ডেস্ক রির্পোট:- আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কতগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে সে ব্যবহারে সিদ্ধান্ত নেয়নি নির্বাচন কমিশন (ইসি)। হাতে থাকা কতটি যন্ত্র ব্যবহারযোগ্য তা নিশ্চিত হতে সময় লাগবে আগামী মার্চ পর্যন্ত। তবে এরই মধ্যে ইসির ইভিএম প্রকল্পের পরিচালক কর্ণেল সৈয়দ রাকিবুল হাসান জানিয়েছেন, ‘হাতে থাকা ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার যন্ত্রেই ত্রুটি পাওয়া গেছে।’
আজ বুধবার আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে নিজ দপ্তরে এ তথ্য জানান ইভিএম প্রকল্প পরিচালক।
রাকিবুল হাসান বলেন, ‘দেড় লাখ ইভিএমের মধ্যে ৭০ হাজার প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ মেশিন টুলস ফ্যাক্টরিতে (বিএমটিএফ) সংরক্ষিত রয়েছে। ৮০ হাজার মেশিন মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন নির্বাচনে ব্যবহার হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ৮০ হাজার ইভিএমের মধ্যে ৪০ হাজার কাঠের বাক্সে পাঠানো হয়েছিল। বাকি ৪০ হাজার পাঠানো হয়েছিল কাগজের বাক্সে। বর্তমানে এগুলোর মান যাচাই করা হচ্ছে। তবে কাগজের বাক্সে পাঠানো ইভিএমগুলোতেই ত্রুটি পাওয়া গেছে।’
রাকিবুল হাসান আরও জানান, বিএমটিএফে যে ৭০ হাজার মেশিন ছিল, সেগুলোর মধ্য থেকেও কিছু কিছু ব্যালট ইউনিট বিভিন্ন স্থানীয় নির্বাচনে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু কিছু জায়গায় একটি কন্ট্রোল ইউনিটের বিপরীতে একাধিক ব্যালট ইউনিটের প্রয়োজন পড়েছে। এ ক্ষেত্রে সেই ৭০ হাজার মেশিনের সেট (কন্ট্রোল ইউনিট, ব্যালট ইউনিট প্রভৃতি) মেলাতে হবে।
প্রকল্প পরিচালক বলেন, ‘সব মিলিয়ে ৩৫ শতাংশ কোয়ালিটি চেকিং (কিউসি) করা বাকি আছে। বিএমটিএফ কাজটি করছে। এ ক্ষেত্রে আগামী মার্চের মধ্যে জানা যাবে সংসদ নির্বাচনে কতটি মেশিন ব্যবহারযোগ্য। তাই এখন বলা সম্ভব নয়। নতুন প্রকল্প স্থগিত হওয়ায় আমাদের হাতে থাকা দেড় লাখ ইভিএম দিয়ে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি ঠিক কতটি মেশিন রেডি করা যায়।’
ইভিএম প্রকল্পের এই পরিচালক জানান, কোনো আসনে তিন লাখ ভোটার রয়েছে। আবার কোনো আসনে ১৯ লাখ ভোটার রয়েছে। তাই ইভিএম কতটি আসনে ব্যবহার করা যায় তা নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের ওপর।
সর্বোচ্চ ১৫০টি আসনে ইভিএম ব্যবহার করার জন্য সম্প্রতি ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ নতুন একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। তবে আর্থিক সংকটের কারণে আপাতত সেই প্রকল্পটির প্রক্রিয়াকরণ স্থগিত করেছে সরকার। এর পরিপ্রেক্ষিতে হাতে থাকা ইভিএম দিয়েই সংসদ নির্বাচন করার পরিকল্পনা নিয়েছে ইসি। এ নিয়ে বিভিন্ন সময় নির্বাচন কমিশনাররা জানিয়েছেন, ৫০ থেকে ৭০টি আসনে তারা ইভিএমে ভোট আয়োজন করতে পারবে।