শিরোনাম
পার্বত্য চট্টগ্রাম মন্ত্রণালয় বিলুপ্তর দাবি তিন পার্বত্য জেলা পরিষদে পাহাড়ি-বাঙালি সমান সংখ্যক সদস্য চেয়ে হাইকোর্টে রিট, রুল জারি চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যার বিচার ও ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটিতে বিক্ষোভ মিছিল চিন্ময় ইস্যুতে ভারতকে কড়া বার্তা দিল বাংলাদেশ চার বিভাগে নতুন কমিশনার ভৈরবে একই পরিবারের চারজনের মরদেহ উদ্ধার চট্টগ্রামে আইনজীবীকে কুপিয়ে হত্যা করেছে চিন্ময় সমর্থকরা গুলশান থেকে দিনদুপুরে আবাসন ব্যবসায়ীকে অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী নিহত টিসিজেএ ক্রীড়া প্রতিযোগিতার প্রথম রাউন্ডের পুরস্কার বিতরণ

বান্দরবানের শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের আনা হচ্ছে উখিয়া-টেকনাফের শিবিরে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৭৭ দেখা হয়েছে

বান্দরবান:- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম তুমব্রু সীমান্তে মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরসা’ ও ‘আরএসও’র মধ্যে সংঘাতের জেরে শূন্যরেখার ক্যাম্প থেকে পালিয়ে বাংলাদেশের ভূ-খণ্ডে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শেষ হয়েছে।

সেখানকার ৫০৭ পরিবারে ২ হাজার ৮৮৯ জন রোহিঙ্গা পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান জাহাঙ্গির আজিজ।

তিনি জানান, আন্তর্জাতিক রেডক্রস কমিটি (আইসিআরসি) ও সরকারের নির্দেশে ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ গণনার কাজ পরিচালনা করে।

গত ১৮ জানুয়ারি নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরে মিয়ানমারের দুই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর মধ্যে গোলাগুলি-অগ্নিসংযোগের ঘটনায় হামিদ উল্লাহ নামের এক রোহিঙ্গা নিহত এবং দু’জন আহত হয়।

এ সময় শূন্যরেখায় বসবাসকারী রোহিঙ্গাদের বসতঘর পুড়ে গেলে শিবির থেকে বাংলাদেশ ভূখণ্ডে ঢুকে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও আশেপাশে তাঁবু টাঙিয়ে আশ্রয় নেয় রোহিঙ্গারা। পরে ইউনিয়ন পরিষদের তত্ত্বাবধানে গত রবিবার (২৯ জানুয়ারি) থেকে ৮ জন গণনাকারীর মাধ্যমে রোহিঙ্গাদের গণনার কাজ শুরু হয় যা সোমবার শেষ হয় বলে জানান চেয়ারম্যান।

অন্যদিকে, এসব রোহিঙ্গাকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন কক্সবাজারস্থ শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মোহাম্মদ মো. মিজানুর রহমান।

তিনি বলেন, “শূন্যরেখার রোহিঙ্গাদের অনেকের উখিয়া-টেকনাফের বিভিন্ন ক্যাম্পে নিবন্ধন রয়েছে। তাদের স্ব-স্ব ক্যাম্পে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

দ্রুত সময়ের মধ্যে এ কাজ শেষ করার কথা জানিয়ে তিনি বলেন, “এর জন্য জাতীয়ভাবে একটি কমিটিও করা হয়েছে। ওই কমিটি এ কাজ করছে। যারা কোনো ক্যাম্পে নিবন্ধিত নয় তাদের কুতুপালং রেহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। এছাড়াও গণনা করা রোহিঙ্গাদের মধ্যে কোনো চিহ্নিত অপরাধী বা মামলায় অভিযুক্ত এমন কেউ থাকলে তাদের ব্যাপারে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ব্যবস্থা নেবে।”

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোমেন শর্মা জানান, সবেমাত্র গণনার কাজ শেষ হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা মতে তাদের অন্যত্র সরানোর কাজ বাস্তবায়ন করা হবে।

তবে পরিবেশ সুরক্ষা ও তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি মাথায় রেখে দ্রুত সরানোর কাজ বাস্তবায়নের পরিকল্পনার কথা জানান ইউএনও।

প্রসঙ্গত, মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর বাংলাদেশে আশ্রয় নেয় ৮ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। এ সময় ঘুমধুম শূন্যরেখায় অবস্থান নেয় প্রায় সাতশ’ রোহিঙ্গা নারী পুরুষ ও শিশু। এছাড়াও বর্তমানে কক্সবাজারের উখিয়া টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবির ও নোয়াখালীর ভাসানচরে অবস্থান করছে অন্তত ১২ লাখ রোহিঙ্গা।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions