রাঙ্গামাটি:- পার্বত্য জেলা রাঙ্গামাটি শহরে হঠাৎ করেই বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে অর্ধশতাধিক মানুষের আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। মঙ্গল-বুধবার এই দুদিনে রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালেই চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৪ জন আক্রান্ত মানুষ।
হাসপাতালে ভর্তিও আছেন কয়েকজন। হঠাৎ করেই শহরের বেওয়ারিশ কুকুরের এমন আচরণে হতবাক স্থানীয়রাও।
রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালের জলাতঙ্ক বিভাগ থেকে ৫৪ জন রোগী ভ্যাকসিন গ্রহণ করেছেন। কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা নেওয়াদের মধ্যে চম্পকনগর, ট্রাইবেল আদাম, কেকে রায় সড়ক, দেবাশীষ নগর, কল্যাণপুর, কলেজ গেইট, ভেদভেদী, রাঙাপানি, রিজার্ভবাজার, আসামবস্তি ও তবলছড়িসহ বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা রয়েছেন।
রাঙ্গামাটির সিভিল সার্জন ডা. নূয়েন খীসা বলেন, ‘মঙ্গলবার থেকে বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত রাঙ্গামাটি জেনারেল হাসপাতালে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে আহত ৫৪ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েকজন হাসপাতালে ভর্তিও আছেন। আমরা খোঁজখবর নিয়ে জানতে পেরেছি শহরের কেকে রায় সড়ক থেকে ভেদভেদ হয়ে আসামবস্তি পর্যন্ত এই পুরো এলাকাতে কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হচ্ছেন মানুষ। হঠাৎ করে কী কারণে বেওয়ারিশ কুকুরের কামড়ে এত মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন এটা ভাবনার বিষয়। দুই-একটি কুকুর যদি পাগল কামড়াও তাহলে তো এত মানুষ আক্রান্ত হওয়ার কথা না।’
রাঙ্গামাটি জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. একেএম ফজলুল হক জানান, শহরের কুকুরের কামড়ে আহত হওয়ার খবর আমরা পাইনি। প্রাণিসম্পদ বিভাগ আহত কুকুরকে চিকিৎসা ও বন্ধ্যাকরণ করে থাকি।
পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় বেওয়ারিশ কুকুর দেখভাল করে থাকে সংশ্লিষ্ট পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন। এছাড়া বেওয়ারিশ কুকুরের জন্ম নিয়ন্ত্রণে বন্ধ্যাকরণ কর্মসূচি করা হয়ে থাকে। এবং বন্ধ্যাকরণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট পৌরসভা বা সিটি করপোরেশনের সঙ্গে প্রাণিসম্পদ বিভাগও সহযোগিতা করে থাকি। রাঙ্গামাটিতে বেওয়ারিশ কুকুর বন্ধ্যাকরণ করা হয় কিনা- জানতে চাইলে ডা. ফজলুল হক বলেন, ‘বেওয়ারিশ কুকুরে বিষয়টি দেখা শোনা করে থাকে পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন আর রাঙ্গামাটিতে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কোনো প্রকল্প নেই।’