ডেস্ক রির্পোট:-বায়ু দূষণ থাবা বসিয়েছে থাইল্যান্ডে। দূষণের কবলে পড়ে অসুস্থ হয়ে সম্প্রতি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অন্তত দুই লাখ বাসিন্দা । দেশটির রাজধানী ব্যাংকক হলো সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ শহর। যানবাহনের দূষণ, শিল্পাঞ্চল থেকে নির্গত ধোঁয়া এবং ফসল পোড়ানোর ফলে উৎপন্ন ধোঁয়ার কারণে বায়ুর মান ক্রমেই খারাপ হচ্ছে। থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছে যে, বায়ু দূষণের জেরে দেশে প্রায় ১.৩মিলিয়ন মানুষ অসুস্থ। সরকার শিশু এবং অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ঘরের ভিতরে থাকার আহ্বান জানিয়েছে। ব্যাংককের ৫০টি জেলায় পিএম ২.৫ কণার মাত্রা ছিল স্বাভাবিক মাত্রার থেকে বিপজ্জনক । কণাগুলিকে বিপজ্জনক হিসাবে বিবেচনা করা হয় কারণ সেগুলি মানুষের রক্তে প্রবেশ করলে ক্ষতি করতে পারে। দূষণের সূক্ষ্ম থেকে সূক্ষ্মতম কণিকা, যার ব্যাস ২.৫ মাইক্রোমিটার বা তারও কম, তাকে বলা হয় পিএম২.৫ কণা। বাতাসে এই দূষণ-কণিকার মাত্রা বাড়তে থাকলে শ্বাসগ্রহণের মাধ্যমে তা রক্তে প্রবেশ করে।
সেখান থেকে শুরু হয় নানা রকমের অসুস্থতা। থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানাচ্ছে, দেশে বায়ু দূষণের মাত্রা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সমস্ত মান লঙ্ঘন করেছে। উত্তরাঞ্চলীয় শহর চিয়াং মাই -তে ফসল পোড়ানোর কারণে এই অঞ্চলও বায়ু দূষণের কবলে পড়েছে। সরকার কোম্পানিগুলিকে তাদের কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার পরামর্শ দিয়েছে এবং কেউ বাইরে বের হলে তাদের উচ্চ মানের N95 দূষণ বিরোধী মাস্ক পরার কথা জানিয়েছে ।ছোট শিশুদের সুরক্ষার জন্য দেশের নার্সারিগুলিতে এয়ার পিউরিফায়ার সহ বিশেষ “নো ডাস্ট রুম” স্থাপন করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রশাসন যানবাহন দূষণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে রাস্তায় চেকপয়েন্টও স্থাপন করেছে। জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে একই ধরণের বায়ু দূষণের সাক্ষী ছিল থাইল্যান্ড। সেইসময়েও বাতাসের মান ভীষণভাবে হ্রাস পেয়েছিল। যানবাহন এবং ফসল থেকে উদ্গত ধোঁয়া ছাড়াও “অচল আবহাওয়া পরিস্থিতি” বায়ু দূষণের বৃদ্ধিতে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছে। জনস্বাস্থ্য মন্ত্রকের এক কর্মকর্তা জানাচ্ছেন, ”মানুষকে বাড়ি থেকে কাজ করতে উৎসাহিত করে আমাদের দূষণ মোকাবেলার প্রচেষ্টা জোরদার করতে হবে। শিশুদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব রোধ করার জন্য তাদের বাইরে যেকোনো কার্যকলাপ বন্ধ করতে হবে। ”সূত্র : লাইভ মিন্ট