শিরোনাম
বেইলি রোডের কান্নাতেও কারও ‘ঘুম’ ভাঙেনি,রেস্তোরাঁয় অগ্নিঝুঁকি ঠেকাতে পদক্ষেপ নেই তারেক রহমানের নেতৃত্বে শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে কাজ করতে হবে— সাইফুল ইসলাম শাকিল পেশাগত দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি নিজস্ব জাতিসত্তার জন্য কাজ করতে হবে–সন্তু লারমা রাঙ্গামাটিতে ঠাণ্ডায় আগুন পোহাতে গিয়ে বৃদ্ধ দগ্ধ বেসরকারি শিক্ষকদের বদলি নীতিমালা জারি প্রয়োজনীয় সংস্কার সেরে ২০২৫ সালেই নির্বাচন চায় বাম দলগুলো ডেঙ্গুতে চলতি বছরের ডিসেম্বরে সর্বাধিক আক্রান্ত ও মৃত্যুর রেকর্ড বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার হচ্ছে বিএনপির শতাধিক নেতার বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-২ ছিল দেশের স্বার্থবিরোধী প্রকল্প ইসরায়েলি বাহিনীর অব্যাহত হামলায় গাজায় নিহত শতাধিক ফিলিস্তিনি

উপনির্বাচনবগুড়ায় ভোট শেষ, অনিয়ম-বাধাসহ বিস্তর অভিযোগ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৩৮১ দেখা হয়েছে

বগুড়া:- ভোটার উপস্থিতি কম থাকায় দিনভর বগুড়ার দুটি আসনে অলস সময় পার করেছেন ভোটগ্রহণের কাজে নিয়োজিত কর্মকর্তারা। ভোটারের উপস্থিতি অল্প হলেও বগুড়া-৬ (আসনে) প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের অভিযোগ ছিল বিস্তর। এই আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকেরা প্রভাব বিস্তারসহ কেন্দ্র থেকে পোলিং এজেন্টদের বের করে দিয়েছেন এমন অভিযোগ করেছেন তাঁরা। এ ছাড়া নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে বেলা সাড়ে ১২টায় নিজ বাসায় ঢুকে যান স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান। জাতীয় পার্টির প্রার্থীর অভিযোগ ভোট নেওয়া হয়েছে কৌশলে।

আজ বুধবার সকাল থেকে দুপুরের পর পর্যন্ত বগুড়া-৪ (কাহালু-নন্দীগ্রাম) ও বগুড়া-৬ (সদর) আসনের বেশ কিছু কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে ভোটার উপস্থিতি নগণ্য। ভোটাররা কেন্দ্রে না যাওয়ায় অধিকাংশ কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা (প্রিসাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিসাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীর সদস্য) অলস সময় পার করেন। সকালের দিকে শীতের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম এমন ধারণা করেন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তারা। কিন্তু বেলা গড়িয়ে দুপুর পার হলেও সেই হার তেমন বাড়েনি কোথাও।
বগুড়া সদর আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুল মান্নান বেলা সাড়ে ১২টায় নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন ছেড়ে বাসায় ঢোকেন। তিনি দাবি করেন—১৪৩টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৩৮টি কেন্দ্রই দখলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ভোটারদের নৌকা মার্কায় ভোট দিতে বাধ্য করা হয়।

আব্দুল মান্নান বলেন, ‘কেন্দ্রে যাওয়ার কোনো পরিবেশ নেই। প্রশাসনকে বিষয়টি জানানো হলেও শুধু বলে—দেখতেছি। কিন্তু কোনো কাজ করে না।’ ট্রাক প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা এই প্রার্থীর দাবি, প্রশাসনের সহযোগিতায় ভোট কারচুপি করা হচ্ছে।

এই স্বতন্ত্র প্রার্থী আরও বলেন, ‘ভোটের আগের রাতে জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিজিবি সদস্যরা আমার বাসায় আসে। এতে পুরো আসনে গুজব ছড়িয়ে পড়ে যে আমাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জনগণকে ভোট দিতে বাধ্য করাসহ প্রতিটি কেন্দ্রের সামনে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের অবস্থান গ্রহণের কারণে আমি নিরাপত্তাহীন রয়েছি। এ কারণে আর কোনো কেন্দ্রে না গিয়ে বাসায় ঢুকেছি।’

বেলা গড়িয়ে দুপুর পার হলেও সেই হারে বাড়েনি ভোটারদের উপস্থিতিবেলা গড়িয়ে দুপুর পার হলেও সেই হারে বাড়েনি ভোটারদের উপস্থিতি। ছবি: আজকের পত্রিকা
তবে বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘ওই প্রার্থী নিরাপত্তাহীনতার বিষয়ে কোনো অভিযোগ বা এ জন্য কোনো সহায়তা চাননি। আর কোনো কেন্দ্র দখল করার মতো দুই আসনের কোথাও কোনো ঘটনাও ঘটেনি। দুটি আসনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হয়েছে।’

আগের রাতে প্রার্থীর বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানোর বিষয়ে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করে তিনি দফায় দফায় ফেসবুক লাইভ করছিলেন, তাঁকে ফোনে নিষেধ করার পরও তা বন্ধ করছিলেন না। এ কারণে তাঁর বাসায় ম্যাজিস্ট্রেট পাঠানো হয়।’

এই আসনে আপেল প্রতীকের অপর স্বতন্ত্র প্রার্থী মাসুদার রহমানও অভিযোগ করেন, ‘ভোট কেন্দ্র থেকে আমার এজেন্টকেও বের করে দেওয়া হয়েছে।’

আলোচিত প্রার্থী আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম অভিযোগ করে বলেন, ‘সকাল থেকেই সদর আসনের সব কেন্দ্র দখল করা হয়ে যায়। এ কারণে আমি এই আসনে ভোটের আশা ছেড়ে দিয়ে বগুড়া-৪ আসনের ভোট দেখতে যাই।’

এই আসনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী নূরুল ইসলাম ওমর অভিযোগ করেন, ‘শুধু এজেন্ট বের করে দেওয়াই নয়, কৌশলে নৌকা মার্কার ভোটটিও নিয়ে নেওয়া হয়েছে।’ কী করে তা হলো জানতে চাইলে এই প্রার্থী বলেন, ‘ইভিএম মেশিনে ১০টি মার্কা ধরে। সদর আসনে প্রার্থী ১১ জন। এ কারণে নৌকা মার্কা একটি পৃথক মেশিনে নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন কেন্দ্রে শুধু এই একটি মার্কার মেশিনই রাখা হয়েছে। অন্য মেশিনটি কাপড় দিয়ে ঢাকা। এ কারণে ভোটাররা বাধ্য হয়ে নৌকা মার্কাতে ভোট দিয়েছে।’

সদর আসনে নৌকার প্রার্থী রাগেবুল আহসান রিপু এসব অভিযোগকে ভিত্তিহীন উল্লেখ করে বলেন, ‘এই আসনে নির্বিঘ্নে ভোট হচ্ছে। কোথাও কোনো এজেন্টকে বের করে দেওয়া বা জোর করে ভোট নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।’

বগুড়া-৬ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগর ছাড়াও জাসদ, জাতীয় পার্টি, গণফ্রন্ট, জাকের পার্টি, খেলাফত আন্দোলনের ৭ প্রার্থীসহ মোট ১১ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এ ছাড়া বগুড়া-৪ আসনে জাসদ, জাতীয় পার্টিসহ মোট ৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

বগুড়ার রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচন উপলক্ষে দুই আসনে তিনজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটে ও ৩৫ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় কাজ করেন। পাশাপাশি ১৪ প্লাটুন বিজিবি ও র‍্যাবের ১৭টি টহল দল মোতায়েন করা হয়। এ ছাড়া ভোটে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় সাড়ে ৪ হাজার নিরাপত্তাকর্মী কাজ করেছেন। এ কারণে দুটি আসনেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে।’আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions