শিরোনাম
শিক্ষার্থীদের পরিকল্পিতভাবে বিতর্কিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে ঢাকা-দিল্লি পররাষ্ট্রসচিব বৈঠক ডিসেম্বরে, শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ নিয়ে আলোচনা হবে কি এবার মারা গেলেন পরীমণির প্রথম সিনেমার পরিচালক জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি

দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা নিম্নআয়ের মানুষ

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় শুক্রবার, ১৫ মার্চ, ২০২৪
  • ১৪৫ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- সারা দেশের ন্যায় রাজবাড়ী জেলার গোয়ালন্দ উপজেলায় গত এক সপ্তাহে বিভিন্ন পণ্যের দাম বেড়েই চলেছে। আমদানি বেশি থাকলেও কিছু পাইকারি ব্যবসায়ীর জন্য দ্রব্যমূল্য বাড়ছে বলে অভিযোগ করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

গোয়ালন্দ উপজেলার বিভিন্ন বাজার ঘুরে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত সপ্তাহে প্রতি কেজি পেঁয়াজের মূল্য ছিল ৮০ টাকা, চলতি সপ্তাহে তা ১২০ টাকা, গত সপ্তাহে প্রতিকেজি বেগুনের মূল্য ছিল ২৫ টাকা, চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা। শসার কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ৯০ টাকা।

প্রতি কেজি আদা ২০০ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ২৩০ টাকা, রসুন প্রতি কেজি ১৭০ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ২২০ টাকা, প্রতি কেজি আলুর দাম বেড়ে ৩৫ টাকা, প্রতি কেজি টমেটো ২৫ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ৪০ টাকা, প্রতি হালি লেবু ১৫ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ৬০ টাকা।

ছোলা প্রতি কেজি ৯০ টাকা থেকে বেড়ে চলতি সপ্তাহে ১১০ টাকা। এভাবে প্রায় প্রতিটি পণ্যের দাম বাড়লেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিম, তেল, শুকনা মরিচ, লবণ, সরিষা তেলের দাম। অন্যদিকে মাছ-মাংস এখন অনেকটাই স্বল্প আয়ের মানুষের নাগালের বাইরে চলে গেছে। মুরগির বাজার এক-দেড় মাস ধরেই অস্থির।
দফায় দফায় বেড়ে ব্রয়লারের কেজি এখন ২২০-২৩০ টাকা। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩০০-৩৩০ টাকা। প্রতি হালি ফার্মের মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৫-৫০ টাকা দরে। মাসের ব্যবধানে গরুর মাংসের দাম প্রায় ৫০ টাকা বেড়ে এখন প্রতি কেজি ৭৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। একইভাবে মানভেদে রুই-কাতলার কেজি হয়েছে ৩৫০-৪০০ টাকা। চাষের তেলাপিয়া পাঙাশও ২০০ টাকার কমে পাওয়া যাচ্ছে না।

গোয়ালন্দ বাজারে কাঁচামাল বিক্রেতা হাবিবুর রহমান বলেন, কাঁচা পণ্যের দাম বাড়ার কারণ হলো পাইকারি ব্যাবসায়ীরা। তারা সকাল থেকে ওঁৎ পেতে থাকে পাইকারি বাজারে। সেখান থেকে পণ্য কিনে অধিক মুনাফার আশায় রাজধানীতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। যার প্রভাব পড়ছে খুচরা বিক্রেতাদের ওপর।

ক্রেতাদের সঙ্গে কথা হলে তারা বলেন, এভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়াতে থাকলে আমাদের চরম বিপাকে পড়তে হয়। আমরা বাসা থেকে পূর্বের মূল্য অনুযায়ী হিসাব করে টাকা এনে পরে দাম বাড়ার কারণে দুএকটা আইটেম কিনতে পারি না।

ক্রেতা কুতুব উদ্দিন বলেন, আমি পত্রিকা বিক্রি করে সংসার চালাই। ৫ জনের পরিবার আমি একাই কামাই করি। আগে প্রতিদিন অনেক বেশি পত্রিকা বিক্রি করতাম। এখন তা অর্ধেকে নেমে গেছে। এখন যা পত্রিকা বিক্রি করি তা দিয়ে সংসার চালানো কষ্ট হয়ে যায়। রমজান মাসে বাজারের যা দাম এখন দেখি শুধু পানি খেয়ে রোজা থাকতে হবে, সরকার যদি আমাদের জন্য কিছু করত অনেক ভালো হতো। বিশেষ করে বাজারের সকল পণ্যের দাম একটু কমালে আমাদের মতো মানুষ খেয়ে পরে বাঁচতে পারত।

গোয়ালন্দ উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আমরা নিয়মিতভাবে বাজার মনিটরিং করছি। আমরা দোকানদারদের বলছি যাতে কোনোভাবে মূল্যবৃদ্ধি করা না হয়। কোনো দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধি করা হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions