ডেস্ক রির্পোট:- অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড গাজায় তিন মাস ধরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলা ও অভিযান চলছে। যুদ্ধ শিগগিরই থামছে না, এই ইঙ্গিত ইতিমধ্যে দিয়ে রেখেছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এরই মধ্যে গত সপ্তাহ উত্তেজনাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে কাটাল মধ্যপ্রাচ্য। এতে যুদ্ধ আরও বিস্তৃত হওয়ার শঙ্কার মধ্যেই তা আর বাড়তে না দিতে মধ্যপ্রাচ্যে রওনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের শীর্ষ কূটনীতিকেরা।
গত মঙ্গলবার লেবাননের বৈরুতে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শাখার উপপ্রধান সালেহ আল-আরৌরি নিহত হন। আর গত শুক্রবার ইরাকের বাগদাদে মার্কিন হামলায় নিহত হন ইরানপন্থী এক মিলিশিয়া কমান্ডার। এ পরিস্থিতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের শীর্ষ কূটনীতিক জোসেপ বোরেল গত শুক্রবার রাতে তুরস্কে পৌঁছান।
মধ্যপ্রাচ্য সফরে প্রথম দেশ হিসেবে তুরস্কে যান তাঁরা। এরপর লেবাননে যাবেন তাঁরা। এই সফরে ইসরায়েল ও পশ্চিম তীর সফরের কথাও রয়েছে তাঁদের। গত ৭ অক্টোবর গাজায় যুদ্ধ শুরুর পর এ নিয়ে চতুর্থবার মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেলেন ব্লিঙ্কেন।
মার্কিন প্রশাসনের জ্যেষ্ঠ এক কর্মকর্তা বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের জন্য ত্রাণ সরবরাহ বাড়াতে ইসরায়েলকে চাপ দেবেন ব্লিঙ্কেন। এ ছাড়া ব্লিঙ্কেন যুদ্ধ পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে নিতে বলবেন, যাতে বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিরা ঘরে ফিরতে পারে।
মার্কিন ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, আরব নেতাদের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় কূটনীতিকদের আলোচনায় সহিংসতা নিয়ন্ত্রণে রাখার বিষয়ে জোর দেওয়া হবে। আর যুদ্ধ শেষ হলে গাজার শাসনভারে কে বা কারা থাকবে, সেটিও আলোচনায় অগ্রাধিকার পাবে।
ইসরায়েলে গত ৭ অক্টোবর হামাস হামলা চালানোর আগপর্যন্ত তুরস্কের ইস্তাম্বুল ছিল সশস্ত্র গোষ্ঠীটির রাজনৈতিক নেতাদের ঘাঁটি। ওই হামলার পর ভিডিও ফুটেজে উল্লাস করতে দেখা যাওয়ার পর হামাস নেতাদের দেশ ছাড়তে বলে তুরস্ক।
শুরু থেকেই ইসরায়েলের দাবি, হামাসকে নির্মূলে এই যুদ্ধ। তবে, প্রাণহানি এবং ক্ষয়ক্ষতি বেশির ভাগই দেখছে গাজার বেসামরিক সাধারণ ফিলিস্তিনিরা।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ইসরায়েলি হামলায় আগের ২৪ ঘণ্টায় ১২২ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে ২২ হাজার ৭২২ জন। এদিকে, আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, গত শুক্রবার রাতে গাজার দক্ষিণাঞ্চলের শহর খান ইউনিসের একটি বাড়িতে বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল। এতে ১৮ ফিলিস্তিনি নিহত হয়। আর গাজার দেইর এল-বালাহের এক বাড়িতে হামলায় তিনজন নিহত এবং বেশ কয়েকজন আহত হয়।
এ ছাড়া ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর অভিযানের মধ্যেই অধিকৃত পশ্চিম তীরের নাবলুস শহর এবং অধিকৃত পূর্ব জেরুজালেমের শুফাত শরণার্থীশিবিরে তুমুল সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।