দ্বিকক্ষের সংসদ, এমপি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধির ভোটে রাষ্ট্রপতি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫
  • ৭ দেখা হয়েছে

ডেস্ক রির্পোট:- জাতীয় সংসদের উচ্চ ও নিম্নকক্ষের সংসদ সদস্য এবং সব স্থানীয় জনপ্রতিনিধির সরাসরি ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের সুপারিশ করেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া সংবিধান সংশোধন করে স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। সেই জাতীয় কাউন্সিলের হাতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান ও অন্য ২০ জন উপদেষ্টা, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ দেওয়ার ক্ষমতা রাখার সুপারিশ দিয়েছে এই সংস্কার কমিশন। এ ছাড়া তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদ চার মাস এবং এই সরকারের অধীনে জাতীয় ও স্থানীয় নির্বাচন করার সুপারিশ দিয়েছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। তবে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই স্থানীয় সরকার নির্বাচনের কথা বলেছে ইসি সংস্কার কমিশন।

গতকাল প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। পরে সেই প্রতিবেদনের সুপারিশ কমিশনের ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। আগামী ডিসেম্বরে সংসদ নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ধরে অক্টোবরের মধ্যে যেসব প্রবাসী ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হবে, তাদের পোস্টাল ব্যালটের মধ্যে আগামী সংসদ নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ দিতে সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন। প্রতিবেদন জমা দেওয়ার সময় নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদারের নেতৃত্বে কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহারের বিধান বাতিল করে ব্যালটের পাশাপাশি ‘অনলাইন ভোটিংব্যবস্থা’ চালুর সুপারিশ করেছে ইসি সংস্কার কমিশন। কোনো আসনে মোট ভোটারের ৪০ শতাংশ ভোট না পড়লে পুনর্নির্বাচন; জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ‘না ভোটের’ বিধান প্রবর্তন এবং ‘না ভোট’ বিজয়ী হলে নির্বাচন বাতিল করার সুপারিশ করা হয়েছে।

নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) নির্বাচন স্থগিত বা বাতিল এবং পুনর্নির্বাচনের ক্ষমতা দেওয়ার প্রস্তাব রয়েছে প্রতিবেদনে। এ ছাড়া ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৪ সালের মতো বিতর্কিত নির্বাচনের মাধ্যমে সংবিধানের মৌলিক কাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিলে সর্বসম্মত সিদ্ধান্তের মাধ্যমে ৯০ দিনের জন্য নির্বাচন স্থগিত করার ক্ষমতা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। ২০১৮ সালের জালিয়াতির নির্বাচনের দায় নিরুপণের জন্য ‘বিশেষ তদন্ত কমিশন’ গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

সুপারিশ যত প্রস্তাব : প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ দুই মেয়াদে সীমাবদ্ধ করা; দুইবারের নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচনের অযোগ্য করা; একই ব্যক্তি একই সঙ্গে যাতে দলীয়প্রধান, প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা হতে না পারেন, তার বিধান করার সুপারিশ করেছে সংস্কার কমিশন।

এদিকে স্থানীয় সরকারের নির্বাচন অনুষ্ঠানের পুরো দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের কাছে ন্যস্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে কমিশন। আউয়াল কমিশন ২০২৩ সালে যেসব বিতর্কিত রাজনৈতিক দলকে নিবন্ধন প্রদান করেছে, তদন্ত সাপেক্ষে সেগুলোর নিবন্ধন বাতিল করা। নির্বাচন কমিশনের মেয়াদকালে কমিশনারদের বিরুদ্ধে দায়িত্বে অসদাচরণ বা অসামর্থ্যরে অভিযোগ উঠলে তা সংবিধানের ১১৮ ও ৯৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে সুরাহা করার বিদ্যমান বিধান কার্যকর করা। সাংবিধানিক দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে এবং শপথ ভঙ্গ করলে কমিশনারদের মেয়াদ পরবর্তী সময়ে উত্থাপিত অভিযোগ প্রস্তাবিত সংসদীয় কমিটি তদন্ত করে সুপারিশসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে প্রেরণের বিধান করা। আরপিওর ৯০(ক) ধারা সংশোধনপূর্বক নির্বাচনি অপরাধের মামলা দায়েরের সময়সীমা রহিত করা। নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মধ্য থেকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করা। ঋণ-বিল খেলাপিদের প্রার্থী হওয়া থেকে বিরত রাখা। আইসিটি আইনে (আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে) শাস্তিপ্রাপ্তদের সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা। গুরুতর মানবাধিকার (বিচারবহির্ভূত হত্যা, গুম, অমানবিক নির্যাতন, সাংবাদিক/মানবাধিকারকর্মীদের ওপর হামলা ইত্যাদি) এবং গুরুতর দুর্নীতি, অর্থ পাচারের অভিযোগে গুম কমিশন বা দুর্নীতি দমন কমিশন বা আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত কর্তৃক অভিযুক্ত হলে তাদের সংবিধানের ৬৬(২)(ছ) অনুচ্ছেদের অধীনে একটি বিশেষ আইন প্রণয়ন করে সংসদ সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচিত প্রতিনিধিদের পদত্যাগ না করে সংসদ সদস্য পদে প্রার্থী হওয়ার অযোগ্য করা। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের ক্ষেত্রে ১ শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জমা দেওয়ার বিধানের পরিবর্তে ৫০০ ভোটারের সম্মতির বিধান করা এবং এ ক্ষেত্রে একক কিংবা যৌথ হলফনামার মাধ্যমে ভোটারদের সম্মতি জ্ঞাপনের বিধান করা। একাধিক আসনে কোনো ব্যক্তির প্রার্থী হওয়ার বিধান বাতিল করা। হলফনামায় মিথ্যা তথ্য দেওয়ার কিংবা তথ্য গোপনের কারণে আদালত কর্তৃক কোনো নির্বাচিত ব্যক্তির নির্বাচন বাতিল করা হলে ভবিষ্যতে তাকে নির্বাচনে অযোগ্য করার বিধান করা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিকদের সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ, অনিয়মের চিত্র ধারণ, নির্বাচনের দিনে মোটরসাইকেল ব্যবহার করার অনুমতি প্রদান করা। ব্যানার, তোরণ ও পোস্টারের পরিবর্তে লিফলেট, ভোটার-প্রার্থী মুখোমুখি অনুষ্ঠান, পত্রপত্রিকায় বিজ্ঞাপন ও সরকারি গণমাধ্যমে প্রচারের সমসুযোগ প্রদানের বিধান করা।

এদিকে সংসদের উচ্চকক্ষের নির্বাচনের বিষয়ে বলা হয়েছে, সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে ১০০ আসন নিয়ে সংসদের উচ্চকক্ষ সৃষ্টি করা। সংসদ নির্বাচনে দলগুলোর প্রাপ্ত ভোটের হারের ভিত্তিতে (সংখ্যানুপাতিকভাবে) আসন বণ্টন করা।

