ডেস্ক রির্পোট:- প্রেমের পর বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ইডেন কলেজের এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে জড়ান ঢাকা কলেজের সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও সিরাজগঞ্জের তারাশ উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটির এক সদস্য। একপর্যায়ে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েন। এরপর ওই সাবেক নেতাকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তিনি প্রেমের সম্পর্ক অস্বীকার করেন।
এ ঘটনায় রোববার (৫ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর লালবাগ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন চার সপ্তাহের অন্তঃসত্ত্বা ওই ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। মামলায় আরও দুজনকে আসামি করা হয়েছে।
লালবাগ থানার উপপরিদর্শক ফাইয়াজ হোসেন মামলার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমরা মামলাটি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি। দ্রুতই আসামি গ্রেপ্তার করে ফেলব। সাক্ষ্য-প্রমাণ জোগাতে একটু সময় লাগছে।’
মামলার এজাহারে বলা হয়, সিরাজগঞ্জে পাশাপাশি এলাকায় বাড়ি হওয়ায় ঢাকায় তাঁর (সাবেক ছাত্রলীগ নেতা) সঙ্গে ভালো সম্পর্ক হয়। নানা ধরনের সহায়তার মাধ্যমে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর কাছে বিশ্বস্ত হয়ে ওঠেন সেই ছাত্রলীগ নেতা। একপর্যায়ে এই সম্পর্ক প্রেমে গড়ায়। সেখান থেকেই বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এই নেতা। পরে বিভিন্ন সময় ভুক্তভোগী নেতাকে বিয়ের কথা বললেও তিনি তা এড়িয়ে যান। এর কয়েক দিন পরে ভুক্তভোগী ধানমন্ডি ল্যাব এইড হাসপাতালে শারীরিক পরীক্ষা করে জানতে পারেন তিনি অন্তঃসত্ত্বা। এই খবর পেয়ে সেই সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ভুক্তভোগীকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দেন। এতে ভুক্তভোগী রাজি না হলে তিনি যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন কনে।
এ বিষয়ে অভিযুক্তের সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করার জন্য কল করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।আজকের পত্রিকা