রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটির জুরাছড়ি উপজেলার সুভলং শাখা বন বিহারে, সেনাবাহিনীর সহায়তায় ১লা বৈশাখে ধর্মীয় অনুষ্ঠান উদযাপন করা হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভিতর বালুখালী গ্রামের কার্বারি সুশান্ত চাকমা ও সাবেক ওয়ার্ড সদস্য বিরো চাকমা।
জানাযায়, বনভান্তের শিষ্যসংঘের উদ্ভুত পরিস্থিতির সম্পূর্ণ নিরপেক্ষতা বজায় রাখার স্বার্থে, কমিটির পক্ষ থেকে বিহারে কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন না করা। একইসাথে কমিটিকে অবহিত না করে বিহারে কোন ধরনের সর্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজন না করার জন্য পুণ্যার্থীদের প্রতি অনুরোধ জ্ঞাপন করে উপাসক উপাসিকা কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ধল কুমার চাকমার স্বাক্ষরিত সভা কার্যবরণীতে উল্লেখ করা হয়। এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়ায় স্থানীয় জনগণের প্রতিবাদ শুরু হয়। ভোর থেকেই সাবেক ওয়ার্ড সদস্য বিরো চাকমা, বালুখালী কার্বারী সুশান্ত চাকমা, সুরেশ কার্বারী, রূপালী চাকমা ও দায়াল বিহারীর নের্তৃত্বে যক্ষা বাজার সেনা ক্যাম্পের সামনে আনুমানিক ৪ শতাধিক মানুষ কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে আসেন। বিক্ষুদ্ধ জনগন তাদের ক্ষোভ ও অসন্তুুষ্টি প্রকাশ করেন। এসময় জুরাছড়ি উপজেলা সদর এলাকায় থমথমে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।
বিরাজমান পরিস্থিতি সম্পর্কিত গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে রবিবার সকালে যক্ষা বাজার সেনা ক্যাম্পে জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। জুড়াছড়ি জোনের, জোন অধিনায়কের পরামর্শে যক্ষাবাজার ক্যাম্প অধিনায়ক সংশ্লিষ্ট বিষয়ের উপর আলোচনা করেন। আলোচনা সভায় জুরাছড়ি ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমাসহ অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে কার্যনির্বাহী পরিষদের সভাপতি ধল কুমার চাকমা, সাধারণ সম্পাদক প্রচারক চাকমা, নিরোদ কুমার চাকমা, মৃদুল কান্তি চাকমাসহ গুরুত্বপূর্ণ সদস্যগন উপস্থিত ছিলেন।
বিস্তারিত আলোচনার পরে, কমিটির মাধ্যমে কোন ধর্মীয় উৎসব আয়োজন করা হবে না তবে জনসাধারণের জন্য ধর্মীয় উৎসব আয়োজন উন্মুক্ত করা হয়। এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে, ইউপি চেয়ারম্যান ইমন চাকমা উপজেলায় সর্বজনীন ধর্মীয় অনুষ্ঠান আয়োজনের সংবাদ প্রচারে মাইকিং করার দায়িত্ব নেয়।
এতে এলাকার জনগন সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং সুখে, শান্তিতে, স্বস্তির সাথে তাদের ধর্মীয় উৎসব পালনে উৎসাহ সৃষ্টি হয়। এজন্য তারা সেনা বাহিনীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং জোন কমান্ডার ও ক্যাম্প কমান্ডার কে অসংখ্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
উল্লেখ্য যে, ধর্মীয় উৎসবটি স্থগিত করা ব্যর্থ হওয়ায় কয়েকটি গ্রুপ অসন্তুষ্ট রয়েছে বলে জানা যায়।
সাধারণ জনগণ বিজু ও ধর্মীয় উৎসব উদযাপনের সুবিধার্থে জোনের এই প্রচেষ্টা এবং সহযোগিতার জন্য সেনাবাহিনীর প্রতি নিবিড় ভালোবাসা ও সন্তোষ প্রকাশ করেছে। নিশ্চিতভাবে এই পদক্ষেপ আগামী দিনগুলোতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং শান্তি বাস্তবায়নে অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।