শিরোনাম
রাঙ্গামাটির চম্পকনগরে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতিদের পাশে জীবন ইয়ুথ ফাউন্ডেশন সীমানা জটিলতা ৬২ আসনে,এসব আসনের পরিবর্তন এসেছিল ২০০৮ সালে, নির্বাচনের আগেই সমাধান চেয়ে অর্ধশত আবেদন পটিয়া প্রেসক্লাবের নির্বাচন স্থগিত রাঙ্গামাটির সাজেকে পর্যটকদের ঢল, খালি নেই কোনও রিসোর্ট খাগড়াছড়িতে জিপ উল্টে নিহত ১ সাড়ে ১২ বছরের কম বয়সী মুক্তিযোদ্ধা ২১১১, বাদ যাচ্ছে নাম হদিস নেই ১৬৩টি অস্ত্র ও ১৮ হাজারের বেশি গুলির,লুণ্ঠিত অস্ত্রের বেশীর ভাগ পার্বত্য চট্টগ্রামের বিভিন্ন সন্ত্রাসী সংগঠনের হাতে জেলা পর্যায়ে বিজয় মেলা ছয় দিন ও উপজেলা পর্যায়ে এক দিন : ডিসি র‌্যাব বিলুপ্তিসহ পুলিশ সংস্কারে বিএনপির ৫ সুপারিশ মেডিক্যালে ভর্তি পরীক্ষা ১৭ জানুয়ারি, আবেদন শুরু মঙ্গলবার

ভারতকে বেদনা নীল করে চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ নভেম্বর, ২০২৩
  • ২৬৩ দেখা হয়েছে

ক্রীড়া ডেস্ক:-মঞ্চটা প্রস্তুত করেই নেমেছিল ভারত। ক্রিকেটের দিক থেকে ধারণক্ষমতায় সর্বোচ্চ স্টেডিয়ামে শিরোপা উদ্‌যাপন করবে তারা। সেভাবেই প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন ভারতের দর্শক–সমর্থকেরাও। কিন্তু ১ লাখ ৩০ হাজার দর্শক ধারণক্ষমতার আহমেদাবাদে বিপরীত চিত্র দেখল ভারত।

১২ বছর পর বিশ্বকাপ জয়ের যে স্বপ্ন দেখছিল ভারত তা বাস্তবে রূপ নেয়নি। আহমেদাবাদের নীল গর্জনকে নিস্তব্ধ করে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। যেমনটি ম্যাচ পূর্ববর্তী সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।

ভারতের স্বপ্ন বিনষ্ট করে নিজেদের অপেক্ষা ফুরাল অস্ট্রেলিয়া। ৬ উইকেটের জয়ে ৮ বছর পর আবারও সোনালি ট্রফিতে চুমু দিল তারা। এতে করে ষষ্ঠবারের মতো বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলো অস্ট্রেলিয়া।

দুর্দান্ত ছন্দে থাকা ভারতকে ২৪০ রানে আটকিয়ে প্রথম ইনিংসেই জয়ের কাজটা কিছুটা করে রেখেছিল অস্ট্রেলিয়া। পরে বাকি কাজটুকু সেরেছেন অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটাররা। ব্যাটাররা না বলে অবশ্য বলা যায় ট্রাভিস হেডের কাছেই হেরেছে ভারত। তাঁর দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতেই ভারত একদম উড়েই গেছে ফাইনালে।

আহমেদাবাদে শুরুতে অবশ্য চাপেই পড়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ডেভিড ওয়ার্নারকে ৭ রানে ফেরান এবারের বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি মোহাম্মদ শামি। দলীয় ৫০ রান হওয়ার আগেই হারান আরও ২ উইকেট।

এবার জোড়া আঘাতটা দেন জাসপ্রীত বুমরা। ৭ রানের মধ্যে ২ উইকেট নেন তিনি। মিচেল মার্শের পর স্টিভেন স্মিথকে ফেরান ভারতীয় পেসার। ৪৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে তখন ব্যাকফুটে অস্ট্রেলিয়া। তবে পরের গল্পটা পুরোটাই পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের।

চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন ট্রাভিস হেড–মারনাস লাবুশানে। ১৯২ রানের জুটি গড়ে অস্ট্রেলিয়াকে শুধু ঘুরে দাঁড়াতেই সহায়তা করেননি, ভারতের কাছ থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছেন দুজনে। দ্রুত ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ায় লাবুশানে খেলা ধরলেও নিজের আক্রমণাত্মক স্টাইলেই ব্যাটিং করেছেন হেড। সপ্তম ব্যাটার হিসেবে বিশ্বকাপের ফাইনালে সেঞ্চুরি করেছেন বাঁহাতি ব্যাটার।

দলের জয় যখন নিশ্চিত ঠিক তখনই আউট হয়েছেন হেড। ২ রানের দূরত্ব ঘোচানোর আগে ১৩৭ রানে আউট হয়েছেন তিনি। ১২০ বলের দুর্দান্ত ইনিংসটি ৪ ছক্কা ও ১৫ চারে সাজিয়েছেন বাঁহাতি ব্যাটার। গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ব্যাটিংয়ে নেমে প্রথম বলেই জয় নিশ্চিত করেন। তাঁর ২ রানের বিপরীতে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন লাবুশানে। তাদের ৭ উইকেটের জয়ে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ের অপেক্ষা আরও বেড়ে গেল।

এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ২৪০ রান করে ভারত। ফাইনালের আগে অপরাজিত থাকা ভারত শুরুটা দুর্দান্ত করলেও মিডল অর্ডারদের ব্যর্থতায় একটা সময় দুই শ হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা জেগেছিল। শেষ পর্যন্ত মাঝারি রানের সংগ্রহটা পেয়েছে দুই ব্যাটার বিরাট কোহলি ও লোকেশ রাহুলের ফিফটিতে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৬ রান করেছেন রাহুল। আর ৫৪ রান করেন কোহলি। ৫৫ রানে ৩ উইকেট নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার সেরা বোলার পেসার মিচেল স্টার্ক।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions