শিরোনাম
রাঙ্গামাটির চম্পকনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতিদের পাশে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে,এসব আসনের পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে, নির্বাচনের আগেই সমাধান চেয়ে অর্ধশত আবেদন পটিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত রাঙ্গামাটির সাজেকে পর্যটকদের ঢল, খালি নেই কোনও রিসোর্ট খাগড়াছড়িতে জিপ উল্টে নিহত ১ সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম হদিস নেই ১৬৩টি অস্ত্র ও ১৮ হাজারের বেশি গুলির,লুণ্ঠিত অস্ত্রের বেশীর ভাগ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে জেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা ছয় দিন ও উপজেলা পর্যায়ে এক দিন : ডিসি র‌্যাব বিলুপ্তিসহ পুলিশ সংস্কারে বিএনপির ৫ সুপারিশ মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, আবেদন শুরু মঙ্গলবার

মেয়েকে বলেছিলাম, বন্ধুরা গেলে যাইয়ো, লাশ হয়ে ফিরবে ভাবিনি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ২১ জানুয়ারী, ২০২৪
  • ১৪২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:-বান্দরবানে পর্যটকবাহী জিপ খাদে পড়ে নিহত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জয়নব খাতুনের (২৩) বাড়ি কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলায়। দরিদ্র পরিবারের একমাত্র আশার আলো ছিল মেধাবী এই শিক্ষার্থী। জিপ খাদে পরে মৃত্যুর ঘটনায় তার পরিবারের সবার সেই আশা যেন পাহাড়ের খাদেই বিলীন হয়ে গেছে। শনিবার (২০ জানুয়ারি) রাতে জয়নবের বাবা ও বড় ভাইয়ের সঙ্গে কথা হলে তারা এভাবেই নিজেদের শোকানুভূতি প্রকাশ করেন।

জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্রিমিনোলজি বিভাগে স্নাতকোত্তর শিক্ষার্থী ছিলেন। তার বাড়ি রৌমারী উপজেলার সদর ইউনিয়নের মন্ডলপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবদুল জলিল এবং মায়ের নাম জুলেখা বেগম। তিন ভাইবোনের মধ্যে জয়নব সবার ছোট।

জয়নবের বড় ভাই মেহেদী হাসান বাবু বলেন, ‘জয়নব আমাদের পরিবারের একমাত্র আশার আলো ছিল। তাকে ঘিরেই আমাদের সকল স্বপ্ন আবর্তিত হতো। সেই বোন এভাবে পৃথিবী থেকে চলে যাবে তা ভাবতেও পারিনি। আমি এখন তার লাশ আনতে ঢাকার পথে রয়েছি।’

‘আমাদের মতো প্রত্যন্ত গ্রাম আর দরিদ্র পরিবার থেকে জয়নব ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। সে কোনও কোচিং কিংবা প্রাইভেট পড়েনি। শুধু বাড়িতে পড়েই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছিল। আমাদের বিশ্বাস ছিল সে জীবনে ভালো কিছু করবে। তার কোনও চাওয়া আমরা অপূর্ণ রাখতাম না। নিজেরা খাই না খাই তার চাওয়া পাওয়া পূরণ করার চেষ্টা করতাম’—যোগ করেন মেহেদী।

জয়নবের বাবার আবদুল জলিল বলেন, ‘মেয়ের মারা যাওয়ার খবরে ওর মা বাকহীন হয়ে গেছে। আমি কথা বলতে পারছি না। শুধু চাই, মেয়েটাকে গ্রামে আইনা এইখানে রাখবো (কবর দেবো)। আমি কিছু বুঝি না। ছেলেকে পাঠাইছি। আপনারা একটু সাহায্য করেন।’

জয়নবের সঙ্গে সর্বশেষ কথোপকথন নিয়ে তার বাবা বলেন, ‘মেয়ে ঘুরতে যেতে চেয়ে ফোন দিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, বন্ধুরা সবাই গেলে যাইয়ো। এরপর আর কথা বলতে পারি নাই। কিন্তু লাশ হয়ে ফিরবে ভাবিনি।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার ৪৫ জনের একটি পর্যটক দল বান্দরবান জিপ-মাইক্রোবাস স্টেশন থেকে পাঁচটি পর্যটকবাহী গাড়ি নিয়ে কেউক্রাডং ভ্রমণে যায়। শনিবার সকালে ফেরার পথে রুমা-কেউক্রাডং সড়কের রুমসংপাড়া ও দার্জিলিং পাড়ার মাঝামাঝি এলাকার চিংড়ি ঝিরি নামক স্থানে গেলে একটি ভি-৭০ চাঁদের গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পাহাড়ের খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারী নিহত হন। আহত হন ১২ জন। নিহত দুই জনের একজন কুড়িগ্রামের জয়নব খাতুন।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions