ডেস্ক রির্পোট:- কোটা সংস্কার আন্দোলনের কর্মীসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর গত দুইদিনে হামলার বিচার চেয়েছেন ১১৪ বিশিষ্ট নাগরিক। গতকাল গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এ বিচার চাওয়া হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, পত্রপত্রিকার প্রতিবেদন অনুসারে ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর পিস্তল, রড, লাঠি, ধারালো অস্ত্র নিয়ে এ হামলা করে। তাদের এ নির্বিচার হামলায় ছাত্রীরাও রেহাই পায়নি। এ বর্বরোচিত হামলায় নাগরিকরা ক্ষুব্ধ ও বেদনার্ত হয়েছেন। গতকাল আন্দোলনকারীদের ওপর আক্রমণে হতাহতের সংবাদ তারা পেয়েছেন। এ হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা এবং এর জন্য দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন নাগরিকরা।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘আমরা এসব হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার ও উপযুক্ত শাস্তি চাই। সেই সঙ্গে এসব হামলার হুকুমের আসামি হিসেবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ নেতাদের আইনের আওতায় আনার দাবি করছি।’
হামলা প্রতিরোধে পুলিশ ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনগুলোর ব্যর্থতার নিন্দা জানানো হয়েছে। একই সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির প্রতি বিশিষ্ট নাগরিকরা সমর্থন জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক মন্ত্রিপরিষদ সচিব আলী ইমাম মজুমদার, অর্থনীতিবিদ দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য, ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান, সুজনের সম্পাদক ড. বদিউল আলম মজুমদার, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, অধ্যাপক স্বপন আদনান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সি আর আবরার, ড. আসিফ নজরুল, ড. শাহনাজ হুদা, অধ্যাপক সুমাইয়া খায়ের, রুশাদ ফরিদী, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মুহাম্মদ, মাহা মির্জা, আইনুন নাহার, মানস চৌধুরী, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাইদুল ইসলাম, নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. দিনা সিদ্দিকী, আলোকচিত্রী শহিদুল আলম প্রমুখ।