আন্তর্জাতিক ডেস্ক:- ইয়েমেনে হুথি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে মার্কিন ও ব্রিটিশ হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রে বেশ কয়েকজন যুদ্ধবিরোধী কর্মী বিক্ষোভে নেমেছেন। বৃহস্পতিবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে নিউইয়র্ক সিটির টাইমস স্কয়ারে এবং হোয়াইট হাউজের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন তারা। হুথিদের ওপর হামলার এই পদক্ষেপ গাজায় চলমান যুদ্ধকে আরও প্রসারিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স এই খবর জানিয়েছে।
লোহিত সাগরে বাণিজ্যিক জাহাজে হুথিদের আক্রমণের প্রতিক্রিয়া হিসেবে বৃহস্পতিবার আকাশ ও সমুদ্র পথে হুথি সামরিক লক্ষ্যবস্তুগুলোতে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য।
এর প্রতিবাদে ওইদিন বিকেলে টাইমস স্কয়ারে বিক্ষোভকারীরা মধ্যপ্রাচ্যের সংঘাত না বাড়ানোর দাবি জানিয়ে স্লোগান দেন। আর হোয়াইট হাউজের কাছে বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনি পতাকা নেড়ে বিক্ষোভ করেছিলেন। এসময় ‘ফিলিস্তিনকে মুক্ত কর’ এবং ‘ইয়েমেনে বোমাবর্ষণ বন্ধ কর’ স্লোগান লেখা ব্যানার বহন করছিলেন তারা।
৭ অক্টোবরে গাজা যুদ্ধে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের প্রতি সতর্থন হিসেবে লোহিত সাগরে ইসরায়েলমুখী জাহাজে হামলার ঘোষণা করে ইয়েমের হুথিরা। তাদের হামলা বন্ধের দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়। এতেও বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা বন্ধ না করলে ইয়েমেনে হুথিদের অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য।
ইয়েমেনে এই হামলাগুলো মধ্যপ্রাচ্যে চলমান সংঘাতকে আরও বাড়িয়ে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। তবে যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা একটি যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, আঞ্চলিক উত্তেজনা বাড়ানোর কোনও উদ্দেশ্য তাদের নেই।
ইরান-সমর্থিত হুথিরা ইয়েমেনের বেশিরভাগ অংশ নিয়ন্ত্রণ করে। তারা লোহিত সাগরে ড্রোন এবং ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করেছে। ফলে জাহাজগুলো নিজেদের রুট পরিবর্তন করে দীর্ঘ ও ব্যয়বহুল পথ বেচে নিতে বাধ্য হচ্ছে।
৭ অক্টোবর দক্ষিণ ইসরায়েলের হামলার করে ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। ওই হামলায় ইসরায়েলের এক হাজার ২০০ মানুষ নিহত হওয়ার দাবি করেছিল ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ।
হামাসের এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েল। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় অনুসারে, ইসরায়েলের এই হামলায় এখন পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। বাস্তুচ্যুত হয়েছে সেখানকার ২৩ লাখ বাসিন্দা।