আধুনিক ‘ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ে’ চালুর উদ্যোগ সরকারের

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ৭ এপ্রিল, ২০২৫
  • ১২ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- নাগরিক ভোগান্তি কমাতে বিচ্ছিন্নভাবে আলাদা আলাদা সফটওয়্যার সিস্টেমে ডিজিটাল ভূমি সেবা না দিয়ে এলডি ট্যাক্স, ই-মিউটেশন, ই-পর্চা/ই-খতিয়ানসহ চারটি সেবাকে আন্তঃসংযুক্ত করে একটি আধুনিক ‘ল্যান্ড সার্ভিস গেটওয়ে’ চালুর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এতে সেবাগুলোর জন্য আলাদা রেজিস্ট্রেশন প্রয়োজন হবে না। এই সিঙ্গেল সার্ভিস গেটওয়ে সারা দেশের সব ভূমি সার্কেলের উন্মুক্ত করা গেলে নাগরিকদের আরো সহজে ভূমি সেবা দেয়া সম্ভব হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

রোববার প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইংয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব কথা বলা হয়।

এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের জরুরি নির্দেশনা অনুযায়ী ভূমি ডিজিটাইজেশনের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নেয়া হচ্ছে। এর অংশ হিসেবে ইতোমধ্যে ঢাকা জেলার ১৯টি ভূমি সার্কেলে ই-মিউটেশনের উন্নততর ভার্শন এবং সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যারের পাইলটিং শুরু হয়েছে। তথ‍্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের নেতৃত্বে এছাড়াও চার ধরনের ভূমিসেবা অনলাইনে নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করা হয়েছে।

সেবাগুলো হচ্ছে— এলডি ট্যাক্স (সারা দেশে), ই-মিউটেশন (পাইলট ফেইজ, ঢাকার ১৯টি সার্কেল), ই-পর্চা (সারা দেশে), ই-খতিয়ান এবং মৌজা ম্যাপ (সারা দেশে)। এলডি ট্যাক্স সেবাটি সারা দেশে উন্মুক্ত হয়েছে। ইতোমধ্যে প্রায় ২০০ কোটি টাকার ভূমিরাজস্ব আদায় সম্পন্ন হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ই-মিউটেশন পদ্ধতিগতভাবে বিচারিক প্রক্রিয়ার সাথে সংযুক্ত থাকার পাশাপাশি একাধিক সংস্থা ও দপ্তর সংস্থার সংশ্লিষ্টতা থাকায় এই সেবার পদ্ধতিগত সহজিকরণ এবং ই-নথি ব্যবস্থা সহজীকরণে আরো পর্যাপ্ত পাইলটিং প্রয়োজন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা নিজে এবং তার দপ্তর, ভূমি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এ এস এম সালেহ আহমেদ এবং ডাক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ভূমি সেবার ট্রান্সফর্মেশনে যৌথভাবে কাজ করছেন। ভূমি সেবা ডিজিটাইজেশনের পরবর্তী পর্যায়ে বেসরকারি উদ্যোক্তা এবং ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের ট্রেইনিং এর ব্যবস্থা করা হবে। এর মাধ্যমে ইউনিয়ন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে অনলাইন ভূমি সেবাগুলোকে উদ্যোক্তাদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বাংলাদেশের আদালতগুলোতে মোট মামলা এবং অপরাধের প্রায় ৭০ শতাংশের বেশি ভূমির মালিকানা, দখল, বেদখল, অধিগ্রহণ ও হস্তান্তর কেন্দ্রিক। এমতাবস্থায় সরকার ভূমি সেবাগুলোকে যথাসম্ভব দ্রুততার সাথে সহজে ব্যবহারযোগ্য সফটওয়্যারের মাধ্যমে নাগরিকদের কাছে উন্মুক্ত করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions