যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া হামাসের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৭৩ দেখা হয়েছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- গাজায় নতুন যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের ব্যাপারে নিজ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে হামাস। চুক্তিটির বিস্তারিত ঠিক করেছে ইসরায়েল, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসর। তবে এখনো সেটির বিস্তারিত প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে গণমাধ্যমে খবর এসেছিল, চুক্তিতে ছয় মাসের যুদ্ধবিরতির কথা বলা হয়েছে। বিরতিতে থাকার সময়টিতে আরও ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পাবেন। অন্যপাশ থেকে ফিলিস্তিনি বন্দিদেরও মুক্তি দেওয়া হবে।

ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্র দুই পক্ষই বলছে, তারা হামাসের প্রতিক্রিয়া খতিয়ে দেখছে। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বর্তমানে মধ্যপ্রাচ্য সফরে রয়েছেন। হামাসের এ চুক্তি নিয়ে ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।

যুক্তরাষ্ট্র হামাসের প্রতিক্রিয়া নিয়ে কী জানাতে পারে, সে বিষয়ে কোনো আভাস মেলেনি ব্লিঙ্কেনের কাছ থেকে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন সেটিকে ‘কিছুটা বেশি’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ফলে ধারণা করা হচ্ছে, ইসরায়েলি নেতৃস্থানীয়দের সহজে ওই বিষয়ে রাজি করানো যাবে না।

হামাসের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলছেন, তাদের দল ওই চুক্তির প্রতিক্রিয়ায় ‘ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি’ প্রকাশ করেছে। তবে গাজার পুনর্নির্মাণ, বাসিন্দাদের বাড়িতে ফিরিয়ে আনা ও বাস্তুচ্যুতদের সহায়তা দেওয়া সংক্রান্ত কিছু সংশোধন আনার জন্য বলা হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কিছু পরিবর্তন আনার জন্যও বলেছে হামাস। বিবিসির প্রতিবেদন বলছে, সেসব পরিবর্তনের মধ্যে আহতদের বাড়িতে ফেরা ও বিদেশে হাসপাতালে স্থানান্তরের মতো বিষয়গুলো রয়েছে।

হামাসের কাছে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব এক সপ্তাহ আগে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু গত মঙ্গলবার পর্যন্ত কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি তারা। কারণ হিসেবে দলটি জানিয়েছে, চুক্তির কিছু অংশ ‘অস্পষ্ট ও দুর্বোধ্য’ ছিল।

কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানি বলেছেন, হামাসের প্রতিক্রিয়া সার্বিকভাবে ইতিবাচক।

অবরুদ্ধ উপত্যকাটির স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ২৫ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি ব্যক্তি মারা গেছেন। অন্যদিকে ৭ অক্টোবর ইসরায়েলি ভূখণ্ডে হামাসের চালানো হামলায় মারা যান ১ হাজার ৩০০ ইসরায়েলি। হামাস ও বেশ কয়েকটি গোষ্ঠী ২৫০ জনের মতো জিম্মিও নিয়ে যায় নিজেদের সঙ্গে করে।

গত বছরের নভেম্বরের শেষ নাগাদ এক সপ্তাহ দীর্ঘ যুদ্ধবিরতিতে ওই জিম্মিদের মধ্য থেকে ১০৫ জন ইসরায়েলি ও বিদেশি নাগরিককে মুক্তি দেওয়া হয়। এ ছাড়া ইসরায়েলি কারাগার থেকেও ২৪০ জন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হয়।

তারপর আবারও শুরু হয় গাজায় হামলা। নতুন করে যুদ্ধবিরতি আলোচনার মধ্যেও তা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। দেশটির সামরিক কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তারা উপত্যকাটির ইয়াহিয়া সিনওয়ার এলাকায় হামাস নেতাদের খুঁজে বের করার অভিযানে ‘অগ্রগতি অর্জন’ করেছে।

তবে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু জিম্মিদের মুক্তি নিয়ে নিজ দেশের মধ্যে চাপের মুখে রয়েছেন। এ ছাড়া ওই অঞ্চলে সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার উদ্বেগও দেখা দিয়েছে সাম্প্রতিক সময়ে। গত মঙ্গলবার ইসরায়েল জানিয়েছে, গাজায় হামাসের হাতে থাকা অবশিষ্ট ১৩৬ জিম্মির মধ্যে ৩১ জন মারা গেছেন। সূত্র : বিবিসি

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions