ডেস্ক রির্পোট:-গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব নুরুল হক নুর বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যর্থ এ সরকার জনগণের হাতে হারিকেন ধরিয়ে দিয়েছে, এখন সরকারের হাতে হারিকেন ধরিয়ে বিদায় দেয়ার পালা। এক মাসে দু’বার বিদ্যুৎ এর দাম বাড়িয়ে এই সরকার জনগণের সাথে ভন্ডামি করছে, ধোঁকাবাজি করছে। সরকার বাণিজ্যিক পর্যায়ে গ্যাস এবং বিদ্যুতের যে মূল্য বাড়িয়েছে যার ফলে কলকারখানা, গার্মেন্টস এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানের সব খরচ বেড়ে যাবে ফলে এই ব্যয়ভার জনগণের উপরে তারা চাপাবে। বিদ্যুতের দাম সমন্বয়ের কথা বলে অলরেডি ১২% বাড়িয়েছে এই সরকার, এই সরকার যে ডাকাত সরকার এই সরকার যে লুটপাটের সরকার তা আর নতুন করে বলার কিছু নাই।
শুক্রবার বিদ্যুতের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে ‘গণঅধিকার পরিষদের’ বিক্ষোভ সমাবেশে তিনি একথা বলেন। নুর আরও বলেন, গত ৩২ বছর দু’টি দল দেশ চালিয়েছে, আপনারা কি বলতে পারবেন কখনও তারা জনগণের জন্য কাজ করেছে? কখনও জনগণ ভালো ছিলো, সুখে ছিলো? বরং এই সময়ে যে দল যখনই ক্ষমতায় ছিল তখনই সে বিরোধীদের কে নির্মূল করে এক দলীয় শাসন কায়েম করার পায়তারা করেছে। ১৯৯৬ সালে এই সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকার দাবিতে ১৭৬ দিন বাংলাদেশের জ্বালা পোড়াও আন্দোলন করে দেশে একটি নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে, এখন এই সরকারেই বলছে সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচন হবে। যে সংবিধানকে কাটাছেঁড়া বাকশালি সংবিধানে রূপান্তরিত করেছে সেই সংবিধান দিয়ে জনগণের অধিকার রক্ষা হবে না। তাই এই সরকারকে জনগণের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে অবিলম্বে পদত্যাগ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ থাকলে গণঅধিকার পরিষদ এককভাবে প্রার্থী দিবে। এই নিয়ে বিভ্রান্ত হওয়ার সুযোগ নাই। আমরা গণতন্ত্র মঞ্চের সাথে যেমন আছি তেমনি বৃহৎ স্বার্থে আমরা অন্য সব বিরোধী দল গুলো নিয়ে বৃহৎ ঐক্য গড়ে তুলতে চাই।
গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ রাশেদ খান বলেন, আওয়ামী লীগের উন্নয়ন হাতে হাতে হারিকেন। মাসে মাসে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের দাম বাড়িয়ে মানুষের পকেট কাটছে অবৈধ সরকার। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পেতে জনগণের উপর এই জুলুম শুরু করেছে। এই জুলুমবাজ সরকারকে অনতিবিলম্বে পদত্যাগ করতে হবে। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন- যুগপৎ আন্দোলন ভুয়া। আমরা বলতে চাই, যারা হিরো আলমকে ভয় পায়, তাকে হারিয়ে দেয়। তারাই ভুয়া। এই ভুয়া সরকারের বিরুদ্ধে আমাদের গণপ্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। ২০২৪ সালে ভুয়া নির্বাচন, ভোটচুরির নির্বাচন করা যাবে না। জনগণ নির্বাচন করতে চায়, তবে সেই নির্বাচন হতে হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে।
বিক্ষোভ সমাবেশে যুগ্ম আহ্বায়ক মাহফুজুর রহমান খান ও সাইফুল্লাহ হায়দারের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য রাখেন গণঅধিকার পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ফারুক হাসান, সোহরাব হোসেন, আবু হানিফ, বিপ্লব কুমার পোদ্দার, সাদ্দাম হোসেন, শাকিলউজ্জামান, ড. মালেক ফরাজী, জসিম উদ্দিন, পাঠান আজহার, সহকারী আহ্বায়ক শামসুদ্দিন, যুগ্ম সদস্যসচিব আতাউল্লাহ, তারেক রহমান, মহানগর দক্ষিণের সসদস্যসচিব ইসমাইল হোসেন, ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, যুব অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাদিম হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মুনতাজুল, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সভাপতি আব্দুর রহমান প্রমুখ। বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে হারিকেন মিছিল নিয়ে পল্টন মোড়, কাকরাইল, নাইটিঙ্গেল ও ফকিরাপুল মোড় হয়ে পুরানা পল্টনে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এসে শেষ হয়।