ডেস্ক রিরোট:- বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারের জন্য ১৬ জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। গতকাল বুধবার ২০২৩ সালের পুরস্কারের জন্য একাডেমির জনসংযোগ বিভাগ এ তালিকা প্রকাশ করে। এবার ১১ বিভাগে ১৬ জনকে এ পুরস্কার দেওয়া হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
প্রতি বছর বাংলা সাহিত্যের ১১টি শাখায় এ পুরস্কার প্রদান করা হয়। প্রতিটি পুরস্কারের মূল্যমান তিন লাখ টাকা। রীতি অনুযায়ী, প্রতি বছর মাসব্যাপী আয়োজিত অমর একুশে বইমেলার উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী এ পুরস্কার প্রদান করেন। খবর বিডিনিউজের।
পুরস্কার প্রাপ্তরা হলেন– কবিতায় শামীম আজাদ, কথাসাহিত্যে নূরুদ্দিন জাহাঙ্গীর ও সালমা বাণী, প্রবন্ধ/গবেষণায় জুলফিকার মতিন, অনুবাদে সালেহা চৌধুরী, নাটক ও নাট্য সাহিত্যে (যাত্রা/পালা নাটক/ সাহিত্যনির্ভর আর্টফিল্ম বা নান্দনিক চলচ্চিত্র) মৃত্তিকা চাকমা ও মাসুদ পথিক, শিশুসাহিত্যে তপংকর চক্রবর্তী, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক গবেষণায় আফরোজা পারভীন ও আসাদুজ্জামান আসাদ, বঙ্গবন্ধু বিষয়ক গবেষণায় সাইফুল্লাহ মাহমুদ দুলাল ও মজিবুর রহমান, বিজ্ঞান/কল্পবিজ্ঞান/পরিবেশ বিজ্ঞানে ইনাম আল হক, আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনি/মুক্তগদ্যে ইসহাক খান ও ফোকলোরে তপন বাগচী ও সুমনকুমার দাশ।
জানা যায়, নাটক ও নাট্য সাহিত্যে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার প্রাপ্ত কবি মৃত্তিকা চাকমা ১৯৫৮ সালের ১২ জানুয়ারি রাঙ্গামাটি জেলার বন্দুকভাঙা ইউনিয়নের মৃগাছড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ সালে কাপ্তাই বাঁধে বসতভিটা জলমগ্ন হলে বন্ধুকভাঙা ত্যাগ করে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি থানার লোগাংয়ে চলে যেতে হয় কবির পরিবারকে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে বি.এ (স্নাতক) এম.এ (স্নাতকোত্তর) ডিগ্রি অর্জন করেন। কবি মৃত্তিকা চাকমা মোনঘর আবাসিক বিদ্যালয়ে ১৯৮৫ সাল থেকে এখনো শিক্ষকতা পেশার সাথে জড়িত রয়েছেন। এ পর্যন্ত তার ১২টি গ্রন্থ প্রকাশ হয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে কবিতা ছয়টি, নাটক চারটি, প্রবন্ধ ২টি।
আগেরবার ২০২৩ সালে ১০ বিভাগে ২০২২ সালের জন্য ১৫ জনকে পুরস্কার দেওয়া হয়েছিল। বাংলা একাডেমির বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের সমসাময়িক জীবিত লেখকদের সামগ্রিক মৌলিক অবদান চিহ্নিত করে তাদের সৃজনী প্রতিভাকে স্বীকৃতি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টি করাই বাংলা একাডেমির সাহিত্য পুরস্কার প্রদানের উদ্দেশ্য।