রাঙ্গামাটি:- রাঙ্গামাটি- কাপ্তাই–বড়াদম সড়কের বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস দেখা দিয়েছে। এর ফলে অনেক স্থানের সড়কও ধসে পড়ার উপক্রম হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে এরই মধ্যে সড়কের দুই পাশ ধসেও পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে সড়কে চলাচলকারী সর্বস্তরের জনগণকে সতর্ক থাকতে সড়কের বিভিন্ন স্থানে লাল পতাকা টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে। কোনো কোনো স্থানে লাল পতাকার সঙ্গে ‘বিপজ্জনক সড়ক’ লিখে সাইন বোর্ডও টাঙিয়ে দেওয়া হয়েছে।
অটোরিকশা চালক মোবারক আলী বলেন, কাপ্তাই থেকে দ্রুত রাঙ্গামাটি যাতায়াতের জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগ এই সড়কটি নির্মাণ করেছিল। এই সড়ক পথে যাতায়াত শুরু হওয়ার পর থেকে সড়কে যানবাহন চালাচলও বাড়তে থাকে। প্রথম দিকে এই সড়কের উপর দিয়ে যাত্রীবাহী বাসও চলাচল করতো। কিন্তু প্রায় সময় সড়কের দুইপাশে পাহাড় ধসের ফলে সড়কটি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ে। যে কারণে সবসময় বড় যানবাহন চলাচল করতে পারে না। সড়কের কয়েকটি স্থানে ভাঙন মারাত্মক আকার ধারণ করায় এই সড়ক পথে বর্তমানে বাস ট্রাক চলাচল করছে না। প্রাইভেট কার, মাইক্রাবাস ও অটোরিকশার মত ছোট যানবাহন মোটামুটি চলাচল করতে পারলেও কোনো ধরনের বড় গাড়ি বিশেষ করে বাস–ট্রাক চলাচল করছে না।
সরেজমিন পরিদর্শনে দেখা গেছে, সড়কের পাঁচটি স্থানে ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে জায়গায় জায়গায় লাল পতাকা তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ভাঙন প্রতিরোধে কাজও চলছে।
স্থানীয় একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জানান, প্রতিবছর এই সড়কের কোনো না কোনো স্থানে ভাঙন দেখা দেয়। পরে ভাঙন কবলিত স্থানে বাঁশ ও কাঠের বল্লি পুঁতে ভাঙন প্রতিরোধের চেষ্টা করা হয়। কোনো কোনো স্থানে আরসিসি দিয়ে স্থায়ী ভাঙন প্রতিরোধ করতেও দেখা গেছে।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, বর্ষা মওসুমে পার্বত্য এলাকার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস এবং সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যাওয়া প্রায় স্বাভাবিক ঘটনা। তবে সড়ক ও জনপথ বিভাগের পক্ষ থেকে পাহাড় ধস ও ভাঙন কবলিত এলাকায় কার্যকর পদক্ষেপের অংশ হিসেবে আরসিসি ঢালাই দেওয়া হচ্ছে। তবে জনসাধারণ এবং যানবাহনের চালকরা যাতে সতর্কতার সঙ্গে সড়কে চলাচল করতে পারে সে জন্য ভাঙন কবলিত এলাকায় লাল পতাকা টাঙ্গিয়ে রাখা হয়েছে।