উচ্চকক্ষের নির্বাচন : প্রত্যেক দলের প্রাপ্ত আসনের ৫০ শতাংশ দলের সদস্যদের মধ্য থেকে এবং অবশিষ্ট ৫০ শতাংশ আসন নির্দলীয় ভিত্তিতে নাগরিক সমাজ, শিক্ষাবিদ, বিজ্ঞানী, মানবসেবা প্রদানকারী, শ্রমজীবীদের প্রতিনিধি, নারী উন্নয়নকর্মী, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব এবং পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ইত্যাদির মধ্য থেকে সংখ্যানুপাতিক হারে নির্বাচিত করার বিধান করা। তবে শর্ত থাকে যে দলীয় ও নির্দলীয় সদস্যদের মধ্যে কমপক্ষে ৩০ শতাংশ নারীর অন্তর্ভুক্তি নিশ্চিত করা। সংসদের উচ্চকক্ষের সদস্যদের বয়স কমপক্ষে ৩৫ বছর এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা কমপক্ষে ¯œতক নির্ধারণ করা। অন্যান্য যোগ্যতা-অযোগ্যতা নিম্নকক্ষের যোগ্যতার অনুরূপ করা। বিরোধী দলকে ডিপুটি স্পিকারের পদ দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংসদ নির্বাচনে নারীর প্রতিনিধিত্ব : সংসদের (নিম্নকক্ষ) আসনসংখ্যা ১০০ বাড়িয়ে মোট সংখ্যা ৪০০ করা। এই ৪০০ আসনের মধ্যে নারীদের জন্য নির্ধারিত ১০০ আসন ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নির্বাচনের বিধান করা, যাতে যোগ্যতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট আসন থেকে নারীদের সরাসরি নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ সৃষ্টি হয় এবং দ্বৈত প্রতিনিধিত্বের সুযোগ বন্ধ হয়।

রাষ্ট্রপতি নির্বাচন : দলনিরপেক্ষ, সৎ, যোগ্য ও সুনামসম্পন্ন ব্যক্তির রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা। জাতীয় সংসদের উভয় কক্ষের সদস্য এবং স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচিত প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত বৃহত্তর নির্বাচকমন্ডলীর ভোটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হওয়ার বিধান করা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা : তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থার মেয়াদ চার মাস নির্ধারিত করে এবং এই মেয়াদকালে জাতীয় ও স্থানীয় সরকারের সব নির্বাচন সম্পন্ন করা, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে সরকার পরিচালনায় রুটিন কার্য?মের বাইরেও সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধিবিধানের সংস্কার এবং প্রশাসনিক রদবদলের বিধান করা। স্থায়ী ‘জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল’ কর্তৃক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানের নাম চূড়ান্ত করার এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান এবং অন্য ২০ জন উপদেষ্টাকে নিয়োগের বিধান করার সুপারিশ করেছে কমিশন।

রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন : নতুন দল নিবন্ধনের শর্ত শিথিলের লক্ষ্যে ১০ শতাংশ জেলা এবং ৫ শতাংশ উপজেলা/থানায় দলের অফিস এবং ন্যূনতম ৫ হাজার সদস্য থাকার বিধান করা। দলের সাধারণ সদস্যদের তালিকা প্রস্তুত করে তা ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা এবং ওই তালিকা প্রতি বছর একবার হালনাগাদ করা। আইসিটি আইনে সাজাপ্রাপ্ত সব ব্যক্তিকে কোনো দলের সাধারণ সদস্য/কমিটির সদস্য হওয়ার অযোগ্য করা। দলের লেজুড়বৃত্তিক ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক সংগঠন, ভ্রাতৃপ্রতিম বা যে কোনো নামেই হোক না কেন, না থাকার বিধান করা। দলের সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নের জন্য দলের তিন বছরের সদস্য পদ থাকা বাধ্যতামূলক করা। প্রতি পাঁচ বছর পরপর দল নিবন্ধন নবায়ন বাধ্যতামূলক করা। পরপর দুটি নির্বাচনে অংশ না নিলে দলের নিবন্ধন বাতিলের বিধান বাতিল করা।

জাতীয় পরিচয়পত্র : জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন আইন-২০২৩, যার মাধ্যমে এনআইডি ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়েছে, জরুরি ভিত্তিতে তা বাতিল করা। বর্তমানের ১৬ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সি বাংলাদেশি নাগরিকের জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদানের পাশাপাশি ভবিষ্যতে ১০ বছর বা তদূর্ধ্ব বয়সি শিশুদের জন্য পরিচয় নিবন্ধন কার্য?ম গ্রহণ করা।

প্রবাসী পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থা : প্রবাসীদের ভোটদানের সুযোগ দিতে প্রযুক্তির সহায়তাসূচক পোস্টাল ভোটিং ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এ জন্য দুইটি মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন, ভোটার অ্যাপ এবং ভেরিফায়ার অ্যাপ- ডেভেলপ করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

কমিশনের ১৫০ সুপারিশ : নির্বাচনব্যবস্থাকে অন্তর্ভুক্তিমূলক করার পাশাপাশি সব অংশীজনকে দায়বদ্ধতার মধ্যে আনার লক্ষ্যে প্রায় ১৫০ সুপারিশ রেখেছে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন। গতকাল তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে এ প্রতিবেদন জমা দেন নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান বদিউল আলম মজুমদার। এ সময় কমিশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠায় নির্বাচন কমিশনকে কার্যকর ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠান করার লক্ষ্যে প্রতিবেদন নিয়ে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে কথা বলেন বদিউল আলম। তিনি বলেন, সব অংশীজনের দায়বদ্ধতা যেন প্রতিষ্ঠিত হয়, নির্বাচনটা যেন অন্তর্ভুক্তিমূলক হয় এবং ভোটারের ভোট দেওয়ার অধিকার যাতে প্রতিষ্ঠিত হয় সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করেছি। প্রতিবেদনে ১৫০টির মতো ছোটবড় সুপারিশ রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, ‘নির্বাচনব্যবস্থা ভেঙে গিয়েছে, এটাকে জোড়া লাগানোর জন্য সংস্কার কমিশনের এই প্রচেষ্টা। কাজটি করতে গিয়ে আমরা কিছু উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে পড়েছিলাম। পাশাপাশি প্রতিবেদনে এমন কিছু প্রস্তাব রয়েছে যেগুলো পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করতে সহায়তা করবে। নির্বাচনব্যবস্থায় যাতে স্বচ্ছতা প্রতিষ্ঠিত হয় সে জন্যই প্রস্তাবনাগুলো আনা হয়েছে।

বদিউল আলম বলেন, ‘১৮টি উল্লেখযোগ্য জায়গায় ১৫০টির মতো সুপারিশ করেছি। এ সুপারিশের অন্যতম লক্ষ্য, নির্বাচন কমিশনের (ইসি) স্বাধীনতা নিশ্চিত করা। তাদের ক্ষমতায়িত করা। একই সঙ্গে তাদের দায়বদ্ধ করা। দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত না হলে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত করা যাবে না। এর জন্য রাজনৈতিক দলগুলোকে গণতান্ত্রিক চর্চা ও জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। প্রতিবেদনে আমরা দায়বদ্ধতার বিধান অন্তর্ভুক্ত করেছি। এটা চাট্টিখানি কথা নয়। এটা বলা সহজ; কিন্তু এটা আমাদের করতে হবে।’

তিনি বলেন, “প্রবাসীদের ভোটাধিকার নিশ্চিত করতে সুপারিশ করা হয়েছে। প্রার্থীদের যোগ্যতা-অযোগ্যতার বিষয়ে কিছু ‘অভিনব’ প্রস্তাবও করা হয়েছে। ঘূর্ণায়মান পদ্ধতিতে নারীর প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করার প্রস্তাব করেছি। নির্বাচনি অপরাধের বিচার সুসংহত করে তাদের যেন দায়বদ্ধ করা যায় সে বিষয়ে সুপারিশ করেছি।”

সংস্কারকাজকে এগিয়ে নিতে আরও কিছু আইনের খসড়া নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন কমিশনপ্রধান। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনকে শক্তিশালী ও কার্যকর করার ব্যাপারে গুরুত্ব দিয়ে আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। আরও দুই-একটা আইনের খসড়া প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কিছু আইন রয়েছে সংস্কার করা দরকার। ইতোমধ্যে কিছু গুছিয়ে আনা হয়েছে। এ জন্য সময় দিতে হবে।

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions