রাঙ্গামাটি:- ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ ও আহতদের চিকিৎসার খোঁজ নিতে আজ মঙ্গলবার পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটিতে গিয়েছেন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলী নাজির শাহিন।
মঙ্গলবার (০১ অক্টোবর) দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরের একটি রেস্তোরাঁয় অনুষ্ঠিত মতবিনিময় সভায় এ দাবি তুলেছেন আয়োজকরা।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন জুলাই-৩৬ ফোরামের আহবায়ক নাজির শাহীন, সদস্য সচিব নাওয়িদ হোসেন, সদস্য মেজর আলাউদ্দিন(অব:), ফিরোজ আহমেদ, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি, দৈনিক গিরিদর্পন পত্রিকার সম্পাদক ও ইত্তেফাকের রাঙ্গামাটি প্রতিনিধি একেএম মকছুদ আহমদ, রাঙ্গামাটি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাাকাদিক ফাতেমা জান্নাত মুমু,পুলক চক্রবর্তী প্রমূখ।
এসময় এক মত বিনিময় সভায় আলী নাজির শাহিন। বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনে কেউ চোখ হারিয়েছেন, কেউ পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। তাদের পাশে দাঁড়ানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। দেশটা তো আমাদেরই।
তিনি আরো বলেন, এই যে এত ছাত্র-জনতা জীবন দিয়ে এই দ্বিতীয় স্বাধীনতা এনে দিলো, তাদের যেনো বীরের মর্যাদা অর্থাৎ তাদের বীর ঘোষণা করা হোক সেই জন্যে আমি হাইকোর্টে রিট করি। এরপরও তাদের কেনো জাতীয় বীর ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। সেই সঙ্গে সব আহত ও গ্রেপ্তারকৃতদের কেন মুক্তিযোদ্ধা ঘোষণা করা হবে না, তাও জানতে চাওয়া হয় সেই রুলে। আদেশের আগে আমি নিজের চোখে দেখতে চাই যে, আমাদের শহীদ পরিবার ও আহতদের কি অবস্থা, আর কি ধরণের সহযোগীতা লাগবে। শুরুটা করলাম পার্বত্য অঞ্চলের মানুষদের দিয়ে। আশা করি আমরা একসাথে আমাদের দেশকে আরো উচ্চ থেকে উচ্চতর শিখড়ে নিয়ে যেতে পারব। তবে এটাই হোক আমাদের প্রথম ধাপ। আশা করি পুরো বাংলাদেশ আমাদের সাথেই আছে, আমাদের তরুণ সমাজই আমাদের আগামি বাংলাদেশ।
এর আগে গত ২৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনকে কেন্দ্র করে জুলাই-আগস্টের শহীদদের জাতীয় বীর ঘোষণা না করার বিষয়ে হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন তিনি। আদালত সে সময় রুল জারি করে। একইসঙ্গে আহতদের মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি এবং তাদের পরিবারকে পুনর্বাসনের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের তালিকা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য বিষয়ক উপ-কমিটি। সর্বশেষ তথ্যমতে সারা দেশে মোট ১৫৮১ জন নিহতের খবর প্রকাশ করেছে এ কমিটি।
গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৩টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের অডিটোরিয়ামে স্বাস্থ্য উপ-কমিটি, নাগরিক কমিটিসহ অংশীজনদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো উপ-কমিটির তথ্যমতে, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে ৩১ হাজারের বেশি ছাত্র-জনতা আহত হয়েছেন। তবে এটাই চূড়ান্ত নয় বলে জানান কমিটির সদস্যরা। অনেক আহতের তথ্য একাধিকবার এসেছে এবং অনেকের নাম এখনও এ তালিকায় যুক্ত হয়নি বলেও জানান তারা।