আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- পাকিস্তানের প্রধান দুই রাজনৈতিক দল পাকিস্তান মুসলিম লিগ-নওয়াজ (পিএমএল-এন) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টি (পিপিপি) আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন সরকার গঠন করতে একমত হয়েছে। যৌথভাবে তারা জানিয়েছে, পিএমএল-এনকে নতুন প্রশাসন গঠনে সমর্থন দেবে পিপিপি।
এবারের নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দল পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই)। কিন্তু ফলাফলে দেখা গেছে, পিটিআই-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরাই বেশি আসন জিতে নিয়েছেন। পিটিআইয়ের দাবি, স্বতন্ত্ররা আরও অনেক আসনে জিতেছেন, কিন্তু কারচুপি করে তাদের হারিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে পিএমএল-এন ও পিপিপি কেউই সরকার গঠনের মতো যথেষ্ট আসন পায়নি। পিএমএল-এন ও পিপিপির জোটকে ইমরান খানের দল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে ‘ম্যান্ডেট চোর’ আখ্যা দিয়েছে।
জোট সরকার গঠনে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসে দল দুটি। পরে গত মঙ্গলবার এক সংবাদ সম্মেলনে পিপিপি জানায়, পূর্ণ চুক্তিতে পৌঁছেছে তারা। দলটির চেয়ারম্যান বিলাওয়াল ভুট্টো জারদারি বলেছেন, ‘এই জোটের লক্ষ্য হলো দেশের অর্থনৈতিক সংকট নিয়ে কাজ করা।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও পিএমএল-এনের প্রেসিডেন্ট শাহবাজ শরিফ অর্থনৈতিক ও অন্যান্য চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় একত্রে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, সমঝোতা হয়ে যাওয়ার অর্থ দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন শাহবাজ শরিফ। অন্যদিকে পিপিপির আসিফ আলী জারদারি হবেন প্রেসিডেন্ট।
পাকিস্তানে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচনে আইনসভায় ভোটাভুটি হয়। ফেব্রুয়ারির শেষ নাগাদ এটি হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। পৃথক এক নির্বাচনে ঠিক করা হবে প্রেসিডেন্ট প্রার্থীকে। অন্য প্রধান সরকারি পদগুলোর কোনটি কোন দল নেবে, তা এখনো অস্পষ্ট।
পাকিস্তানের আইনসভায় মোট আসন সংখ্যা ২৬৬টি। তার মধ্যে নির্বাচন হয়েছে ২৬৫টি আসনে। কোনো দল সরকার গঠন করতে চাইলে অন্তত ১৩৩টি আসনের প্রয়োজন। ইমরান খান এখনো কারাগারে রয়েছেন। তার দল-সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থীরা আসন পেয়েছেন ৯৩টি। পিএমএল-এন আসন জিতেছে ৭৫টি। অন্যদিকে পিপিপি বিজয়ী হয়েছে ৫৪ আসনে।
এর আগেও পিএমএল-এন ও পিপিপি একত্রিত হয়েছিল। ২০২২ সালে দল দুটি মিলে ইমরান খানের সরকারের পতন ঘটিয়েছিল। সূত্র: বিবিসি