ডেস্ক রির্পোট:- আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল বলেছেন, এ পর্যন্ত চারটি বিভাগ চূড়ান্ত করা হয়েছে। আশা করছি, আগামীকাল না হলে রোববার (২৬ নভেম্বর) আমরা ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে পারি।
শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বিকেলে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কিছু নতুন মুখ এসেছে কিছু বাদও গেছে। উইনেবল প্রার্থী আমরা বাদ দেইনি। উইনিবল ক্যান্ডিডেট আমরা ড্রপ করিনি। যারা জিতবে ইলেকশনে তাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর তেজগাঁও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ অফিসে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের দলীয় প্রার্থীদের মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। আজ সকাল থেকে গণভবনে অন্য দুইভাগে বিভাগের দলীয় প্রার্থীর মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়। দলীয়ভাবে জানা যায়, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে।
বিজ্ঞাপন
আজ কোন বিভাগে প্রার্থী চূড়ান্ত হয়েছে প্রকাশ না করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘নির্দিষ্ট বিভাগের নাম শুনলে ভিড়বাট্টা বেড়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এরই মধ্যে আমরা যেসব মনোনয়ন দিয়েছি। সেইসব মনোনয়নে ভুলক্রটিও থাকতে পারে। তাই সেই সব সংশোধনের সুযোগ রেখেছি। আমরা ঠিক করেছি বিভাগওয়ারি বা জেলাওয়ারি প্রার্থিতা দিতে চাই না। আমরা একসঙ্গে ৩০০ আসনের প্রার্থিতা ঘোষণা করতে চাই।’
বিএনপি নির্বাচনে আসবে না- এটি উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তারা জোটগতভাবে না হলেও দলের ভেতর থেকে অনেকে অংশ নিতে পারে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘সাকিব আল হাসান এখন থেকে রাজনীতি করবেন। এমনটি দলকে বিষয়টি বলা হয়েছে।’
‘রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়ে বিএনপি এখন অর্থনীতিকে ধ্বংস করার পথ বেঁচে নিয়েছে। এ সব করে নির্বাচন ভণ্ডুল করা যাবে না। কেননা জনগণ নির্বাচনমুখি হয়েছে এটি সরকারের সাফল্য’— বলেন ওবায়দুল কাদের।
তফসিল অনুযায়ী, এবার নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ৩০ নভেম্বর, বাছাই ১-৪ ডিসেম্বর, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল ও শুনানি ৬-১৫ ডিসেম্বর এবং ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে। প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।
নির্বাচনি প্রচারণা চলবে ১৮ ডিসেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আগামী ৭ জানুয়ারি ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।