ডেস্ক রির্পোট:- বাংলাদেশ মিয়ানমার সীমান্তে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনী বিজেপির দখলে থাকা সর্বশেষ তিনটি ক্যাম্পের মধ্যে তুমব্রু রাইট ক্যাম্প ইতোমধ্যেই দখলে নিয়েছে আরাকান আর্মি। এই ক্যাম্প থেকে সর্বমোট ৭১ জন বিজেপি সদস্য পালিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। বাকিদের অনেকেই পালিয়ে বিভিন্ন জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছে এবং মাঝেমধ্যেই একজন দুইজন করে বাংলাদেশে প্রবেশ করছে। অন্যরা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সীমান্তের বিভিন্ন সূত্রে এই খবর নিশ্চিত হয়েছে পার্বত্যনিউজ।
তবে সকাল ১১ টা থেকে আরাকান আর্মির দখলে যাওয়া ক্যাম্পটি পুনরুদ্ধারে মিয়ানমার থেকে হেলিকপ্টার এসে তুমুল গোলাবর্ষণ করছে ওই ক্যাম্পে থাকা আরাকান আর্মির অবস্থানের ওপর।
এছাড়াও তুমব্রু লেফট ক্যাম্প হতে ২৪ জন এ পর্যন্ত পালিয়ে বাংলাদেশে চলে এসেছে। এ নিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করা বিজিপির মোট সদস্য সংখ্যা ৯৫ এ দাঁড়িয়েছে। ওই ক্যাম্পের আরো শতাধিক সদস্য বাংলাদেশ মিয়ানমার মৈত্রী ব্রিজের ওপারে মিয়ানমার সীমান্তের অভ্যন্তরে অবস্থান করছে। পরিস্থিতির আরো অবনতি ঘটলে তারা যেকোনো সময় বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারে।
এছাড়াও বিজেপির ডেকুবুনিয়া ক্যাম্পটি মূলত একটি ব্যাটালিয়ন হেডকোয়ার্টার পর্যায়ের সামরিক অবস্থান। এর অবস্থান বাংলাদেশ-মায়ানমার সীমান্ত থেকে ২ কিলোমিটার ভেতরে। বর্তমানে এখানে মিয়ানমার সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সাথে আরাকান আর্মির তুমুল যুদ্ধ চলছে। এই প্রতিবেদন লেখার সময় মিয়ানমার বিমান বাহিনীর সদস্যরা হেলিকপ্টারের সহায়তায় আরাকান আর্মির অবস্থানের ওপরে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছিল।
কিন্তু সীমান্ত পথে এই ব্যাটেলিয়ান হেডকোয়ার্টারে কোন প্রকার লজিস্টিক সাপোর্ট পাঠানোর মত অবস্থা মিয়ানমার সরকারের নেই। এখানে সড়কপথে যোগাযোগের সকল রাস্তা আরাকান আর্মি বন্ধ করে দিয়েছে। এ অবস্থায় ডেকোবুনিয়া ক্যাম্পটি আরাকান আর্মির প্রবল আক্রমণের মুখে কতক্ষণ টিকতে পারে সেটি দেখার বিষয়।
এদিকে বাংলাদেশ সীমান্তের ২৪-২৬ পিলারের ওপাশে আতঙ্কিত শতাধিক বার্মিজ চাকমা সদস্য জড়ো হয়েছে। তারা যেকোনো সময় বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে বিজিবি ইতোমধ্যেই পত্র এলাকায় পাহারা জোরদার করেছে।