শিরোনাম
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের পরামর্শ সরাসরি ভোটে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সুপারিশ, বদিউল বললেন, ‘বিবেচনায় রয়েছে’ বান্দরবানে নৌকা বাইচ দিয়ে ক্রীড়া মেলা শুরু রাঙ্গামাটিতে সাফজয়ী পাহাড়ের তিন কন্যাকে উষ্ণ সংবর্ধনা পলাতক পুলিশ সদস্যদের বেতন বন্ধ, মামলার প্রস্তুতি শেখ মুজিব দেশে ফ্যাসিবাদের জনক : মির্জা ফখরুল অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে ডাক্তার দেখাতে গিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীর হাতে পিটুনি নেতাদের বাঁচার উপায় বাতলে দিলেন তারেক রহমান দেশে মাদক ঢুকছে নতুন রুটে, পাচার হচ্ছে ট্রেনেও নামে-বেনামে দেওয়া হয় গায়েবি মামলা,দণ্ডিত বিএনপি নেতাদের নির্বাচনী দুয়ার খুলছে

মামলা মুক্তির চ্যালেঞ্জে বিএনপি

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় সোমবার, ৪ নভেম্বর, ২০২৪
  • ৩৭ দেখা হয়েছে

► ৪ লাখ মামলায় আসামি ৬০ লাখ নেতা-কর্মী ► আগামী নির্বাচনে জনসমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসাই মূল লক্ষ্য

ডেস্ক রির্পোট:- দেশের অন্যতম বৃহৎ রাজনৈতিক দল বিএনপির সামনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় ও কঠিন চ্যালেঞ্জ হলো- দুই শীর্ষনেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ দলের ৬০ লাখ নেতা-কর্মীকে মামলার জাল থেকে মুক্ত করা। সারা দেশে ৬০ লাখ বিএনপি নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এখনো চলমান ৪ লাখ মামলা। এ অবস্থায় দলটির সর্বস্তরের নেতা-কর্মীদের সামনে এ মুহূর্তে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে- এ মামলার খড়গ থেকে মুক্ত হওয়া। দলের নীতিনির্ধারণী মহলসহ সব স্তরের নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এ অভিমত প্রকাশ করেন।

জানা গেছে, বিএনপির প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রকৃত অর্থেই জনগণের সমর্থন নিয়ে বিপুল ভোটে ক্ষমতায় আসা। এ লক্ষ্য নিয়েই বিভিন্ন কৌশলে সামনে এগোচ্ছে দলটি। দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন স্থায়ী কমিটির সদস্যদের। দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন তাঁরা। কিন্তু একেকজনের বিরুদ্ধে ডজন ডজন মামলা থাকায় সারা দেশের নেতা-কর্মীরা সেই পরিকল্পনা বাস্তবায়নে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। বিএনপির কেন্দ্রীয় দপ্তরসহ সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এ বিষয়ে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, স্বৈরাচার সরকার বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে যে অগণিত মামলা দায়ের করেছে- তার সবই মিথ্যা, গায়েবি এবং বানোয়াট। এসব মামলার একটিরও কোনো মেরিট নেই। আদালত থেকেই বলা হচ্ছে যে- ন্যূনতম কোনো রকমের এভিডেন্স ছাড়াই শুধু প্রতিহিংসাবশত মামলাগুলো দায়ের করা হয়েছে। ছোটখাটো কিছু মামলা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়া ইতোমধ্যে শুরু করা হয়েছে। তবে গতি অত্যন্ত ধীর। এ গতিতে চলতে থাকলে অনেক সময় লেগে যাবে। মামলা আর শেষ হবে না। এ অবস্থায় বর্তমান সরকারের কর্তব্য হলো- যত দ্রুত সম্ভব এসব মামলা প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করা।
এ প্রসঙ্গে দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, মামলার খড়গ এখন বিএনপি নেতা-কর্মীদের মুক্তভাবে কাজ করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা। এখনো নেতা-কর্মীদের আদালতের বারান্দায় ঘুরতে হয়। হাজিরা দিতে হয় সপ্তাহে চার থেকে পাঁচ দিন করে। পৃথিবীর আর কোনো দেশের এত সংখ্যক রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে এত বিশালসংখ্যক মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়েরের নজির নেই। যাই হোক, স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে এখনো মিথ্যা ও গায়েবি মামলা চলমান থাকবে, এটা হতে পারে না। আশা করি, অন্তর্বর্তী সরকার এ বিষয়ে আর কালবিলম্ব না করে চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান থেকে শুরু করে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহারের ব্যবস্থা করবে। এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদ বাংলাদেশ প্রতিদিনকে বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিনের একটি পরীক্ষিত গণতান্ত্রিক ও দেশপ্রেমিক রাজনৈতিক দল। সব চ্যালেঞ্জ ইনশাআল্লাহ সাফল্যের সঙ্গেই মোকাবিলা করবে।
প্রথমত সারা দেশে দল ও অঙ্গসংগঠনের লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা অজস্র মামলার নিষ্পত্তি করা। দলের কান্ডারি তারেক রহমানকে মামলামুক্ত করে দেশে ফিরিয়ে আনা। তিনি বলেন, বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দল পুরোপুরি ঐক্যবদ্ধ আছে। যথাসময়ে জাতীয় নির্বাচন দিতেই হবে এ অন্তর্বর্তী সরকারকে। এর কোনো বিকল্প নেই। জানা যায়, বিএনপির একেকজন নেতা-কর্মীর নামে কয়েক ডজন করে মামলা থাকায় তাদের এখনো আদালতে এসব মামলার পেছনেই সময় দিতে হচ্ছে। মামলার পেছনে সময় ব্যয় করার কারণে সাংগঠনিক কর্মকান্ডের পাশাপাশি নির্বাচনি প্রস্তুতি গ্রহণের কাজে মনোযোগ দিতে পারছেন না তারা।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আহমেদ এ প্রসঙ্গে বলেন, গণহত্যার তরতাজা খুনের মামলার আসামিরা ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জামিন ও মুক্তি পায়। কিন্তু বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা সম্পূর্ণ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার হয় না। বিএনপির লাখ লাখ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে লাখ লাখ মামলা ঝুলে থাকে। বুঝতে পারছি না- এসব মিথ্যা ও গায়েবি মামলা প্রত্যাহারের সরকারের কেন এত অনীহা? তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগণের সম্মতির সরকার। এ সরকারের প্রধান কাজ হচ্ছে, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের আয়োজন করা। আর তার জন্য একটি সুন্দর ও নিরপেক্ষ পরিবেশ তৈরি করা। সব বৈষম্য দূর করা। আর সেটি করতে হলে অন্যায়ভাবে দায়ের করা সব মিথ্যা, গায়েবি ও হয়রানিমূলক বানোয়াট মামলা অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করে নিতে হবে। বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সাবেক এমপি জহিরউদ্দিন স্বপন বলেন, নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার পাশাপাশি বিএনপিকে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সুসম্পর্ক রেখে দেশকে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দিকে নিয়ে যেতে হবে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়, দেশের সামরিক-বেসামরিক শক্তি ও সুশীলসমাজের সমর্থন আদায়ও করতে হবে। এর সঙ্গে রয়েছে লন্ডনে অবস্থানরত দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার চ্যালেঞ্জ। এজন্য দলের দুই শীর্ষনেতা বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সর্বস্তরের নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা ও বানোয়াট মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে অন্তর্বর্তী সরকারকে।বাংলাদেশ প্রতিদিন

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.com
Website Design By Kidarkar It solutions