ডেস্ক রির্পোট:- ফেনীর দাগনভূঞায় এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে স্থানীয় যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে মামলা করলে রাতেই পুলিশ অভিযান চালিয়ে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত যুবলীগ নেতার নাম দেলোয়ার হোসেন (৩০)। তিনি উপজেলার মাতুভূঞা ইউনিয়নের উত্তর আলীপুর এলাকায় ৫ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উত্তর আলিপুর গ্রামের সারেং বাড়ির জসীম উদ্দীনের ছেলে।
পুলিশ জানায়, বছর চারেক আগে যুবলীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন প্রতিবেশী এক প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণ করেন। তিনি কৌশলে ওই ঘটনার ভিডিও ধারণ করেন। ওই ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া ও দুই সন্তানসহ পরিবারের সদস্যদের হত্যার হুমকি দিয়ে চার বছর ধরে বিভিন্ন সময়ে তাঁকে ধর্ষণ করে আসছিলেন দেলোয়ার। দুই সন্তানের কথা চিন্তা করে ওই গৃহবধূ বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন। নানা অজুহাতে বেশ কয়েকবার ওই যুবলীগ নেতা গৃহবধূকে মারধরও করেন। দুই মাস আগে গৃহবধূর স্বামী দেশে ফিরে আসেন। স্বামীর কাছেও বিষয়টি গোপন রাখার চেষ্টা করেন গৃহবধূ। কিন্তু স্বামী দেশে আসার পরও যুবলীগ নেতা উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন। পরে বাধ্য হয়ে স্বামীর কাছে বিষয়টি জানান। স্বামীর সঙ্গে পরামর্শ করে বিষয়টি স্থানীয় মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে অবহিত করেন তিনি। গৃহবধূর স্বামী যুবলীগ নেতা দেলোয়ারকে ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ করেন। কিন্তু এতে দেলোয়ার আরও ক্ষিপ্ত হন।
মাতুভূঞা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, ঘটনাটি ভুক্তভোগীর পরিবার তাঁকে জানিয়েছেন। ঘটনাটি সত্য হলে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দাগনভূঞা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাসান ইমাম বলেন, ধর্ষণের ঘটনায় এক গৃহবধূর দায়ের করা মামলায় দেলোয়ার হোসেন নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার দুপুরে তাঁকে ফেনীর আদালতে পাঠানো হবে।