শিরোনাম
তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে— সাইফুল ইসলাম শাকিল পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তার জন্য কাজ করতে হবে–সন্তু লারমা রাঙ্গামাটিতে ঠাণ্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে বৃদ্ধ দগ্ধ বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বাম দলগুলো ডেঙ্গুতে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সর্বাধিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বিএনপির শতাধিক নেতার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ছিল দেশের স্বার্থবিরোধী প্রকল্প ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি শিক্ষার্থীদের নতুন দল ঘিরে রাজনীতিতে নানা সমীকরণ,নাম-নেতৃত্ব-কমিটি ও গঠনতন্ত্র চূড়ান্ত হয়নি

ভোটের মাঠে নির্বাচনে বড় ফ্যাক্টর ইউপিডিএফ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৪২৩ দেখা হয়েছে

খাগড়াছড়ি:-পাহাড়, বিস্তৃত উপত্যকায় ঘেরা ৯টি উপজেলা নিয়ে গঠিত খাগড়াছড়ি জেলায় সংসদীয় আসন একটিই। আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যে এ আসনের রাজনীতি চাঙা হয়ে উঠেছে। নির্বাচনী মাঠ ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা করছেন নানা হোমওয়ার্ক। সাধারণ ভোটারদের মধ্যে বিরাজ করছে ব্যাপক আগ্রহ। শেষ পর্যন্ত কে হবেন এলাকার কর্ণধার, সেটিই এখন তাঁদের ভাবনার মূল বিষয়।

তবে দেশের অন্যান্য জেলা থেকে পার্বত্য এলাকার হিসাব-নিকাশ বরাবরই আলাদা। ভিন্ন বাস্তবতার কারণে এখানকার রাজনৈতিক সমীকরণ বেশ জটিল। সমতলে লড়াইটা আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলেও পার্বত্য এলাকায় তা নয়। এখানে আঞ্চলিক সংগঠনেরও বেশ প্রভাব রয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা বলছেন, বিএনপি নির্বাচনে না এলে খাগড়াছড়িতে নির্বাচনের বড় ফ্যাক্টর হবে আঞ্চলিক সংগঠন প্রসীত
বিকাশ খীসা নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)। তাই কোন দলের প্রার্থী বিজয়ী হবেন, তা অনেকটা নির্ভর করবে আঞ্চলিক দলটির প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ সমর্থনের ওপর।

পরিসংখ্যান বলছে, নব্বই-পরবর্তী নির্বাচনগুলোয় এই আসনে আওয়ামী লীগ জিতেছে পাঁচবার এবং বিএনপি জিতেছে মাত্র একবার।

বর্তমানে এই আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগের কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এবারও তাঁর ওপরই আস্থা রাখতে চান দলটির নেতা-কর্মীরা। স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সামনের নির্বাচনেও কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরাকে দলের মনোনয়ন দেওয়া হবে। এর আগে দুই মেয়াদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, ‘মনোনয়ন দেওয়ার এখতিয়ার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার। তবে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার ওপরই আমাদের ভরসা। তাঁর কোনো বিকল্প নেই।’

একই সুরে কথা বলেছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশুতোষ চাকমা। তিনি বলেন, ‘বর্তমান এমপির নেতৃত্বে খাগড়াছড়িতে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। এলাকার মানুষের সঙ্গে তাঁর ভালো যোগাযোগ রয়েছে। আমি মনে করি, তাঁকে মনোনয়ন দিলেই দল খাগড়াছড়ির আসনটিতে জয়ী হবে।’

তবে একাদশ সংসদ নির্বাচনের মতো দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনেও নৌকার মনোনয়ন চাইবেন জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি কংজরী চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমি এবারও দলের মনোনয়ন চাইব। দল মনোনয়ন দিলে নির্বাচন করব। না দিলে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নেব।’

এ ছাড়া জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এবং পানছড়ি কলেজের অধ্যক্ষ সমীর দত্ত চাকমাও মনোনয়ন চাইতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

এদিকে জেলা বিএনপিতে দৃশ্যত কোনো বিরোধ নেই। ২০০১ সালে বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে নির্বাচিত হন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য ওয়াদুদ ভূঁইয়া। তাঁর নেতৃত্বে এককাট্টা জেলা বিএনপি। তিনি বিএনপির শাসনামলে উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেন। ওয়াদুদ ভূঁইয়া বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো ভাবনা নেই। কবে সরকার বিদায় হবে, সেটা নিয়ে আমরা ভাবছি। এই সরকারের অধীনে যেহেতু আমরা নির্বাচনে যাব না, সে ক্ষেত্রে প্রার্থী দেওয়ার প্রশ্নও আসে না।’

খাগড়াছড়িতে পাহাড়ি ভোটারের সংখ্যা বেশি হওয়ায় ইউপিডিএফ নির্বাচনে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী। দূরবর্তী ও দুর্গম এলাকায় বিপুল ভোটার থাকলেও সেসব স্থানে আওয়ামী লীগ বা বিএনপির প্রভাব কম। ফলে ভোটের ব্যবধান গড়ে দেবে দুর্গম পাহাড়ি-অধ্যুষিত কেন্দ্রগুলো। তাই আগামী নির্বাচনে ইউপিডিএফ যে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, সেই বিষয়ে দ্বিধা নেই। বিগত সংসদ নির্বাচনেও ইউপিডিএফ বিপুল ভোট পেয়েছে। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন হলে এই দলের প্রার্থীকে জয়ের সম্ভাব্য তালিকা থেকে বাদ রাখাটা কঠিন।

সংগঠনটির জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা বলেন, ‘দলের যেহেতু নিবন্ধন নেই, সে ক্ষেত্রে আমরা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করব। পাহাড়িদের অধিকারের কথা বলার জন্য, সংসদে যাওয়ার জন্য আমরা নির্বাচন করব। তবে এখনো আমরা প্রার্থী চূড়ান্ত করিনি।’আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions