেখানে দুটো দেশের মধ্যে পণ্য বা যাত্রী চলাচলের সব ধরনের ব্যবস্থা থাকে। অর্থাৎ কার্যত এক ছাদের নিচে সেখানে শুল্ক (কাস্টমস), ইমিগ্রেশন থেকে শুরু করে কন্টেইনার ট্রান্সশিপমেন্ট, ওয়্যারহাউস (গুদাম) ইত্যাদি সব ধরনের ব্যবস্থা রাখা হয়, যাতে দুটো দেশের মধ্যে সেই পথে অবাধে বাণিজ্য ও যাতায়াত সম্ভব হতে পারে।

এই ‘আইসিপি’ চালু হওয়ার অর্থ হলো, সীমান্তবর্তী শহর সাব্রুমে ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে আরও একটি আধুনিক স্থলবন্দরের কার্যক্রম শুরু হওয়া। এই মুহূর্তে দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আইসিপি রয়েছে পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন আগামী দিনে সাব্রুম-রামগড়ে বাণিজ্য ও যাত্রী চলাচলের পরিমাণ তাকেও ছাড়িয়ে গেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।


এর অবশ্য নির্দিষ্ট কিছু কারণও রয়েছে। বাংলাদেশের বাণিজ্যিক রাজধানী তথা বন্দরনগরী চট্টগ্রাম থেকে সড়কপথে সাব্রুমের দূরত্ব ৮০ কিলোমিটারেরও কম। বাংলাদেশে নির্মাণাধীন মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দর থেকেও সাব্রুম ১০০ কিলোমিটারের মধ্যেই। চট্টগ্রাম বন্দর ব্যবহারের অনুমতি ভারত অনেক আগেই পেয়েছে। ফলে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে পণ্য চলাচলের জন্য সাব্রুম অচিরেই প্রধান ‘গেটওয়ে’ বা প্রবেশপথ হয়ে উঠবে এই সম্ভাবনা প্রবল। বছর তিনেকের মধ্যে মাতারবাড়ী চালু হয়ে গেলে সাব্রুম দিয়ে ‘ট্র্যাফিক’ যথারীতি আরও বাড়বে।

তাছাড়া সাব্রুমে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ফেনী নদীর ওপর ১.৯ কিলোমিটার লম্বা মৈত্রী সেতুও তৈরি হয়ে আছে। ২০২১ সালের ২১ মার্চ নরেন্দ্র মোদি ও শেখ হাসিনা যৌথভাবে এই সেতুটির উদ্বোধন করেছিলেন। কিন্তু আইসিপি তখন প্রস্তুত না-থাকায় এই সেতুটির ব্যবহার এখনও সেভাবে শুরু করা যায়নি। এখন আইসিপি চালু হলে এই মৈত্রী সেতুতে ব্যস্ততাও অনেক বাড়বে।

সাব্রুম অবধি রেলপথও চালু হয়ে গেছে, যে স্টেশনের সঙ্গে ব্রডগেজে বাকি ভারতের রেল সংযোগও তৈরি। সোজা কথায়, এই মুহূর্তে সাব্রুমে শুধু আইসিপি চালু হওয়ার অপেক্ষা– যেটা হলে ভারত ও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও মানুষে মানুষে আদানপ্রদানের (পিপল টু পিপল কনট্যাক্ট) ক্ষেত্রে একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

ভারতে কেন্দ্রীয় সরকারের যে সংস্থা স্থল বন্দরগুলোর কার্যক্রম তদারকি করে থাকে, সেই ল্যান্ড পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (এলপিএআই) চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রা গত মাসেই আইসিপি-র কাজ কতদূর, সরেজমিনে তা দেখতে সাব্রুম পরিদর্শন করেন। তার সঙ্গে ওই সফরে মন্ত্রণালয়ের সচিব বিবেক বর্মা, ত্রিপুরায় বিএসএফের মহানির্দেশক পীযূষ প্যাটেল-সহ শীর্ষ কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন।


সীমান্তে ভারতের দিকে যেখানে সাব্রুম, ঠিক তার অন্য দিকেই বাংলাদেশের রামগড়। ফেনী নদীর ওপর দিয়ে তৈরি হওয়া মৈত্রী সেতু দুই দেশের এই দুটি জায়গাকে যুক্ত করেছে। আর গত ২২ জানুয়ারি এই সেতুর ওপর নো ম্যানস ল্যান্ডেই ভারত ও বাংলাদেশের প্রতিনিধি দলের মধ্যে আইসিপি চালু করা নিয়ে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল।

ওই বৈঠকে ভারতের নেতৃত্ব দেন এলপিএআই চেয়ারম্যান আদিত্য মিশ্রা, আর বাংলাদেশের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্বে ছিলেন রামগড় পোর্ট কর্তৃপক্ষের পরিচালক (ডিরেক্টর) সারওয়ার আলম। এছাড়াও স্থানীয় বিজিবি-র কমান্ডিং অফিসার, রামগড়ের ইউএনও, ভূমি ও যান চলাচল বিভাগের কর্মকর্তারাও ওই বৈঠকে যোগ দেন।

ঠিক মাসখানেক আগে যখন ওই বৈঠক হয়, তখন ভারতের দিকে আইসিপি’র কাজ মোটামুটিভাবে ৯০ শতাংশ সম্পূর্ণ হলেও ১০ শতাংশের মতো কাজ বাকি ছিল। আর বাংলাদেশের দিকে সাব্রুমের সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তার কিছু অংশে কাজ বাকি ছিল। কিন্তু গত তিন-চার সপ্তাহে প্রায় ঝড়ের গতিতে সেই কাজ শেষ করা হয়েছে এবং তার পর ২৪ ফেব্রুয়ারি আইসিপি উদ্বোধনের সম্ভাব্য দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে।

তিন বছর আগে সাব্রুমে আইসিপি’র ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে ‘কানেক্টিভিটি’ বাড়ানো মানে শুধু বন্ধুত্ব নয়– নতুন নতুন বাণিজ্য ও ট্র্যাফিক করিডরও প্রস্তুত করা। ৪৯ একরেরও বেশি জায়গা নিয়ে তৈরি সাব্রুমের ইন্টিগ্রেটেড চেকপোস্ট বাংলাদেশ ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মধ্যে ঠিক সেই লক্ষ্যই অর্জন করতে চলেছে। বাংলা ট্রিবিউন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions