ডেস্ক রির্পোট:- বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসর মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সরকার চরম দুর্নীতি ও লুটপাটের মাধ্যমে বাংলাদেশের কোষাগার শূন্যের কোটায় নিয়ে গেছে। ব্যাংক থেকে টাকা ধার নিয়ে দেশ চালাচ্ছে। তার উপরে আবার ৫০ হাজার কোটি টাকার নতুন নোট ছাপিয়েছে। তারা যে কিভাবে দেশ চালাচ্ছে-এটা মানুষের জানা দরকার। মেঘা প্রজেক্ট আর উন্নয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের টাকা শুধু লুটপাট করেই দেশের তহবিল খালি করেনি, এই টাকা বিদেশে পাচার করে দিয়েছে।
সোমবার দুপুরে রাজধানীর বনানী এলাকায় নিজস্ব কার্যালয়ে তিনি সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরবর্তী রাষ্ট্রপতি কে হল-এ নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের মধ্যে বিন্দুমাত্র কোনো আগ্রহ নেই। বাংলাদেশের মানুষ আগামী নির্বাচনে তার নিজের ভোট দিয়ে একটি গণতান্ত্রিক সরকার দেখতে চায়। যে সরকারের জবাবদিহিতা থাকবে। এর বাইরে মানুষের কোনো আগ্রহ নেই।
তিনি বলেন, সরকার একদিকে মেঘা প্রজেক্টের নামে দুর্নীতি করে বিদেশে টাকা পাচার করেছে। অন্যদিকে লুটপাট করে ব্যাংকগুলো খালি করে দিয়েছে। টাকা ও ডলারের অভাবে এলসি খুলতে পারছে না। পুরো বিষয়টি হচ্ছে একটি অবৈধ দখলদার সরকার ক্ষমতায় রয়েছে, যাদের জনগণের কাছে কোন জবাবদিহি করতে হচ্ছে না। প্রতিনিয়ত দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পাচ্ছে। প্রতিটি জায়গায় লুটপাটের কারণে মূল্য বেড়ে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, অবৈধ দখলদার সরকার জনগণ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ক্ষমতা দখল করে স্থায়ীভাবে থাকতে চাচ্ছে। তারা চাচ্ছে এখানে একটি সহিংসতা। তারা বিরোধীদলে থাকতেও আগুন সন্ত্রাস করেছে, সরকারি দলে এসেও আগুন সন্ত্রাস করেছে। আবার এখন আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে সুতরাং এরা চাচ্ছে একটি মারাত্মক সহিংসতা। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ সহিংসতা চায় না। তারা চাচ্ছে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে ক্ষমতা হস্তান্তর, তারা জনগণের নির্বাচিত সরকার গঠন করতে চায়। সুতরাং আন্দোলন সেদিকেই চলছে। এটাই আন্দোলনের ধারা, আমাদের এর বাইরে যাওয়ার কোনো প্রশ্নই ওঠে না।
সাবেক এই মন্ত্রী বলেন, জনশক্তির উপর কোন শক্তি থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনতার যুদ্ধ, ভাষা যুদ্ধ, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে আন্দোলনে প্রমাণ করেছে এবং এবারও প্রমাণ করছে। ইতোমধ্যে বাংলাদেশের মানুষের যে অবস্থান সেটা তারা জানিয়ে দিয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই সরকারকে বিদায় করার জন্য। রাজপথে বিভিন্ন কর্মসূচিতে তাদের উপস্থিতির মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে এবং বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে তারা এই কাজটি করছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, প্রথম ধাপের আন্দোলনে আমরা সকল বাধা বিপত্তি মামলা, হামলা, সরকারের গণপরিবহন বন্ধের পরেও সফল হয়েছি। সরকার রাজনৈতিকভাবে পরাজিত হয়েছে। যত বেশি রাজনৈতিকভাবে তারা পরাজিত হচ্ছে, তত বেশি তারা আন্দোলনকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা আগুন সন্ত্রাসের কথা বলছে। সুতরাং এতেই প্রমাণ করে জনগণের সমর্থন এবং শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের কাছে কোন কিছুই দাঁড়াতে পারে না।