ডেস্ক রিরোট:- পার্বত্য চট্টগ্রামের রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি ও বান্দরবানে মারমা জাতি উপর নির্যাতন নিপীড়ন চালানোর উদ্দেশ্যে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) তিন প্লাটুন সশস্ত্র সদস্য নিয়োগ করেছে একটি বিশেষ সূত্রে জানতে পেরেছে বলে মারমা ন্যাশনাল পার্টি (এমএনপি)’র পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে।
শনিবার (২৭ জানুয়ারি) এমএনপি কমান্ডো মংথেন নামের একটি ফেসবুক আইডি থেকে লাইভে এসে এমএনপির একজন কমান্ডার এ কথা জানান। অনুসন্ধানে জানা গেছে, যিনি লাইভে এসে জেএসএসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের হুমকি দিয়েছেন তিনি এমএনপির মেজর রনি মারমা।
উক্ত ভিডিওতে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, এবং বান্দরবান ও রোয়াংছড়িতে সশস্ত্র কার্যক্রম জোরদার করেছে জেএসএস। একই সাথে সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এমএনপির শুভাকাক্সক্ষী, সমর্থক এবং জেএসএস বিরোধী সরকার দলীয় লোক, যারা তাদের সাথে সমন্বয় করে চলে না তাদেরকে হত্যার পরিকল্পনা করেছে।
তিনি বলেন, জেএসএস সন্ত্রাসীদের গডফাদার সন্তু লারমা ও উষাতন তালুকদারের দিকনির্দেশনায় জেএসএস চাকমা সন্ত্রাসীরা কাপ্তাইয়ে অবস্থানরত হিতৈশী বাবু, মায়া বাবু, অপু চাকমা, তুফান, কাজল চাকমা, তিলক মারমা এবং মারমাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসী, মারমা দালাল এসমং মারমা, তাইপ্রু মারমা অবস্থান নিয়েছে। তাদের উদ্যোশে বলতে চাই, আগামী ১ তারিখের (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে রাজস্থলী উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন, কাপ্তাই উপজেলার তিনটি ইউনিয়ন এবং বিলাইছড়ি ও রোয়াংছড়ি থেকে সন্তু লারমা সশস্ত্র সন্ত্রাসীদের প্রত্যাহার না করলে এবং এমএনপির কোনো সমর্থক বা মারমা স¤প্রদায়ের কোনো ব্যক্তির উপর একটি ফুলের টোকাও যদি পড়ে তাহলে এমএনপি যুদ্ধ ঘোষণা করবে।
তিনি আরো বলেন, জেএসএস যদি আগামী ১ তারিখের (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে কাপ্তাই, রাজস্থলী, বিলাইছড়ি, রোয়াংছড়ি থেকে সশস্ত্র ক্যাডারদের সরিয়ে না নেয় তাহলে এমএনপি ১ ফেব্রুয়ারির পর যুদ্ধ ঘোষণা করবে। এ যুদ্ধ হবে মারমা জাতির মধ্যে থাকা মারমা দালালদের বিরুদ্ধে। এই যুদ্ধ হবে চাকমা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে। এ যুদ্ধ এতোই ভয়াবহ হবে যে, এই যুদ্ধ আর কখনো থামবে না। এই যুদ্ধ থামবে চাকমা সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করে। এই ধ্বংস কারার জন্য বর্তমানে এমএনপির সদস্যরা প্রস্তুত আছে।
এমএনপি কমান্ডার বলেন, প্রয়োজনে সন্ত্রাসীদের ধ্বংস করার জন্য যদি তিন পার্বত্য জেলায় এমএনপির সদস্যদের নিয়োগ করতে হয় তাহলে অবশ্যই করবো।
তিনি সন্তু লামরামকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আমি জেএসএস সন্ত্রাসীর গডফাদার সন্তু লারমাকে বলতে চাই, জেএসএস সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা যদি মনে করে এমএনপি অনেক দুর্বল তাহলে আপনারা বোকার রাজ্যে বসবাস করছেন। আপনার মনে রাখা উচিত, এক বছর আগেও খাগড়াছড়িতে আমরা আত্মপ্রকাশ করার চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু বাংলাদেশ সরকার আমাদের আত্মপ্রকাশ করতে দেয়নি। আপনারা সব সময় বলেন, আমরা সেনবাহিনীর নাকের ডগায় থাকি। সেনাবাহিনী আমাদের ইন্ধন দেয়। সেনাবাহিনী ইন্ধন দেয় এ ধরনের কথা বলে মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন। আজকে তিন পার্বত্য জেলার মানুষ আপনার চরিত্র সম্পর্কে বুঝে গেছে। সবাই এখন জানে, কারা এখন দালালি করে, কারা দালালি করে না। আপনি সরকারের দালালি করেন বলেই সেনাবাহিনীর সব প্রোগ্রামে প্রধান অতিথি থাকেন।
তিনি বলেন, সন্তু লারমা, আপনি যদি আপনার দলের কর্মীদের ১ তারিখের (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যে কাপ্তাই, রাজস্থলী ও বান্দরবান থেকে সরিয়ে না নেন, তাহলে এবার যে যুদ্ধ হবে সে দায় সম্পূর্ণ আপনাকে বহন করতে হবে। এই যুদ্ধ থামানোর জন্য আপনার তখন কিছুই করার থাকবে না।সুৃত্রপার্বত্যনিউজ