মিনুরিয়া আক্তার সামিয়া:-
সামান্য কিছু বাষ্প,
হিমময় পূর্বাহ্নে বারিনিধির –
বুকে ভেসে বেড়াই,
রোদ্দুর রক্তিমে অদৃশ্যে হারাই,
ফুটন্ত বারি আকষ্মিক ফুরোই,
হীন নীচ ছিন্নমূলে,
নভোমণ্ডলের বুকে পায়োধর সাজাই,
খুঁজে পাই হারিয়ে যাওয়া আত্ম,
যেথা মোর ছিল না পদচিহ্নের জ্ঞাত,
ছিলেম নহে অভ্র,
ছিলেম এক অদৃশ্য বাষ্প,
হঠাৎ হিতৈষীর সহিত আমার দজ্ঞযজ্ঞ,
প্রণয়ী ক্রন্দনে দিল আমায় বজ্র,
ফলশ্রুতিতে বাহ্যজগতে অপামার বৃষ্টি,
সঙ্গে ছিল শিলা,
রুষ্টতার খেদ,
ক্ষুদ্র বাষ্প থেকেই হয়ে ছিলে মেঘ,
তবে কেন অহংকারের ছেদ????
কবিতার মধ্যে আমি হাজারো কথা খুঁজে পাই, গভীর ভাবে ভেবে আমি বাস্তবে দেখতে পাই। যদি ও আমার মনের অনেক শব্দই অসমাপ্ত রেখেছি কবিতায়। যতই লেখি, লেখা শেষ হবে না।
মেঘমালা কবিতায় আমি মানুষের জীবনচক্র খুঁজে পাই। সামান্য মেঘের সাথে তুলনা করলেই মানবজাতির জীবনের মানে বুঝবে। কবিতার মাঝে লুকায়িত আছে পরিশ্রম শেষে সফলতা,গুটি গুটি পায়ে ক্ষুদ্র থেকে নিজেকে গড়া,ধৈর্য নিয়ে নিজেকে যোগ্য করতে পারা।
ছিন্নমূল জীবনের নানা বাধা অতিক্রম করে মেঘের মতই মানুষ সফল হতে পারে। সাফল্য অর্জনে বৃষ্টি যেমন প্রকৃতিকে সজীবতা দেয় তেমনিভাবে তোমার দ্বারা পৃথিবীর বুকে কিছু স্মরণীয় হয়ে থাকবে,সমাজ উপকৃত হবে।
কবিতার মাঝে আরেকটি মূল্যবান শিক্ষা ও লুকিয়ে আছে, ক্ষুদ্র থেকে জন্মে,বেড়ে ওঠে সফলতায় বিনয়ী না হয়ে যদি তুমি অহংকার আর দাম্ভিকতায় নিজেকে জরিয়ে রাখো তবে তোমার পতন ও নিকটে , হয়তো কিছু সময় পাবে ক্রন্দন দেখাবে কিন্তু বাষ্প থেকে অক্লান্ত পরিশ্রমে মেঘ হয়ে জন্মে আবার বৃষ্টির মতোই ধূলিসাৎ হবে, বজ্রের মতো ধ্বংস হবে। বাঁচতে হলে এমন ভাবেই বাঁচা উচিত যেখানে তোমার পদচিহ্নে হাসিবে ভুবন, মৃত্যুতে কাঁদিবে ভুবন,থাকিবে জগতে তুমি অমর।। 🥀🥀