৮ মাস ধরে পলিথিনে মোড়ানো স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১১৪ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- প্রায় আট মাস ধরে অকেজো অবস্থায় পলিথিনে মোড়ানো রয়েছে সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অ্যাম্বুলেন্স। ফলে উপজেলার রোগীরা বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি অ্যাম্বুলেন্স সেবা থেকে।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায়, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পুরাতন বিল্ডিংয়ের পাশে পলিথিন দিয়ে মোড়ানো অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্সটি পড়ে রয়েছে। অ্যাম্বুলেন্সের দুটি চাকা নেই। দুর্ঘটনায় এর সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। চলাচলের অযোগ্য হওয়ায় এটিকে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়েছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের জুন মাসে এক রোগীকে নিয়ে ঢাকায় যায় অ্যাম্বুলেন্সটি। ফেরার পথে টাঙ্গাইলে দুর্ঘটনায় অ্যাম্বুলেন্সটির ব্যাপক ক্ষতি হয়। ফলে পুরো অ্যাম্বুলেন্সটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ওখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে অ্যাম্বুলেন্সটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স প্রাঙ্গণে পলিথিন দিয়ে মুড়িয়ে রাখা হয়।

রোগী ও স্বজনরা বলেন, এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুটি অ্যাম্বুলেন্স ছিল। এর মধ্যে নতুন অ্যাম্বুলেন্সটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে। তাই পুরোনোটি দিয়েই রোগী পরিবহন করা হচ্ছে। তবে সেটির সার্ভিস ভালো নয়। বেশির ভাগ সময় সেটি নষ্ট হয়ে পড়ে থাকে। তাই অনেক সময় বাইরে থেকে অ্যাম্বুলেন্স ভাড়া নিতে হয় রোগীদের জন্য। এতে খরচ বেশি হয়। তাই এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স দরকার।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. একেএম মোফাখখারুল ইসলাম জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুটি অ্যাম্বুলেন্সের মধ্যে নতুনটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে অকেজো হয়ে গেছে। আপাতত আমরা পুরোনোটি মেরামত করে কোনো মতে সেবা দিচ্ছি। কিন্তু সেটির সার্ভিসটা সন্তোষজনক নয়, প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। এ অঞ্চলটি জনবহুল হওয়ায় দ্রুত একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্স দরকার। আমরা একটি নতুন অ্যাম্বুলেন্সের চাহিদা আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। কবে নাগাদ তা পাব, জানা নেই।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions