ডেস্ক ডরর্পোট:- সরকারের বিভিন্ন দপ্তরে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি শূন্য পদ রয়েছে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রী। গতকাল বুধবার জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর-পর্বে তিনি এ কথা জানান। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মো. মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, জনপ্রশাসন থেকে সর্বশেষ প্রকাশিত ‘স্ট্যাটিস্টিকস অব গভর্নমেন্ট সার্ভেন্ট ২০২২’ মোতাবেক সব মন্ত্রণালয়, বিভাগ, অধিদপ্তর ও দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদের বিপরীতে ৫ লাখ ৩ হাজার ৩৩৩টি শূন্যপদ রয়েছে। এর মধ্যে ২০১৯-২০২৩ সাল মেয়াদে ৩ লাখ ৫৮ হাজার ২৩৭টি পদে নিয়োগ দেয়া হয়েছে।
সরকারের শূন্য পদ পূরণ একটি চলমান প্রক্রিয়া উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, শূন্য পদগুলো পূরণে সুনির্দিষ্ট বিধি মোতাবেক নিয়মিত কার্যক্রম চলমান। বিভিন্ন মন্ত্রণালয়-বিভাগ এবং এর অধীন দপ্তর-সংস্থাগুলোর চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে সরকারি কর্ম কমিশনের মাধ্যমে নবম (পূর্বতন প্রথম শ্রেণি) ও ১০ থেকে ১২ গ্রেডের (পূর্বতন দ্বিতীয় শ্রেণি) শূন্য পদে জনবল নিয়োগ করা হয়ে থাকে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী জানান, রুলস অব বিজনেস অনুযায়ী মন্ত্রণালয়-বিভাগগুলোর ২০২৩ সালের নভেম্বরের কার্যাবলী সম্পর্কিত মাসিক প্রতিবেদনে প্রধানমন্ত্রী সরকারের শূন্য পদগুলো পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার সুপারিশ অনুমোদন করেছেন, যা মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে সব মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পাঠানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী মন্ত্রণালয় ও বিভাগগুলোয় নিয়োগ কার্যক্রম চলমান আছে বলে জানান মন্ত্রী। এদিকে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর গত ১৪ বছরে ৫ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর এলাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধার আওতায় এসেছে বলে জানিয়েছেন পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক। সরকারি দলের সংসদ সদস্য মোরশেদ আলমের প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি আরও বলেন, গত ১৪ বছরে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃক সর্বমোট ৭৬টি বেড়িবাঁধ নির্মাণ প্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রকল্পসমূহের আওতায় মোট এক হাজার ৬১৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণ এবং ৪ হাজার ৪০৪ কিলোমিটার বাঁধ পুনর্বাসন, মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ ৬৪ হাজার হেক্টর এলাকা বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও নিষ্কাশন সুবিধার আওতায় এসেছে।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, মানব সভ্যতার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে পানির যথাযথ ও টেকসই ব্যবহার।
সময়ের সঙ্গে সঙ্গে পানির চাহিদা বেড়ে চলেছে ব্যাপকভাবে। ২০২২ সালের এসডিজি প্রতিবেদন অনুযায়ী-বর্তমানে বিশ্বের প্রায় দুইশ’ কোটি মানুষ তাদের চাহিদা মোতাবেক নিরাপদ পানির পরিমিত প্রাপ্যতা পাচ্ছে না এবং প্রায় অর্ধেক মানুষ বছরের কোনো না কোনো সময়ে পানির তীব্র সংকটে পড়ে। বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার মতে, জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার চাপে এই সংখ্যা বদ্ধি পেতে পারে। পানি সম্পদের দীর্ঘস্থায়ী ও টেকসই প্রাপ্যতা নিশ্চিতকরণ এবং নতুন কোনো বিপর্যয় ঠেকাতে পানির সুচিন্তিত ও পরিকল্পিত ব্যবহার ও ব্যবস্থাপনার বিকল্প নেই।