শিরোনাম
বিশ্ববিদ্যালয়গুলো খোলার আগে ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনার উদ্যোগ কোটা সংস্কার আন্দোলন চিকিৎসাধীন তিনজনের মৃত্যু, নিহত বেড়ে ২০৬,ছুটির দিনেও রাজধানী ফাঁকা এএসআই মোক্তাদিরের ওপর নৃশংসতায় স্তব্ধ পরিবার সারা দেশে অভিযান,এলাকা ভাগ করে ‘ব্লক রেইড’ ‘গুলি আর কারা করবে, আমরা নিরস্ত্র ছিলাম’-মিফতাহ সিদ্দিকী ‘এত মৃত্যু দেখে কেউ চুপ থাকতে পারে না’ কোটা বিক্ষোভ দমনের পর প্রান্তসীমায় বাংলাদেশ,ক্রাইসিস গ্রুপের রিপোর্ট নতুন নির্বাচন দাবি ড. ইউনূসের গণতন্ত্রে রাষ্ট্রের মালিক জনগণ ফেসবুক খুলবে কবে? এই মাধ্যম এখন আন্তর্জাতিকভাবে জাতিসংঘ ঘোষিত মৌলিক মানবাধিকার দেশব্যাপী সাঁড়াশি অভিযান ৫৫০ মামলা ৬ হাজারের বেশি গ্রেপ্তার

রাষ্ট্রপতি কে হচ্ছেন ধারণা মিলবে আজ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩০২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- রাষ্ট্রপতি পদে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের প্রার্থী চূড়ান্ত হতে পারে আজ মঙ্গলবার। আজ আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হতে পারে। জাতীয় সংসদে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীই হবেন দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি।

সংসদ সচিবালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সভাকক্ষে আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের বৈঠক হবে। দলটির ১০ জনের বেশি সংসদ সদস্য গতকাল সোমবার বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে সংসদীয় দলের বৈঠক হবে।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর প্রভাবশালী একজন সদস্য বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে কাকে দলীয় সমর্থন দেওয়া হবে, এ নিয়ে দলের কোনো ফোরামেই এখনো আলোচনা হয়নি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্নজনের নাম শোনা গেলেও এর কোনো ভিত্তি নেই। সংসদীয় দলের বৈঠকেই তা চূড়ান্ত করা হবে। তাঁকেই মনোনয়ন দেওয়া হবে, যিনি চরম দুঃসময়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও দলের প্রতি আনুগত্য দেখাবেন।

রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন পাওয়ার ক্ষেত্রে যাঁদের নাম শোনা যাচ্ছে তাঁরা হলেন জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা মসিউর রহমান, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান ফিজার, সাবেক প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফীন সিদ্দিকসহ কয়েকজন।

আগামী ২৪ এপ্রিল রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের মেয়াদ শেষ হবে। নির্বাচন কমিশনের তফসিল অনুযায়ী দেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য ১২ফেব্রুয়ারির মধ্যে মনোনয়নপত্র জমা দিতে হবে। ১৩ ফেব্রুয়ারি মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই। একাধিক প্রার্থী থাকলে ১৯ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদে ভোট গ্রহণ হবে। এ নির্বাচনে ভোট দেবেন সংসদ সদস্যরা। ডিসেম্বরের শেষ দিকে কিংবা আগামী জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে জাতীয় নির্বাচন হবে। তাই এ সময়ে রাষ্ট্রপতি কে থাকবেন তা নিয়ে মানুষের আগ্রহ রয়েছে।

রাষ্ট্রপতি পদের প্রার্থীর সমর্থক ও প্রস্তাবক হন সংসদ সদস্যরা। প্রার্থী না দেওয়ার বিষয়টি ইতিমধ্যে জানিয়ে দিয়েছে বিরোধী দল জাতীয় পার্টি।আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর একজন সদস্য বলেন, সংসদীয় দলের সভায় প্রার্থী চূড়ান্ত করার পাশাপাশি প্রস্তাবক ও সমর্থক কারা হবেন, সেটাও চূড়ান্ত করা হবে। রাষ্ট্রপতি পদে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ উপনেতা প্রস্তাবক এবং সমর্থক হতে পারেন। তা না হলে ওবায়দুল কাদের ও চিফ হুইপ প্রস্তাবক ও সমর্থক হবেন।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য এবং সংসদ সদস্য মিলিয়ে প্রায় ২০ জনের সঙ্গে কথা হয় আজকের পত্রিকার। তাঁদের অধিকাংশই বলেন, রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় সমর্থন নিয়ে হাইকমান্ড এখনো কোনো সবুজ সংকেত না দেওয়ায় তাঁরা নির্দিষ্ট কোনো নাম বলতে পারছেন না।

সভাপতিমণ্ডলীর এক সদস্য বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পদে রাজনৈতিক না অরাজনৈতিক ব্যক্তিকে মনোনয়ন দেওয়া হবে তা নিয়েই এখন আলোচনা হচ্ছে। অরাজনৈতিক ব্যক্তি রাষ্ট্রপতি হলে কী কী সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সেটাও বিবেচনা করা হচ্ছে। এর আগে সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন আহমদকে রাষ্ট্রপতি বানিয়েছিলাম। কিন্তু দুঃসময়ে তিনি কী ভূমিকা রেখেছেন, সেটা তো আমরা সবাই দেখেছি। আর বিএনপি অরাজনৈতিক ব্যক্তি ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদকে রাষ্ট্রপতি করে কী ফল পেয়েছেন, সেটাও জানি সবাই। সবকিছু বিবেচনা করে রাজনৈতিক ব্যক্তিকেই রাষ্ট্রপতি পদে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।’

গতকাল জাতীয় সংসদ ভবনে একটি মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি বলেন, ‘এখনো নির্দিষ্ট করে কারও নাম শুনিনি।মঙ্গলবার সংসদীয় দলের বৈঠকেই সব পরিষ্কার হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ এক ব্যক্তির পরামর্শ চেয়েছেন বলে আমরা শুনেছি। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর প্রতি শতভাগ অনুগত কাউকে মনোনয়ন দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বলে আমরা জেনেছি।’

১৯৯১ সালে সংসদীয় গণতন্ত্রে প্রত্যাবর্তনের পর একবারই রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোট হয়েছিল। ওই ভোটে সরকারি দলের প্রার্থী বিজয়ী হয়েছিলেন। এরপর প্রতিবারই ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হয়েছেন।আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions