ডেস্ক রির্পোট:- সময়ের কাঁটায় ভর করে দুই দশক আগে ফেরা যাক। মুঠোফোন তখনো সবার হাতে হাতে পৌঁছায়নি। ওই সময় মুঠোফোনের গ্রাহক ছিলেন মাত্র ১৩ লাখ ৬৫ হাজার। প্রতি ১০০ জনে গ্রাহক একজন। সময় দেখার জন্য তখনো অপরিহার্য ছিল ঘড়ি। তাতে ২০০৩ সালে দেশে ঘড়ি আমদানি হয়েছিল প্রায় ১০ কোটি টাকার।
এরপর ঘড়ির কাঁটা যত এগিয়েছে, ততই মুঠোফোনের গ্রাহকসংখ্যা বেড়েছে। মুঠোফোনের পর্দা কেড়ে নিয়েছে ঘড়ির কাঁটা। সময় দেখার জন্য ঘড়ির প্রয়োজনীয়তা কমে এসেছে। তবে প্রয়োজন কমলেও উল্টো আমদানি বেড়ে ১১৫ কোটিতে উন্নীত হয়েছে।
ব্যবসায়ীরা বলছেন, প্রয়োজন না থাকলেও শুধু ফ্যাশনই এই পণ্যটির বাজার বড় করে তুলেছে। শিক্ষার্থী ও তরুণদের মধ্যে ফ্যাশন পণ্য হিসেবে ঘড়ির প্রতি আগ্রহ বাড়ছে। আবার একসময় বিয়েতে উপহার হিসেবে চল থাকলেও এখন বড় প্রতিষ্ঠানগুলো নানা উপলক্ষে ডিলার বা গ্রাহকদের উপহার হিসেবে ঘড়ি দিচ্ছে। এসব কারণে দেশে পণ্যটির বাজার বড় হচ্ছে।
হাতঘড়ির বাজারে সিংহভাগই পুরুষের ঘড়ির দখলে। ঘড়ি ব্যবসায়ীরা বলছেন, নারীদের জন্য নানা ধরনের অঙ্গসজ্জার সামগ্রী থাকলেও পুরুষের জন্য ফ্যাশন পণ্যের প্রচলন হাতে গোনা। এ হাতে গোনা কয়েকটি পণ্য বা সামগ্রীর মধ্যে ঘড়ি একটি। ব্র্যান্ডের ঘড়ি রুচি ও আভিজাত্য প্রকাশ করে। তাই অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নতি হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘড়ির চাহিদাও বাড়ে।
বাংলাদেশে ঘড়ির বাজারে মূলত দুটি ধারা রয়েছে। একটি ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজার। আরেকটি নন-ব্র্যান্ডের। ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজার গুটিকয় প্রতিষ্ঠানের হাতে। তবে নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজারে প্রতিযোগিতা বেশি। এই দুই বাজারের বাইরে একাংশ রয়েছে বড় ব্র্যান্ডগুলোর নকল ও অবৈধভাবে আমদানির ওপর নির্ভরশীল বাজার। ব্যবসায়ীদের মতে, সব মিলিয়ে দেশে ঘড়ির বাজারের বার্ষিক আকার এখন ২৫০ থেকে ৩০০ কোটি টাকার মতো।
এদিকে আমদানির চিত্র থেকেও ঘড়ির বাজার সম্পর্কে একটি ধারণা পাওয়া যায়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে সব ধরনের ঘড়ি ও ঘড়ির যন্ত্রাংশ আমদানিতে শুল্ক-করসহ খরচ পড়েছে ১৮৭ কোটি টাকা। এর মধ্যে যন্ত্রাংশ ছাড়া শুধু হাতঘড়ি আমদানিতে খরচ হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।
ঘড়ি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান কল্লোল গ্রুপের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (ঘড়ি বিভাগ) গোলাম মোহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, সময় দেখার জন্য এখন ঘড়ি ব্যবহার হয় না। মূলত ফ্যাশন পণ্য হিসেবেই ঘড়ি ব্যবহার হচ্ছে। তাতে প্রয়োজন না থাকলেও ফ্যাশন পণ্য হিসেবেই ঘড়ির বাজার বড় হচ্ছে। ব্র্যান্ড সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে দেশে ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজারও বড় হচ্ছে।
দুই প্রতিষ্ঠানের হাতে ৬৪ শতাংশ বাজার
বাংলাদেশে ঘড়ির বাজারে নেতৃত্ব দিচ্ছে কল্লোল গ্রুপ। গ্রুপটির সহযোগী প্রতিষ্ঠান কল্লোল এন্টারপ্রাইজ লিমিটেডের হাতে রয়েছে এই বাজারের ৫৮ শতাংশ। ১৯৯৬ সালে ভারতের টাটা কোম্পানির টাইটান ব্র্যান্ডের ঘড়ির পরিবেশক দিয়ে গ্রুপটি এই বাজারে যুক্ত হয়। বর্তমানে সুইজারল্যান্ড, জাপান, কোরিয়া, স্পেন, ভারত ও চীনের ৪০টি ব্র্যান্ডের ঘড়ির পরিবেশক গ্রুপটি। কল্লোল এন্টারপ্রাইজ খুচরা পর্যায়ে ঘড়ি বিক্রি করে তাদের টাইমজোন শোরুমের মাধ্যমে। সারা দেশে টাইমজোনের শাখা রয়েছে ৫৪টি আর আউটলেটের সংখ্যা ৭২টি।
চট্টগ্রামের টাইমজোন আউটলেটে দেখা যায়, সুইজারল্যান্ডের সাতটি ব্র্যান্ডের ঘড়ি রয়েছে তাদের। সবচেয়ে দামি ঘড়ি সুইজারল্যান্ডের লনজিস ও রাডো ব্র্যান্ডের। ন্যূনতম দেড় লাখ টাকা থেকে সর্বোচ্চ আট লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এসব ঘড়ি। এ ছাড়া টিসট ব্র্যান্ডের ঘড়ি ৫৫ হাজার থেকে আড়াই লাখ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। তরুণদের মধ্যে টমি হিলফিগার, কেলভিন ক্লেইন ও হুগো বসের ঘড়ির চাহিদা বেশি। বেশি চলে এমন ঘড়ির তালিকায় রয়েছে টাইটান, ক্রিডেন্স, ক্যাসিও, সেলক্স ও সিটিজেন ব্র্যান্ডের ঘড়ি।
ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজারে ২০১৮ সালে যুক্ত হয়েছে মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্স। প্রতিষ্ঠানটির বাজার অংশীদারি ৬ শতাংশ। সুইজারল্যান্ডের সাতটি ব্র্যান্ড ও জার্মানির দুটি ব্র্যান্ডের পরিবেশক এই প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ঘড়ির আমদানিকারকও।
প্রতিষ্ঠানটি সুইজারল্যান্ডের জেনিথ, ট্যাগহয়ার, ফেডরিক কনস্ট্যান্ট, মোভাডো, ওরিস, অ্যালপিনা ও ভিক্টরিনক্স ব্র্যান্ডের ঘড়ি বাজারজাত করছে। এ ছাড়া জার্মানির মন্টব্ল্যাঙ্ক ও জেপলিন এবং চীনের এভিয়েটর এফ সিরিজের ঘড়ি বিক্রি করছে।
মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্সের মহাব্যবস্থাপক সাফায়েত চৌধুরী বলেন, ‘আমরা এক সমীক্ষায় দেখেছি, দেশের ঘড়িপ্রেমীরা বিদেশ থেকে ঘড়ি কিনে আনেন। সেই চাহিদার কথা মাথায় রেখে এই বাজারে যুক্ত হয় মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্স। দুই দশকের তুলনায় দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি ঘড়ির বাজারকে বড় করেছে বলে তিনি জানান।
ঘড়ি আমদানিকারক আরেক প্রতিষ্ঠান ওয়াচেস ওয়ার্ল্ড। তাদের বাজার অংশীদারি ২ শতাংশ। আর ১৯৬০-এর দশক থেকে ঘড়ির ব্যবসা করে আসা আরেক প্রতিষ্ঠান সাকো ওয়াচ সুইজারল্যান্ডের ‘ওমেগা’ ব্র্যান্ডের ঘড়ি বাংলাদেশে বাজারজাত করে।
ব্র্যান্ডের ঘড়ি কত দামি
টাকার অঙ্কে বাংলাদেশে সবচেয়ে বেশি আমদানি হয় ব্র্যান্ডের ঘড়ি। বাংলাদেশে সর্বোচ্চ ১৫ লাখ টাকা দামের ঘড়ি পাওয়া গেলেও বৈশ্বিক ঘড়ির বাজারে এগুলো মাঝারি শ্রেণির ঘড়ি হিসেবে পরিচিত। বিশ্বের শীর্ষ বিলাসবহুল ব্র্যান্ডের ঘড়ি আমদানির রেকর্ড বাংলাদেশের খুব একটা নেই। মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর হিসাবে, সুইজারল্যান্ডের প্যাটেক ফিলিপ ও কার্টিয়ার ব্র্যান্ডের ঘড়ি বিশ্বের সবচেয়ে দামি ঘড়ি। তবে সব দিক থেকে সেরা ব্র্যান্ডের তালিকায় রোলেক্স, ওমেগা ও ট্যাগ হয়ারকে রেখেছে ফোর্বস। এর বাইরে দামি ঘড়ির তালিকায় আরও রয়েছে রিচার্ড মিলে, এপি, জায়েগার-লিকাল্ট্রি, ভ্যান্সেরন কন্সটাটিন ব্র্যান্ডের ঘড়িও।
বিশ্বের সবচেয়ে দামি ব্র্যান্ড সুইজারল্যান্ডের রোলেক্স ঘড়ির ১৯৪২ সালে পরিবেশক ছিল চট্টগ্রামের এ কে খান গ্রুপ। শিল্পে বিনিয়োগে মনোযোগ দেওয়ার পর কয়েক বছরের মাথায় গ্রুপটি এই ব্যবসা ছেড়ে দেয়। পরে রোলেক্সের পরিবেশক হয় চট্টগ্রামের কানুনগো অ্যান্ড সন্স। এরপর ঢাকায় ১৯৮০-এর দশকে রোমান ওয়াচকে পরিবেশক নিয়োগ করে রোলেক্স। তবে রোলেক্সের ঘড়ি বিক্রি হয় কম। আমদানির তথ্যে দেখা যায়, ২০১৩ সালে রোলেক্সের ওয়েস্টার মডেলের ১১টি ঘড়ি আমদানি করে কানুনগো অ্যান্ড সন্স। মূলত নান্দনিক নকশা, বিশেষায়িত মরিচারোধী পাত ব্যবহার, সূক্ষ্ম কারুকাজসহ ব্র্যান্ড ভ্যালুর কারণেই রোলেক্স ঘড়ির দাম বেশি।
রোলেক্স ঘড়ি বাংলাদেশে নিয়মিত আমদানি না হলেও বাংলাদেশে সবচেয়ে দামি ঘড়ি আমদানি করে মোহাম্মদ অ্যান্ড সন্স। ২০২১ সালে জেনিথ ব্র্যান্ডের একটি ঘড়ি আমদানিতেই শুধু প্রতিষ্ঠানটির খরচ পড়েছে ১২ লাখ ৩১ হাজার টাকা।
সংখ্যায় আধিপত্য নন-ব্র্যান্ডের
সংখ্যার হিসাবে বাংলাদেশে কম দামি ঘড়ি সবচেয়ে বেশি আমদানি হয়। বিক্রিও হয় বেশি। ২০১৮ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত পাঁচ বছরে বাংলাদেশে ১ কোটি ১১ লাখ নন-ব্র্যান্ডের ঘড়ি আমদানি হয়। এর মধ্যে প্রায় ৪১ লাখ ইউনিটই ছিল শিশুদের ঘড়ি। ৫০ টাকা থেকে শুরু করে ১৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে শিশুদের ঘড়ি। একই সময়ে বালকদের ঘড়ি আমদানি হয় পৌনে ৯ লাখ। অর্থাৎ সংখ্যার হিসাবে আমদানির ৪৫ শতাংশই শিশু ও বালকদের ঘড়ি।
শিশু ও বালকদের পর কম দামি ঘড়ির বাজার দখল করে আছে ব্র্যান্ডহীন ঘড়ি। মূলত এসব ঘড়ি আমদানি হয় চীন থেকে। প্লাস্টিক ও ধাতব চেইনের ঘড়ি ১০০-১৫০ টাকা থেকে শুরু করে চার-পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। পুরান ঢাকার পাটুয়াটুলীকেন্দ্রিক ব্যবসায়ীরা এসব ঘড়ি আমদানি করেন। ঘড়ির এই বাজারে বড় অংশীদারি চীনের।
ঘড়ির বাজারের একাংশ শুল্ক ফাঁকি দিয়ে আনার ওপর নির্ভরশীল। আবার সুইজারল্যান্ডের নকল ব্র্যান্ডের ঘড়ির বাজারও রয়েছে দেশে। ঘড়ি আমদানিতে করভার ৩৭ শতাংশ। শুল্ক ফাঁকি দিতেই তাই অবৈধভাবে আমদানি হয় ঘড়ি।
নতুন বাজার স্মার্ট ওয়াচ
সময়ের সঙ্গে ঘড়ির বাজারেও পরিবর্তন আসছে। ব্যাটারিচালিত কোয়ার্টস ঘড়ি, ব্যাটারি ছাড়া মেকানিক্যাল ঘড়ি ও রিচার্জেবল সোলার বা ইকোড্রাইভ ঘড়ির বাইরে এক যুগ আগে স্মার্টওয়াচের যাত্রা শুরু হয়। বাংলাদেশে মূলত ২০১৭ সাল থেকে বাণিজ্যিকভাবে স্মার্ট ওয়াচ আমদানি শুরু হয়। ২০২২ সালে বাংলাদেশে ৬৫ হাজার স্মার্ট ওয়াচ আমদানি হয়। এই বাজারের ৯৯ শতাংশই আমদানি হচ্ছে চীন থেকে। হংকং, যুক্তরাষ্ট্র ও জার্মানি থেকে আসছে ১ শতাংশ। বাজারে অ্যাপল ব্র্যান্ডের স্মার্ট ওয়াচ দেখা গেলেও বৈধভাবে আমদানি হচ্ছে খুবই কম।
স্মার্ট ওয়াচের বাজারে শীর্ষে রয়েছে ঢাকার পরীবাগের আমিনা ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল। মোট স্মার্ট ওয়াচের ৪০ শতাংশই আমদানি করছে প্রতিষ্ঠানটি।
বৈশ্বিক বাজার ৪৫ বিলিয়ন ডলার
শুধু দেশেই নয়, বিশ্বেও ঘড়ির বাজার বড় হচ্ছে। ২০০৩ সালে বিশ্বে ঘড়ি রপ্তানি হয়েছিল ১ হাজার ৪৫৬ কোটি মার্কিন ডলারের। ২০২১ সালে তা বেড়ে দাঁড়ায় ৪ হাজার ৫৪২ কোটি ডলারে। ঘড়ির বাজারে শীর্ষে সুইজারল্যান্ড। সুইজারল্যান্ডের ঘড়ি শিল্পের বাণিজ্য সংগঠন ‘ফেডারেশন অব দ্য সুইচ ওয়াচ ইন্ডাস্ট্রিজের’ তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশটি ২ হাজার ৩৬৭ কোটি সুইস ফ্রাঁ বা ২ হাজার ৫৭২ কোটি ডলারের ঘড়ি রপ্তানি করেছে, যা ২০২১ সালের তুলনায় সাড়ে ১১ শতাংশ বেশি। এ সময়ে ১ কোটি ৫৭ লাখ হাতঘড়ি রপ্তানি করে তারা।
ঘড়ি বনাম মুঠোফোন
দুই যুগ আগে মুঠোফোনের প্রসার শুরু হওয়ার পর ঘড়ির বাজার শেষ হয়ে যাচ্ছে—এমন শঙ্কা ছিল। মুঠোফোনের প্রসারের শুরুতে কিছুটা ধাক্কাও এসেছিল ঘড়ির বাজারে। সেই ধাক্কা কেটে গেছে অনেক আগেই। এক যুগ আগে উদ্ভাবন হওয়া স্মার্ট ওয়াচে মুঠোফোনের সুবিধা যুক্ত করে যেন পাল্টা হুমকি দিয়ে রেখেছে এই পণ্যটি। কারণ, ফিচার ফোনে যেসব সুবিধা আছে, তার সব কটিই যুক্ত হয়েছে এখনকার স্মার্ট ওয়াচে।
রোলেক্স, ওমেগা, রাডোসহ সুইজারল্যান্ডের বিখ্যাত কোম্পানিগুলো থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত বাংলাদেশের হরোলজিস্ট (ঘড়ি প্রস্তুতকারক ও মেরামতকারী) কানুনগো অ্যান্ড সন্সের পরিচালক সুবীর কানুনগো প্রথম আলোকে বলেন, মুঠোফোন হোক আর অন্য কিছু হোক, ঘড়ির বাজার শেষ হয়ে যাবে না। কারণ, মুঠোফোন বা অন্য যেকোনো পণ্যের চেয়ে ফ্যাশনসচেতন মানুষের হাতে হাতঘড়িই ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। সুন্দর দেখায়। এ জন্য দেশে-বিদেশে ঘড়ির বাজার বড় হচ্ছে। প্রথম আলো