ডেস্ক রির্পোট:- সানেমের নির্বাহী পরিচালক ড. সেলিম রায়হান বলেছেন, ‘আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল যে বাজেট সহায়তা দিচ্ছে, তা বাংলাদেশের অর্থনীতি প্রয়োজনের তুলনায় অপ্রতুল। আমাদের বৈদেশিক মুদ্রা ডলারের রিজার্ভ যে হারে কমছে, তার তুলনায় ৪ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের বাজেট-সহায়তা অনেক কম। কারণ এই বাজেট-সহায়তা সাত কিস্তিতে আইএমএফ বাংলাদেশকে দেবে।’
আজ বৃহস্পতিবার সানেমের ষষ্ঠ ইকোনমিস্ট কনফারেন্স-২০২৩ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনলাইন প্রেস কনফারেন্সে সেলিম রায়হান এসব কথা বলেন।
সেলিম রায়হান বলেন, ‘আইএমএফের এই ঋণ অনুমোদনের কারণে অর্থনীতির বিভিন্ন সমস্যার সমাধান হয়ে গেছে তা ভাবার কোনো কারণ নেই। বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সক্ষমতার তুলনায় আইএমএফের এই লোন অপ্রতুল।’
আইএমএফের ঋণ অনুমোদনের পর বাংলাদেশ অন্যান্য ঋণদাতা সংস্থাগুলোর আস্থা অর্জন করেছে উল্লেখ করে সেলিম রায়হান বলেন, ‘আইএমএফের লোন অনুমোদনের পর বিশ্বব্যাংক ও এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকসহ অন্যান্য দাতা সংস্থা বাংলাদেশকে ঋণ দিতে চাইছে, যেটা বাংলাদেশের জন্য একটা সাফল্য। আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ সাফল্য বাংলাদেশকে অন্যান্য ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান থেকে স্বল্প সুদে ঋণ পেতে সহায়তা করবে। আইএমফ থেকে ঋণের অনুমোদন পাওয়া গেলেও অর্থ ছাড় নির্ভর করছে তাদের দেওয়া শর্তগুলো সরকার কীভাবে পরিচালনা করছে।’
সেলিম রায়হান, ‘আইএমএফ যে লোন অনুমোদন করেছে, সেই অর্থ ছাড়ের আগে প্রতিটি ধাপে সংস্কার কর্মসূচিগুলো বাংলাদেশ কীভাবে প্রয়োগ করছে তা দেখতে চাইবে। এখন আমাদের দেখার বিষয়, সংস্কার কার্যক্রমগুলো কীভাবে পরিচালনা করে। কারণ এই ঋণ সাতটা কিস্তিতে প্রদান করবে।’
সেলিম রায়হান আরও বলেন, ‘আইএমএফের চাপে পড়ে অর্থনীতিতে যে সংস্কারগুলো আমরা দেখতে পাচ্ছি, সেটা কতটুকু ধরে রাখা যায় তা দেখার বিষয়। এখন আমরা সংস্কার কার্যক্রমের যে অগ্রগতিটুকু দেখতে পাচ্ছি, তা সামনের দিনগুলোতে কতটুকু ধরে রাখা যায় তা দেখার বিষয়।’
বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে ভর্তুকি প্রত্যাহারের বিষয়ে ড. সেলিম রায়হান বলেন, ‘গরিব ও নিম্নবিত্ত লোকজনকে লক্ষ্য করে এই খাতে যে ভর্তুকি দেওয়া হয়, সেটা তারা না পেয়ে উচ্চবিত্তশালী লোকজন পেয়ে থাকে। এটা নতুন কিছু নয়। সরকার এখন ভর্তুকি প্রত্যাহার করতে বাধ্য হচ্ছে। কারণ সরকার ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। জ্বালানি খাতে এখন সরকারের পক্ষে বাজেটে বিশাল অঙ্কের ভর্তুকি দেওয়ার সক্ষমতা যদি থাকত, তাহলে সরকার এখনো ভর্তুকি দিয়ে যেত।’