কোরবানীর ঈদকে সামনে রেখে পাহাড় থেকে শতশত গরু যাচ্ছে সমতলে

রিপোর্টার
  • আপডেট সময় রবিবার, ৯ জুন, ২০২৪
  • ১০৪ দেখা হয়েছে

কাজী মোশাররফ হোসেন, কাপ্তাই:- চাঁদ দেখা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১৭ জুন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা অনুষ্ঠিত হবে। এই ঈদকে সামনে রেখে গরু ব্যবসায়ীরা বিগত কয়েক মাস ধরে নানান তৎপরতা চালাচ্ছেন। গরু ব্যবসায়ীরা ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী গুর বিকিকিনির চেষ্টা করছেন। এবারের ঈদে কোরবাণী দেবার জন্য বেশিরভাগ মানুষ ছোট এবং মাঝারী আকারের গুরু বেশি পছন্দ করছেন। আবার এরমধ্যে লাল রঙের গরুর চাহিদা থাকে বেশি। ক্রেতাদের চাহিদার কথা মাথায় রেখে ব্যবসায়ীরা গরুর হাটে গরু তোলার চেষ্টা করছেন। ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী গরু পাহাড়ী এলাকায় বেশি পাওয়া যায় বলে ব্যবসায়ীরাও পাহাড় থেকে গরু আনার জন্য বেশী সচেষ্ট থাকেন। বিশেষ করে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার বিলাইছড়ি, জুরাছড়ি, রাজস্থলী এসব উপজেলায় ছোট ও মাঝারী আকারের গরু তুলনামূলক বেশি পাওয়া যায় বিধায় ব্যবসায়ীরা এসব এলাকা থেকে গরু এনে বাজারে বিক্রির চেষ্টা করেন। অদ্য (৯ জুন) রবিবার সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, ইঞ্জিন চালিত নৌকা ভর্তি করে বিলাইছড়ি এবং জুরাছড়ি থেকে বিপুল সংখ্যক পাহাড়ী গরু কাপ্তাই জেটিঘাটে আনা হচ্ছে। আবার ছোট ছোট ট্রাক ভর্তি করেও শতশত গরু রাজস্থলী থেকে আনা হচ্ছে। গরু ব্যবসায়ী মোকাররম হোসেন জানান, তিনি বিগত ৭ বছর ধরে গরু ব্যবসা করে আসছেন। সাধারন মানুষের কাছে পাহাড়ী এলাকার গরু বেশি পছন্দের। এর মধ্যে লাল রঙের গরুর চাহিদা থাকে বেশি।
তাই লাল রঙের পাহাড়ী গরু আনার জন্য আমরা বেশি চেষ্টা করি। তবে কালো ও লাল রঙের গরুর মধ্যে প্রায় ৫ হাজার টাকার পার্থক্য থাকে। অর্থাৎ একটি মাঝারী সাইজের কালো গরুর দাম যদি ৯০ হাজার টাকা হয় সেই ক্ষেত্রে একই সাইজের অথবা একটু ছোট সাইজের লাল গরুর দাম পড়ে ৯৫ হাজার টাকা বা আরো বেশি। গরু ব্যবসায়ী শেকান্দর মিয়া জানান, পাহাড়ী গরু কেনার জন্য তিনি প্রায় ৩ মাস আগে পাহাড়ে গিয়ে গরু কিনে রেখেছেন। কেনার পরা যার গরু তারকাছেই রেখে দেন। শর্ত থাকে ঈদের আগে আগে গরু গুলো নিয়ে যাবেন। এর জন্য গরুর মালিককে অতিরিক্ত টাকাও দেওয়া হয়। একাধিক ব্যবসায়ী জানান, পাহাড়ী গরু কিনে রওয়াজার হাট এবং চট্টগ্রামের বিভিন্ন হাটে নিয়ে যাওয়া হয়। পাহাড়ী গরু কিনে আনতে সাধারণত কোথাও তেমন প্রতিবন্ধকার মধ্যে পড়তে হয়না বলেও ব্যবসায়ীরা জানান। তবে চেক পেষ্টে বিজিবি সদস্যরা গরু তল্লাশী করেন। বিজিবি সদস্যরা গরু কেনার সাথে চালানের মিল আছে কিনা এবং চোরাই বা ইন্ডিয়ান কোন গরু পরিবহন করা হচ্ছে কিনা এটার প্রতি বেশি নজর দেন বলে ব্যবসায়ীরা জানান। গরু ব্যবসায়ী সুরুজ মিয়া জানান, এবারের ঈদে তিনি দুই লট পাহাড়ী গরু এনেছেন। প্রতিলটে ২০টি করে গরু ছিল। প্রতি গরুতে তার আনুমানিক ৫ হাজার টাকা মুনাফা থাকবে বলেও তিনি আশা প্রকাশ করছেন।

 

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো
© All rights reserved © 2023 Chtnews24.net
Website Design By Kidarkar It solutions