শিরোনাম
ভ্যানে লাশের স্তুপ করা ভিডিও আশুলিয়া থানা রোডের নির্বাচন আয়োজনে অযৌক্তিক সময় নষ্ট করবে না অন্তর্বর্তী সরকার : প্রধান উপদেষ্টা প্রধানমন্ত্রীর পদে এক ব্যক্তি দুইবারের বেশি নয়, হেফাজতসহ ৬ ইসলামি দলের প্রস্তাব সংবিধান পুনর্লিখন ছাড়া উপায় নেই: আলী রীয়াজ খাগড়াছড়ির দীঘিনালা কলেজের হিসাব শাখায় রহস্যজনক আগুন! রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদের পানি আবারো বেড়েছে রাঙ্গামাটির কাপ্তাই হ্রদে মধ্যরাত থেকে শুরু হচ্ছে মৎস্য আহরণ-বিপনন খাগড়াছড়িতে আলোচিত ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেফতার ৩ বেতবুনিয়া থেকে ধাওয়া করে রাউজান এনে মারা হলো শ্রমিক লীগ নেতাকে ছাত্র–জনতার ধাওয়া খেয়ে পোশাক খুলে পালিয়ে গেল আনসার সদস্যরা

অবশেষে বাংলাদেশ-ভারত যৌথ চ্যাম্পিয়ন

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৬৯ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নানা নাটকীয়তার পর সাফ অনূর্ধ্ব-১৯ নারী চ্যাম্পিয়নশিপে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়েছে বাংলাদেশ-ভারতকে। টাইব্রেকারে ১১-১১ গোলে সমতা হওয়ার পর টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী সাডেন ডেথ চলার কথা।
রেফারি ও সহকারী রেফারি খানিকটা দ্বিধান্বিত ছিলেন। ম্যাচ কমিশনার শ্রীলঙ্কান ডি সিলভা ডিলান টাচলাইনের কাছাকাছি এসে রেফারিদের ডেকে টসের কথা বলেন। দুই দল টসে যায়। সেই টসে ভারত জেতে। তবে বাংলাদেশের প্রতিবাদের মুখে সেই সিদ্ধান্ত বদলে আবার সাডেন ডেথে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত মানেনি ভারত।

ভারত মাঠ ছেড়ে চলে যায় ড্রেসিংরুমে। ম্যাচ কমিশনার জানান তাদের জন্য অপেক্ষা করা হবে ৩০ মিনিট। এরপর সিদ্ধান্ত জানানো হবে। তবে সিদ্ধান্ত আসে প্রায় দুই ঘণ্টার বেশি সময় পরে। অফিসিয়াল সিদ্ধান্তের সম্মান জানিয়ে এ পুরোটা সময় মাঠে অবস্থান করেছে পুরো বাংলাদেশ দল। দুই দলকে যৌথ চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। পুরস্কারের মঞ্চ সাজানো হলেও সেখানে আসেনি ভারতের পুরো দল। টসে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘোষণার পর ভারতের খেলোয়াড়দের আচরণও ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। গ্যালারির সমর্থদের উদ্দেশ্য করে ইঙ্গিতপূর্ণ উদযাপনে মেতেছিলেন তারা।

ম্যাচ কমিশনার ভারত দলকে মাঠে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন৷ তবে নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় থেকেছে ভারত। অন্যদিকে বাংলাদেশের যুক্তি ম্যাচ কমিশনার বাইলজের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন ক্রীড়ামন্ত্রী নাজমুল হাসান পাপন। তিনিও অপেক্ষা করেছেন সিদ্ধান্তের জন্য। পরে পুরস্কার বিতরণের মঞ্চেও উপস্থিত ছিলেন তিনি।

সাফের ফুটবলে এ রকম ঘটনা আর ঘটেনি। বাংলাদেশের ফুটবলে এমন ঘটনা ছিল। সেখানে দুই দল মিলে ২০ এর অধিক শট নিয়েছিল।

কমলাপুর স্টেডিয়ামে এর আগে ম্যাচের শুরুতেই লিড নেয় ভারত। ৮ মিনিটে রক্ষণ দুর্বলতা ও গোলরক্ষকের ভুলে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে। ভারতীয় মিডফিল্ডার নিতু লিন্ডার থ্রুতে বাংলাদেশের দুই ডিফেন্ডারকে পেছনে ফেলে বল পান শিবানী দেবী৷ বাংলাদেশের গোলরক্ষক স্বর্ণা রানী বক্সের সামনে এসে বলের নাগাল পাননি৷ শিবানী বুদ্ধিদীপ্তভাবে প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান।

৮ মিনিট পর ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ ছিল ভারতের। বক্সের মধ্যে গোলদাতা শিবানী দেবী ভালো পজিশনে বল পান। তার নেওয়া ডান পায়ের শট পোস্টের সামান্য ওপর দিয়ে যায়৷ তাতে এ যাত্রায় রক্ষা পায় বাংলাদেশের মেয়েরা।

বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়ে ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছে। তবে সমতা আনার মতো সুযোগ সেভাবে তৈরি করতে পারেনি স্বাগতিক দল। ৩৫ মিনিটে স্বপ্না রাণীর দুজনকে কাটিয়ে শট নিলেও বাইরে দিয়ে যায় ৷ প্রথমার্ধে বাংলাদেশ তেমন উল্লেখযোগ্য কোনো আক্রমণ করতে পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে বেশ কিছু আক্রমণ করেও যেন গোলের দেখা মিলছিল না। ৯০ মিনিটের খেলা শেষ। ভারতের শিরোপা উদযাপনের অপেক্ষা। সেই মুহূর্তে সাগরিকা গোল করে বাংলাদেশকে ম্যাচে ফেরান। আফঈদা খন্দকারের থ্রো ইন থেকে সাগরিকা বক্সের আগে সৃষ্ট জটলা থেকে বলের নিয়ন্ত্রণ নেন৷ নিজ প্রচেষ্টায় বক্সে বল নিয়ে কোনাকুনি শটে গোল করেন।

টুর্নামেন্টের বাইলজ অনুযায়ী নির্ধারিত সময় সমতা থাকলে খেলা সরাসরি টাইব্রেকারে গড়ায়। সেখানেও ১১-১১ গোলে সমতা হয়।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions