ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সম্মিলিত সংগ্রাম চলছে—এমন মন্তব্য করে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘সংগ্রাম সফলতার দিকে ধাবিত হচ্ছে। অগণতান্ত্রিক, গণবিরোধী সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে বেগম খালেদা জিয়ার লালিত স্বপ্ন গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে।’
আজ বুধবার খালেদা জিয়ার কারাগারে যাওয়ার পাঁচ বছর পূর্তির দিনে এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন। বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও তাঁর বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান বিএনপির মহাসচিব।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে বন্দী রাখা মানে গণতন্ত্রকে বন্দী রাখা। সরকার খালেদা জিয়াকে বন্দী রেখে গণতন্ত্রকে বন্দী রেখেছে। খালেদা জিয়া মুক্ত হলে গণতন্ত্রের মুক্তি হবে। গণতন্ত্রের মুক্তি হলেই খালেদা জিয়ার মুক্তি মিলবে। জনগণ আজ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সংগ্রামে অবতীর্ণ। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে খালেদা জিয়ার মুক্তি, গণতন্ত্রবিরোধী সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি সন্নিবেশিত করে ১০ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই এই ১০ দফা দাবি জনগণের ব্যাপক সমর্থন লাভ করেছে। সরকার এ দাবিকে অগ্রাহ্য করে একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন অব্যাহত রাখতে ষড়যন্ত্র করছে। হত্যা, গুম, খুন, মিথ্যা মামলা, গ্রেপ্তার ও ব্যাপক দমন-নিপীড়ন চালিয়ে, মানবাধিকার হরণ করেও ফ্যাসিস্ট সরকার আন্দোলন দমন করতে পারছে না। সব বাধা অতিক্রম করে আন্দোলন এগিয়ে চলছে দ্রুত গতিতে।’
২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কারাবন্দী হন খালেদা জিয়া। দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দুই বছরের বেশি সময় কারাভোগের পর করোনাভাইরাস মহামারির মধ্যে ২০২০-এর ২৫ মার্চ নির্বাহী আদেশে সাময়িক মুক্তি পান। এর পর থেকে তিনি গুলশানের ভাড়া বাসায় আছেন। আর্থরাইটিস ব্যথা, ডায়াবেটিস, চোখের সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত নানা সমস্যার পাশাপাশি তিনি লিভারের গুরুতর অসুখে ভুগছেন বলে জানিয়েছেন তাঁর চিকিৎসকেরা। সুচিকিৎসার জন্য খালেদা জিয়াকে দেশের বাইরে পাঠানোর সুপারিশ করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে পরিবারের পক্ষ কয়েক দফায় আবেদন করা হলেও তাতে সাড়া দেয়নি সরকার।