ডেস্ক রির্পোট:- সম্প্রতি দীঘিনালা, খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে সংঘটিত সাম্প্রদায়িক হামলার ওপর লিখিত এক রিপোর্টে জনসংহতি সমিতির সন্তু গ্রুপ ইউপিডিএফ-কে জড়িয়ে যে তথ্য পরিবেশন করেছে তা “চরম প্রতিক্রিয়াশীল হীনউদ্দেশ্যপ্রণোদিত, গদি নিরাপদ রাখার মতলবে নির্লজ্জ অপপ্রচার” বলে প্রত্যাখ্যান করেছেন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)-এর সিনিয়র কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব চাকমা।
৩ অক্টোবর ২০২৪ বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে দেয়া এক বিবৃতিতে বলেন, ২০ সেপ্টেম্বর দীঘিনালা ও খাগড়াছড়ি হামলার প্রতিবাদে রাঙ্গামাটিতে সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলন কর্তৃক আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিল সম্পর্কে জেএসএস সন্তু গ্রুপের দেয়া তথ্যের সাথে বাস্তবে যা ঘটেছে তার কোন মিল নেই।
”উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে জেলার সকল এলাকা থেকে সাধারণ ছাত্ররা অংশগ্রহণ করে। মিছিলটি ডিসি অফিস পর্যন্ত যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে এমন কোন তথ্য আমাদের জানা নেই।
”অপরদিকে ঘটনার সূত্রপাত সম্পর্কে প্রায় সকল মিডিয়ায় ও পার্বত্য চট্টগ্রাম কমিশনসহ মানবাধিকার সংগঠনের রিপোর্টে বলা হয় যে, বনরূপা মসজিদ থেকে মাইকে “পাহাড়িরা মসজিদ আক্রমণ করছে” বলে ঘোষণা দেয়ার পরই মিছিলের ওপর বাঙালি সেটলারদের হামলা শুরু হয়। অথচ জেএসএস তাদের ভাষ্যকে খারিজ করে দিয়ে ইচ্ছাকৃতভাবে মনগড়া তথ্য দিয়ে অহেতুক বিতর্ক সৃষ্টি করতে চাইছে। তাদের এটা করার উদ্দেশ্য হতে পারে কোন একটি বিশেষ মহলের ইঙ্গিতে ”সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনের” চলমান আন্দোলন সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা।
”জেএসএস আসলে আঞ্চলিক পরিষদের গদি টিকিয়ে রাখার জন্য ক্ষমতাশালী কায়েমী স্বার্থবাদী গোষ্ঠীকে খুশি করতে তাদের রিপোর্টে সাম্প্রদায়িক হামলার দায় “উত্তেজিত মিছিলকারী” বা প্রকারান্তরে “সংঘাত ও বৈষম্য বিরোধী পাহাড়ি ছাত্র আন্দোলনসহ মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের” ও ”অপরিচিত ইউপিডিএফ ছাত্র-যুবকদের” ঘাড়ে চাপিয়ে দেয়ার ব্যর্থ চেষ্টা করেছে।
রাঙ্গামাটিতে পাহাড়িদের ওপর উগ্র সাম্প্রদায়িক সেটলার হামলার দায় জেএসএস সন্তু গ্রুপ কর্তৃক মিথ্যাভাবে “উত্তেজিত মিছিলকারীদের” ওপর চাপিয়ে দেয়াকে পার্বত্য চট্টগ্রামের ছাত্র সমাজ তথা দেশের জনগণ কখনই মেনে নেবে না।