শিরোনাম
গুম-খুন-কারা নির্যাতিত বিএনপিস্বজনদের আহাজারি,বাঁচার অধিকার না থাকলে সবাইকে একসাথে মেরে ফেলুন তপশিল বাতিল চেয়ে ইসলামী আন্দোলনের ৩ প্রস্তাব মানবাধিকার নিয়ে হুঁশিয়ারি উড়িয়ে দেওয়া যাবে না স্বতন্ত্র আতঙ্কে নৌকা রাজনৈতিক ও নৈতিক বৈধতা ফিরে আসবে এমন নির্বাচন দরকার চরম সংকটে পরিবার চাকরি, ব্যবসা লাটে বাদ পড়লেন শ্বশুর-জামাতা বোর্ড পরীক্ষায় পার্বত্য চট্টগ্রামের পাসের হার হ্রাস পাওয়ায় পিসিপির উদ্বেগ প্রকাশ অবিলম্বে শিক্ষার মানোন্নয়ন নিশ্চিত করা ও শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি ভারতে মেরুকরণের অস্ত্র হতে পারে সিএএ এবার রাজপথে নামবে বিএনপির কারা নির্যাতিত নেতাদের পরিবারের সদস্যরা

শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা ঢুকছে বাংলাদেশে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বুধবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২৩১ দেখা হয়েছে

কক্সবাজার ও নাইক্ষ্যংছড়ি (বান্দরবান):- বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রু সীমান্তের শূন্যরেখায় দুই সশস্ত্র গোষ্ঠীর গোলাগুলির পর সীমান্তে আতঙ্ক বিরাজ করছে। বুধবার সংঘর্ষের সময় শূন্যরেখায় আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের শত শত ঘর পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। তাদের অনেকেই শূন্যরেখা ছেড়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়েছে। জানা গেছে, তাদের বড় অংশই তুমব্রু, কোনারপাড়াসহ আশপাশের গ্রামে অবস্থান নিয়েছে। আবার অনেকে উখিয়ার আশ্রয়শিবিরে প্রবেশ করেছে গোপনে।

নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রোমেন শর্মা বলেন, ‘শূন্যরেখায় গোলাগুলি ও ঘরে আগুন দেওয়ার কারণে কিছু রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। তবে কতজন রোহিঙ্গা এসেছে, তা এখনই বলা যাচ্ছে না। যেহেতু শূন্যরেখার ঘটনা, তাই আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী সেখানে আমাদের হস্তক্ষেপ করার এখতিয়ার নেই।’

বুধবার সকাল ছয়টার দিকে তুমব্রু সীমান্তের কোনারপাড়া শূন্যরেখায় আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা) ও রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসও) সদস্যদের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়। দুই পক্ষের সংঘর্ষ ক্যাম্পেও ছড়িয়ে পড়ে। একপর্যায়ে তারা ক্যাম্পের বাড়িঘরে আগুন দেয়। এতে অন্তত ৫০০ ঘর পুড়ে গেছে বলে দাবি করছে ওই ক্যাম্পে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা।

বুধবারের সংঘর্ষের ঘটনায় হতাহতের সঠিক তথ্য জানাতে পারছে না কেউ। তবে ওই দিন দুপুরে উখিয়া থানা-পুলিশ একজন আরএসও সদস্যের লাশ উদ্ধার করেছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ এক শিশু উখিয়ার এমএসএফ হাসপাতালে এবং একজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

শূন্যরেখায় বসবাসরত রোহিঙ্গা কমিউনিটির নেতা দিল মোহাম্মদ জানিয়েছেন, তাঁদের ক্যাম্পে ৬২১ পরিবার বাস করত। আগুনে পাঁচ শতাধিক ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্যাম্পের বেশির ভাগ পরিবার মিয়ানমারে এবং কিছু পরিবার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে আশ্রয় নিয়েছে। তারা মানবেতর জীবন যাপন করছে।

বাংলাদেশে ঠিক কতজন রোহিঙ্গা নতুন করে প্রবেশ করেছে, আনুষ্ঠানিকভাবে সে তথ্য এখনো জানায়নি সরকারের কোনো সংস্থা। তবে সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের বাংলাদেশে ঢুকে পড়া রোহিঙ্গাদের তালিকা করতে বলা হয়েছে। তাদের পুশব্যাক করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ বলেন, পরিস্থিতি এখন শান্ত। তবে সীমান্তের পাড়াগুলোতে চরম আতঙ্ক রয়েছে। ঘটনাস্থলের আশপাশে স্থানীয়রা যেন না যায়, তার জন্য সতর্ক করা হচ্ছে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সীমান্তরক্ষীরা নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করেছে।

২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের পর মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর নির্যাতনে বাস্তুচ্যুত হয়ে অন্তত আট লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। নতুন ও পুরোনো মিলিয়ে উখিয়া ও টেকনাফ এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে ৩৩টি ক্যাম্পে সাড়ে ১১ লাখ রোহিঙ্গা বাস করছে। আর আন্তর্জাতিক রেড ক্রিসেন্ট কমিটির (আইসিআরসি) তথ্যমতে, শূন্যরেখার ক্যাম্পটিতে ৬৩০টি ঘরে সাড়ে ৪ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করত। আজকের পত্রিকা

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions