ডেস্ক রির্পোট:- বিগত দেড় দশকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে যারা শহীদ হয়েছেন তাদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে দৈনিক ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেছেন, শুধু শহীদদের জন্য আহাজারি করলে হবে না। প্রয়োজনে ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে তাদের জন্য এপার্টমেন্ট করে আবাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। শনিবার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে গণআন্দোলনে শহীদ বীরদের স্মরণে এক স্মরণসভায় তিনি একথা বলেন।
বিএনপির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর সঞ্চালনায় স্মরণসভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ইনকিলাব সম্পাদক এ এম এম বাহাউদ্দীন বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৪ পর্যন্ত যারা শহীদ তাদের স্মরণ করার পাশাপাশি তাদের জন্য কিছু করতে হবে। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের অধীনে ৬ বিঘা জমি আছে। ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) যেমন ক্যান্টনম্যান্ট থেকে বের করে দিয়ে সেখানে এপার্টমেন্ট করে দেয়া হয়েছে। তেমনি শহীদদের জন্য শুধু অনুশোচনা করলে হবে না। ধানমণ্ডি ৩২ নম্বরে এপার্টমেন্ট করে দিয়ে সেগুলোতে শহীদদের আবাসনের ব্যবস্থা করে দিতে হবে।
পতিত স্বৈরাচার ও তাদের দোসররা এখনো সক্রিয় মন্তব্য করে তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচার এখনো সক্রিয়। যদিও তার (সাবেক প্রধানমন্ত্রী) পিতা শেখ মুজিবের প্রতি মানুষের ঘৃণা-বিদ্বেষের কারণে ক্যান্টনম্যান্ট থেকে শুরু করে সব জায়গায় মুর্তি ভেঙে ফেলা হয়েছে। কিন্তু সরকারি অফিসগুলোতে এখনো তার ছবি আছে। এই ব্যাপারে সরকারের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত থাকা উচিত। কারণ ঘৃণা ও সংবিধান একসঙ্গে চলতে পারে না।
স্মরণ সভায় আরো বক্তব্য রাখেণ, কারানির্যাতিত সাংবাদিক শহীদুল আলম, বিজেপি চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় দলের চেয়ারম্যান সৈয়দ এহসানুল হুদা, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। স্মরণসভায় আন্দোলনে শহীদ এবং গুম-খুনের শিকার ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের আর্তনাদে চারপাশ ভারী হয়ে ওঠে।
সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, বিএনপির আন্তর্জাতিক কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়াল, ইশরাক হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক সাইফুল আলম নিরব, সদস্য সচিব আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন প্রমুখ।###